
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জ গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে অভিভাবক ও শিক্ষাবিদদের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। প্রতিষ্ঠানটির ফলাফল বিপর্যয়ের জন্য সরাসরি দায়ী করা হচ্ছে এডহক কমিটির বিতর্কিত সদস্য ফেরদৌস ওয়াহিদ সুমনকে।
📌 ফেল করা শিক্ষার্থীদের জোর করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করান সুমন
২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার আগে টেস্ট পরীক্ষায় ৬৮ জন শিক্ষার্থী একাধিক বিষয়ে ফেল করে। অধ্যক্ষ সায়মা খানম ও তৎকালীন সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল সেই শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিতে নিষেধ করেন। তবে সুমন নিজ দায়িত্বে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেন—ফলাফল, ৫৭ জন অকৃতকার্য।
📌 ফেল করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছিল সুমনের নিজের সন্তানও
উল্লেখযোগ্যভাবে, ঐ ৬৮ শিক্ষার্থীর মধ্যে সুমনের নিজের সন্তানও ছিল, যিনি একইভাবে পরীক্ষায় ফেল করেছেন।
📌 অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ফেসবুকে অপপ্রচার চালান সুমন
ফলাফল বিপর্যয়ের পর নিজ দোষ ঢাকতে সুমন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অধ্যক্ষ ও সাবেক সভাপতির বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো শুরু করেন।
তিনি একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসে মন্তব্য করে প্রধান শিক্ষককে ‘অযোগ্য’ এবং সভাপতিকে ‘অশিক্ষিত’ বলে আখ্যা দেন।
📌 অভিভাবকদের ক্ষোভ: “চোরের মায়ের বড় গলা”
অভিভাবকরা বলেন, “সুমন এখন দোষ চাপাচ্ছেন অন্যের ঘাড়ে।”
৫ বছরের ফলাফলের তুলনায় ২০২৪ সালের পাশের হার সবচেয়ে নিচে নেমেছে — মাত্র ৬৫%।
📌 নিয়ম ভেঙে এডহক কমিটির সদস্য হওয়ার অভিযোগ
দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীর অভিভাবক হওয়া সত্ত্বেও সুমনকে এডহক কমিটিতে রাখা হয়। যা বিদ্যালয়ের নীতিমালার সরাসরি লঙ্ঘন।
📌 সুমনের অবস্থান:
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সুমন প্রথমে বলেন, ম্যানেজিং কমিটিতে ১১ জন সদস্য থাকেন। আমি একা কি করে এসব করবো।
পরবর্তীতে, আপনি স্বাক্ষর দিয়ে নিজ জিম্মায় তাদের দায়িত্ব নিয়েছেন জানালে, স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে দাবি করে ফোন কেটে দেয় সে।
📌 প্রশাসনের অবস্থান: তদন্ত চলছে
বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, “বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিয়মবহির্ভূত কিছু হয়ে থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
📌 বিদ্যালয়ের মর্যাদা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা
বিতর্কিত সদস্যদের এডহক কমিটিতে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির সুনাম ও ভবিষ্যৎ প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। অভিভাবকরা অবিলম্বে এই কমিটি বাতিলের আহ্বান জানিয়েছেন।