না.গঞ্জ জেলা-মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদলের কর্মীসভা

15
না.গঞ্জ জেলা-মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদলের কর্মীসভায় বক্তব্য রাখছেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান

 নারায়ণগঞ্জ সমাচার: 

প্রতিটি ইউনিটের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর অংশগ্রহনে অত্যন্ত জাকজমকপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদলের কর্মীসভা-২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার (২৫ জানুয়ারী) সকালে নগরীর ১৬নং ওয়ার্ডস্থ জান্নাত কনভেনশন হলে প্রথমে মহানগর শাখা ও দুপুরের দিকে জেলা শাখার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

উভয় সম্মেলনেই প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান। মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদলের কর্মী সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন মহানগর কমিটির সভাপতি, সাবেক ছাত্রনেতা আবুল কাউসার আশা এবং সঞ্চালনায় ছিলেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া।

জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জেলা কমিটির সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েম ও সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান। সম্মেলনের জেলা ও মহানগরীর আওতাধীন প্রতিটি ইউনিটের সভাপতি/আহবায়ক ও সাধারণ সম্পাদক/সদস্য সচিবরা বক্তব্য রাখেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান বলেন, এ সম্মেলনের উদ্দেশ্য হলো স্বেচ্ছাসেবকদলকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির এক নম্বর সংগঠনে পরিণত করা। আমাদের লক্ষ্য হলো এ অগণতান্ত্রিক সরকারকে, এই ভোট চোর সরকারকে, মানুষের অর্থ আত্মসাৎকারী, আমাদের নেতাকর্মীদের হত্যাকারী এই অবৈধ ও অগণতান্ত্রিক সরকারকে পরিবর্তন করতে হবে। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে, জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা করার এই স্বপ্ন বেগম খালেদা জিয়ার স্বপ্ন, দেশনায়ক তারেক রহমানের স্বপ্ন, দেশের সকল মানুষের স্বপ্ন। আমরা তাদের কর্মী হিসাবে তাদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য কাজ করি।

তিনি বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে এই নারায়ণগঞ্জের মানুষের বিশাল ভুমিকা, বিশাল অবদান সবসময়ই ছিলো। ১৯৭১ সাল থেকে শুরু করে ৯০’ সালের আন্দোলন ৯৬ সালের গণতান্ত্রিক আন্দোলন দেখি, সেখানে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগরের ভুমিকা কিন্তু অনস্বীকার্য। আজকেও আমাদের প্রত্যাশা থাকবে, এই নারায়ণগঞ্জের যে অবদান গণতান্ত্রিক আন্দোলনেও তা অব্যাহত থাকবে।

তিনি আরও বলেন, যে অত্যাচার, যে নির্যাতন শেখ হাসিনা আমাদের উপর করেছে, বাংলাদেশের মানুষের যে দীর্ঘশ্বাস, যে অভিশাপ শেখ হাসিনার উপরে আছে তার কারণে শেখ হাসিনা আর ক্ষমতায় থাকবেনা। এই যে ক্ষমতায় থাকবেনা, এটা নিশ্চিত করতে হলে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদলের ভুমিকা রাখতে হবে। সেই জায়গায় যদি ভুমিকা রাখতে চান তাহলে, একদিকে সংগঠনকে গতিশীল করতে হবে, অন্যদিকে আন্দোলন সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা একদিকে সরকারকে পরাজীত করবো, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবো, মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করবো। অন্যদিকে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদলকে একটি সুসংগঠিত এবং জাতীয় পর্যায়ের সংগঠন কেন্দ্রীক এক নম্বর সংগঠনে পরিণত করবো।