নারায়ণগঞ্জ সমাচার:
নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা বলেছেন, আমি ও কায়সার হাসনাত (আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী) আজকে একমত হয়েছি যে আমরা প্রত্যেকদিন রাত্রে একবার করে ফোনে সোনারগায়ের নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করবো। যাতে করে, আমাদের মধ্যে তৃতীয় পক্ষ ঢুকে কোনো ষড়যন্ত্র করতে না পারে। একটা সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচনের আশায় আছি আমরা, জনগনও সেটা আশা করছে। আমাদের সোনারগায়ের মানুষ বসে আছে যে, কবে তারা ভোট দিবে।
রোববার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হকের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনের সকল প্রার্থী, জেলা পুলিশ সুপার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটের কর্মকর্তারা।
নৌকার প্রার্থী বা তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে খোকা বলেন, সবচেয়ে বড় কথা হলো, আমরা রাজনীতি করি। কায়সার সাহেব আমার নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী, ব্যক্তিগত ভাবে তো উনি আমার প্রতিদ্বন্দ্বী না। উনি আমার শত্রু না, আমিও উনার শত্রু না। আমরা একইসাথে সবকিছু করি। আমাদের মাঝে ভালো সম্পর্ক সবসময়ই ছিলো, এখনো আছে, আগামীতেও থাকবে।
তিনি বলেন, আমরা যারা নির্বাচনে ক্যান্ডিডেট, তারা অনেক কিছুই জানি না। কিছু অতি-উৎসাহী মানুষ থাকে, যারা নিজেদের লাভের জন্য, নিজের স্বার্থে সাইড চেঞ্জ করে। কখনো উনার আপন হতে চাইবে, কখনো আমার আপন হতে চাইবে। একবার ভাবে, কায়সার সাহেব যদি পাশ করে যায় তাহলে আমার ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে। তাই উনার সাথে একটু লাইন দিয়ে রাখি। আবার দেখা যাবে, রাতের বেলা আমাকে ফোন দিলো, ভাই কায়সার সাহেব ফোন দিয়েছিলো, না গেলে আবার কেমন দেখা যায়। এটাই হলো বর্তমান বাস্তবতা। তাই আমি বলতে চাই, সুবিধাবাদীদের কোনো স্থান নাই।
তিনি আরও বলেন, আমরা রেগুলোর ফোনে কথা বলি। আমরা আজকে একমত হয়েছি যে, প্রত্যেকদিন রাত্রে একবার আমরা সোনারগায়ের নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করবো। যাতে করে, আমাদের মধ্যে তৃতীয় পক্ষ ঢুকে কোনো ষড়যন্ত্র করতে না পারে। একটা সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচনের আশায় আছি আমরা, জনগনও সেটা আশা করছে। আমাদের সোনারগায়ের মানুষ বসে আছে যে, কবে তারা ভোট দিবে। সেক্ষেত্রে পরিবেশটা আমরা দুজনে মিলে নষ্ট করতে দিবো না।
