নারায়ণগঞ্জ সমাচার:
গত ২৬ জুন রাতে নারায়ণগঞ্জের আলোচিত দৌলত মেম্বার হত্যার ২০ দিনেও গ্রেফতার হয়নি মামলার মূল আসামীরা অভিযোগ নিহতে পরিবারের। পরিবারের সদস্যরা জানান, ফলে আবারও হামলা-খুন আতংকে দিন কাটাচ্ছেন তারা।
তাদের দাবী, মামলায় ৩ জনকে গ্রেফতার করলেও মূল আসামীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না। কোনো এক অদৃশ্য শক্তির ইশারায় চেয়ারম্যান ফজর আলীর বিচ্ছু বাহিনীর প্রধান রুবেল মেম্বারসহ প্রধান আসামীরা এখনো অধরা।
এদিকে, স্থানীয়দের দাবি, এ হত্যাকান্ডের অন্যতম মুলহোতা হিসেবে ঘটনায় জড়িত চেয়ারম্যান ফজর আলীর বিচ্ছু বাহিনীর সদস্যদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের আওতায় আনার হোক।
উল্লেখ্য, গত ২৬ জুন রাত পৌনে ১১টায় গোগনগর ব্রীজের সামনে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে বিচ্ছু বাহিনীর সদস্যরা। হত্যাকান্ডে আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে গত ৫ জুলাই মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করেন স্থানীয়রা।
ঐ মানববন্ধনে নিহত দৌলত মেম্বারে স্ত্রী বলেন, আমার স্বামীকে যারা নির্মমভাবে হত্যা করেছে এখনো মূল আসামি ধরা পড়ে নাই। আমার স্বামী কি অপরাধ করেছিল, যে এ ভাবে তাকে হত্যা করতে হবে। আমার বাড়ি ঘর ভাংচুর করতেও এসেছিল তারা। আমার স্বামীর হত্যাকান্ডে ঘটনায় এত দিন অতিবাহিত হয়ে গেলো কিন্তু প্রশাসনের কাছ থেকে তেমন কোনো সহযোগীতা পেলাম না। এসপি মহোদয়কে বলবো আপনার বিদায়ের বেলায় আমার স্বামীর হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে আইনের হাতে তুলে দিয়ে যান।
নিহতের বড় মেয়ে বলেন, চেয়ারম্যান ফজর আলীর বাহিনীর দ্বারা নৃশংসভাবে হত্যার শিকার হন আমার বাবা । তিনি নিরপরাধ ছিলেন। আমাদের জায়গা-জমি অন্য মানুষ খাচ্ছে। তার পরেও আমার বাবা কোন ঝগড়ায় যান নাই। বাবাকে যারা হত্যা করেছে তাদের সকলকে সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, সন্ত্রাসীরা আমাদের হুমকি দিচ্ছে মামলা তুলে নিতে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনিও বাবা হারা সন্তান! আপনি বোঝেন বাবা হারা এতিম সন্তানদের কষ্টদায়ক বেদনা। তাই আমরা আপনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
চর সৈয়দপুরবাসীদের অভিমত, সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত দৌলত ভাইয়ের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আসামীদের ফাসির দাবী জানাই। আজ আমরা এলাকাতে থাকতে পারিনা সন্ত্রাসীদের ভয়ে। তাই খুনি রুবেল মেম্বার সহ সকল আসামিকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানাচ্ছি। এবং তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।
এদিকে হত্যাকান্ডের প্রায় ২০ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও মামলার মুল আসামীদের গ্রেফতার না করায় পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয় অনেকেই বলেন, মামলার আসামীরা প্রভাবশালী হওয়ায় এখনও পর্যন্ত মূল আসামীদের গ্রেফতার করছেনা পুলিশ। আসামী পক্ষের লোকজন বিভিন্নভাবে নিহতের পরিবারকে মামলা তুলে নিতে চাপ প্রয়োগ করছে। যার ফলে অনেকটা নিরাপত্তাহীনতার মাঝেই দিন কাটাচ্ছে নিহতের পরিবারের সদস্যরা।
