জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত যোদ্ধা, শহিদ পরিবারের পাশে জেলা প্রশাসন

জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আহত যোদ্ধা ও শহিদ পরিবার পেলেন আর্থিক সহায়তা

6
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত যোদ্ধা, শহিদ পরিবারের পাশে জেলা প্রশাসন
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত যোদ্ধা, শহিদ পরিবারের পাশে জেলা প্রশাসন

নারায়ণগঞ্জে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে জেলা প্রশাসন। 

গতকাল বুধবার (৩০ এপ্রিল) এক অনুষ্ঠানে আহত ‘সি’ ক্যাটাগরির যোদ্ধা এবং শহিদ পরিবারকে আর্থিক অনুদানের চেক ও সঞ্চয়পত্র দেওয়া হয়েছে। 

বস্তুত, এই সহায়তা তাদের ত্যাগের প্রতি রাষ্ট্রের একটি স্বীকৃতি। জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে এই সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।

বক্তব্য রাখছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা
বক্তব্য রাখছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা

(সভাপতির বক্তব্য ও মূল বার্তা)
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।

তিনি গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী ও শহিদদের ত্যাগের কথা স্মরণ করেন। 

জেলা প্রশাসক বলেন, “দেশের জন্য যারা ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।” 

এসময় তিনি আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন এবং শহিদ পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

(জেলা প্রশাসকের আবেগঘন বার্তা)
জাহিদুল ইসলাম মিঞা কেবল আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেননি, বরং ছুঁয়ে গেছেন উপস্থিত সকলের হৃদয়। 

তিনি আরও যোগ করেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রতিটি বীর সন্তান আমাদের ইতিহাসের গৌরব। তাদের সাহস আর ত্যাগই জাতি পুনর্গঠনের চালিকাশক্তি।” 

একইসাথে, তিনি একটি আলোকিত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। 

এজন্য, নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নে তরুণ সমাজ, রাজনৈতিক নেতৃত্ব, গণমাধ্যমসহ সকলের সম্মিলিত অংশগ্রহণ জরুরি বলে তিনি গুরুত্বারোপ করেন

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত যোদ্ধা, শহিদ পরিবারের পাশে জেলা প্রশাসন
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত যোদ্ধা, শহিদ পরিবারের পাশে জেলা প্রশাসন

(প্রেসক্লাব সভাপতির দাবি)
অন্যদিকে, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি আরিফ আলম দিপু তার বক্তব্যে শহীদদের স্মরণ করেন। তিনি আহতদের প্রতি সমবেদনা জানান। 

দিপু বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযোদ্ধাদের মতো এই যোদ্ধাদেরও নিয়মিত ভাতা দেওয়া উচিত। পরবর্তীতে যে সরকারই আসুক, তাদের প্রতি এই দাবি জানান তিনি।

(আয়োজনের তাৎপর্য)
মূলত, এই আয়োজন শুধু আর্থিক সহায়তা ছিল না। এটি ছিল জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি রাষ্ট্রের কৃতজ্ঞতা ও সমর্থনের প্রতিজ্ঞা। 

প্রতিটি চেক ও সঞ্চয়পত্র বিতরণের মুহূর্ত নতুন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকারকে মূর্ত করে তোলে।

(উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ)
এই মহতী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মোহাম্মদ মশিউর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইব্রাহীম হোসেন, প্রেসক্লাব সভাপতি আরিফ আলম দিপু। এছাড়াও জামায়াতের মাওলানা মাঈনুদ্দিন আহমেদ, মহানগর বিএনপির এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, জামায়াতের ইঞ্জিঃ মনোয়ার হোসাইন এবং ইসলামী আন্দোলনের মাওলানা দ্বীন ইসলাম ও মুফতি মাসুম বিল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।

(রাজনৈতিক ও সুশীল সমাজের প্রতিক্রিয়া)
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিভিন্ন দলের নেতা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন। তারা আহত যোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানান। 

সবাই জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং ভবিষ্যতেও এমন সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান

(আবেগঘন মুহূর্ত ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ)
আর্থিক অনুদান ও সঞ্চয়পত্র নেওয়ার সময় আহত যোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যরা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। 

তারা জেলা প্রশাসন ও সরকারের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন

(প্রেক্ষাপট)
উল্লেখ্য, গত বছরের জুলাই মাসে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান হয়। সেসময় নারায়ণগঞ্জের অনেকেই এতে অংশ নেন।

তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আহত ও শহিদ হন। তাই, জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগ তাদের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব করবে বলে আশা করা হচ্ছে।