
নারায়ণগঞ্জ সমাচার:
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান বলেছেন, আমরা সৌভাগ্যবান বঙ্গবন্ধু কণ্যা, জননেত্রী শেখ হাসিনার মতো একজন মানুষকে আমরা প্রধানমন্ত্রী হিসাবে পেয়েছি। যিনি ইতিমধ্যেই বিশ্বে রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন এতো শর্ট টাইমে বাংলাদেশের ১০ কোটি মানুষকে টিকা দিতে পেরে।
নগরীর ১৮ নং ওয়ার্ডের শহীদ বাপ্পী স্মরণি এলাকায় ভ্রাম্যমান টিকা কার্যক্রমে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্নার সার্বিক সহযোগিতায় ভ্রাম্যমান এ টিকা কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।
স্বাস্থ্য সম্পর্কে আরও বেশী সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, আমরা দুই উপায়ে নিজেরা সুস্থ থাকতে পারি, একটা হচ্ছে আমাদের সবসময় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে, সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে, মাস্ক অবশ্যই পড়তে হবে এবং করোনার টিকা নিতে হবে। আমাদের সকলকে অত্যন্ত সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
তিনি বলেন, প্রথমে যে অবস্থাটা ছিলো এখন কিন্তু তা নেই। প্রথমে করোনার সময়ে নারায়ণগঞ্জের কি অবস্থা ছিলো তা সবারই জানা। মানুষের ঘরে খাবার ছিলো না, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ঘরে ঘরে খাদ্য সামগ্রী এমনটি নগদ অর্থও পৌছে দিতে পেরেছিলাম। এখন কিন্তু আর সেই অবস্থা নেই, আল্লাহর কাছে লাখো-কোটি শুকরিয়া। নৌকা, বাস, ব্যবসা-বাণিজ্য সবই চলছে, এ অবস্থা যদি চলমান রাখতে চান তাহলে, সকলকে অন্তত নিজ নিজ পরিবারের কথা চিন্তা সবাইকে আরো বেশী স্বাস্থ্য সচেতন হতে হবে।
কামরুল হাসান মুন্নার প্রশংসা করে তিনি বলেন, আমরা জেলা প্রশাসকের সাথে একটা মত বিনিময় সভার আয়োজন করেছিলাম, সেই সভার মধ্যে যখন সিদ্ধান্ত হলো যে, আমরা এলাকায় এলাকায় এভাবে করোনার টিকা কার্যক্রম চালাবো। তখন সঙ্গে সঙ্গে এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্না অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে এটা ছিনিয়ে নিলো যে, প্রথমে আমার এলাকায় ব্যবস্থা করেন। অনেকেই চেষ্টা করে পারে নাই। তাই আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ, আমরা যেন প্রথমে বলতে পারি এই এলাকার প্রত্যেকের টিকাদান সম্পন্ন হয়েছে। এটা শুধু মুন্নার একার দায়িত্ব না, এলাকার সকলের দায়িত্ব।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল হাফিজ বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম মূল শক্তি হলো নারায়ণগঞ্জ। দেশের অধিকাংশ মিল-ইন্ডাস্ট্রি, শিল্প-কলকারখানা, গার্মেন্ট-হোসিয়ারী সবই নারায়ণগঞ্জে। তাই টিকা না নেয়ার কারণে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা হলে লক্ষ লক্ষ লোক কর্মহীন হয়ে পড়বে। অচল হয়ে পড়বে অর্থনীতির চাকা। বিশেষত দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে হলে অবশ্যই টিকা নিতে হবে।
কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্নার সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মুহম্মদ মুশিউর রহমান, এনডিসি এস. এম. রাসেল ইসলাম নূর, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, আট-ময়দা মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন, গম-চাউল আড়ৎদার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বার বাপ্পী, যুবলীগ নেতা আমিনুর রহমান শাহীন, তাইফুল হাসান তান্না, আব্দুল খালেক, ডাঃ নায়লা পারভিন বন্যা, হাজী ইফতেখার আহমেদ পুলক, মোঃ রাজিবুল হাসান রানা, শ্রমিকলীগ নেতা রকিবুল হাসান রিয়ন প্রমুখ।
সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে নিবন্ধনকৃত ৫৫০ জনকে করোনার টিকা প্রদান করা হয়।