সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
গণতন্ত্র মুক্তির আন্দোলনে নিহত শহীদদের সম্মানে নারায়ণগঞ্জে একটি স্তম্ভ নির্মাণের জোর দাবি জানিয়েছেন নারায়নগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণসম্পাদক ও নারায়নগঞ্জ সদর থানা ছাত্রদলের আহবায়ক কাজী নাহিসুল ইসলাম সাদ্দাম।
শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে প্রেরিতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানান তিনি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সাদ্দাম উল্লেখ করেন, গত ১লা সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ শহরে র্যালি বের করে বিএনপি। তবে শান্তিপূর্ণ এই র্যালীতে বিনা উস্কানিতে অতর্কিত হামলা চালায় পুলিশ, ডিবি, প্রশাসন ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। অতর্কিত এ হামলায় শত শত নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ ও আহত হয়। এসময় নিহত হন আমাদের সহযোদ্ধা গণতন্ত্র মুক্তির আন্দোলনে অতন্ত্র প্রহরী শহীদ শাওন। নিভে যায় একটি তাজা প্রাণ, যে কিনা দেশের জন্য হতে পারতো একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র।
গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে শহীদ শাওন ভাই তার জীবন বিলিয়ে দিয়ে গেলেন নারায়ণগঞ্জ শহরের মাটিতে। আমি এই হত্যার সুষ্ঠু বিচার’র দাবি জানাই এবং হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত বিচার আইনে শাস্তি নিশ্চিত করার জোর দাবি জানাই। একইসাথে যে স্থানে (২নং রেলগেট এলাকা) সংঘর্ষের ঘটনায় শহীদ শাওন ভাইয়ের মৃত্যু হয় সেই স্থানকে শহীদ শাওন চত্ত্বর ঘোষণা করার জোর দাবি জানাচ্ছি।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের গণতন্ত্র রক্ষায় গণতন্ত্রকামী জনগণ আজ রাজপথে নেমে এসেছে। সাধারণ মানুষ তাদের কথা বলার অধিকার চায়, তাদের বেঁচে থাকার অধিকার চায়। বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার চায়, আর তাইতো গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে এবং দেশ রক্ষার আন্দোলনে রাজপথে ফয়সালা করার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে পথ চলছে লাখ লাখ বাঙালি।
আরও উল্লেখ করা হয়, গণতন্ত্র হত্যাকারী আওয়ামীলীগ আজ প্রশাসনকে ব্যবহার করে, গুন্ডা বাহিনীকে ব্যবহার করে, সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়ে গণতন্ত্রকে হত্যা করছে। সারা বাংলাদেশে বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী গুম, খুনের শিকার হচ্ছে গণতন্ত্র রক্ষার কথা বলতে যেয়ে। পুলিশ আজ জনগণের সেবা দিবে তো দূরের কথা উল্টো জনগণের উপর পাখির মতো গুলি করে হত্যা করছে শহীদ নুর আলম ভাই, শহীদ আব্দুর রহিম ভাই সহ গণতন্ত্র রক্ষা আন্দোলনে এবং দেশরক্ষায় আন্দোলনে সাহসী নেতাকর্মীদের।
সাদ্দাম আরও উল্লেখ করেন, এসকল হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাই । অবিলম্বে খুনিদের গ্রেফতার করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানাই। সেই সাথে গণতন্ত্র মুক্তির আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন সে সকল শহীদদের সম্মানে নারায়ণগঞ্জে একটি স্তম্ভ নির্মাণের জোর দাবি জানাচ্ছি। এছাড়াও উল্লেখ করা হয়, (ইনশাআল্লাহ)অচিরেই বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে , হবে গণতন্ত্রের চর্চা। এই আশা এখন গণতন্ত্র মুক্তিকামী প্রতিটি মানুষের দাবিতে পরিণত।
