হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের বিরুদ্ধে শিখন সরকার শিপনের অভিযোগ

41

নারায়ণগঞ্জ সমাচার:

হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টির বিরুদ্ধে হিন্দু নেতাদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করা, রাজনীতি করাসহ বিভিন্ন অসংগতির বিষয়ে মুখ খুললেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিপন সরকার শিখন।

শিপন সরকার বলেন, অনেক জায়গায় দেখা গেছে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি নারায়ণগঞ্জে রাজনীতি করছেন। আমাকে ভালো লাগে না, রঞ্জিতরে ফোন দেয়, রঞ্জিতরে ভালো লাগে না দীপক সাহাকে ফোন দেয়, দীপক সাহাকে ভালো লাগে না পরিমল বাবুকে ফোন দেন, লোকনাথ বাবুকে ফোন দেন। আমি উনাকে বলছি দেখেন আমার এই নারায়ণগঞ্জে বিভাজন কইরেন না। আপনি এখানে আসেন, আমি আপনাকে সহযোগীতা করবো।

শনিবার (০৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষ্যে জেলা-মহানগর পূজা পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব বিষয়ে কথা বলেন।

তিনি বলেন, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের গতবছরের টাকা এখনো অনেকে পায় নাই।আমাদের মধ্যে অনেক নেতৃবৃন্দ আছেন যারা ট্রাস্টির সাথে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করেন নিজ নিজ মন্দির উন্নয়ন করার জন্য। আমি শিখন সরকার এইটা করি না। আমি বলি আমার জেলার যে হিস্যা আছে তা শতভাগ নিশ্চিত করে আমাদের কাছে আসেন। আসার পরে কোন থানায় কতটা পাবে, সেটা আমরা বন্টন করে দিবো, আপনি আপনার লোকদের মাধ্যমে বন্টন করেন।

পূজা পরিষদ ছাড়া জেলা চালানো যাবে না উল্লেখ করে শিপন সরকার বলেন, এইবার যদি এই অসংগতি হয়, আমি আমার বিভিন্ন ইউনিয়নের মন্দিরের নেতৃবৃন্দদের অনুরোধ করবো যে, আপনারা বিচ্ছিন্নভাবে কেউ যোগাযোগ না করে দেখেন হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট কি করে। এবং আমাদের সাথে যদি এ ব্যাপারে আলাপ না করে তাহলে জেলা চালাইতে পারবে না। জেলা চালাইতে হলে আমাদের সহযোগীতা লাগবে। না হলে চালাতে পারবে না। কিন্তু আমরা যদি কেউ গোপনে লিয়াজো করি, সেটা বন্ধ করেন।

তিনি আরও বলেন, অনেক জায়গায় দেখা গেছে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সম্মাণিত ট্রাস্টি নারায়ণগঞ্জে রাজনীতি করছেন। আমাকে ভালো লাগে না, রঞ্জিতরে ফোন দেয়, রঞ্জিতরে ভালো লাগে না দীপক সাহাকে ফোন দেয়, দীপক সাহাকে ভালো লাগে না পরিমল বাবুকে ফোন দেন, লোকনাথ বাবুকে ফোন দেন। আমি উনাকে বলছি দেখেন আমার এই নারায়ণগঞ্জে বিভাজন কইরেন না। আপনি এখানে আসেন, আমি আপনাকে সহযোগীতা করবো।

গতবছর ঘটে যাওয়া একটি বিতর্কিত ঘটনার উল্লেখ করে জেলার এ সাধারণ সম্পাদক বলেন, গতবছর জন্মাষ্টমির আলোচনা সভায় একটা বিতর্কিত ঘটনা ঘটছিলো। সেখানে আমাদের সাবেক জেলা প্রশাসক, অত্যন্ত ভদ্র মানুষ জসিম উদ্দিন স্যার উপস্থিত ছিলেন। উনি ব্যাপারটা বুঝতে পেরে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। আমরা বলেছিলাম যে, এই বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের সাথে মতবিনিময় সভা করে বিতরণ করলে ভালো হয়। তবে যাই হোক, উনি একটা সরকারী সংস্থা, উনাদের মাধ্যমে যে টাকা আসে তা উনারা বিভিন্ন মন্দিরে দিতে পারে। আমাদের দাবি এইটা ছিলো যে, আপনার বাড়ি যদি নারায়ণগঞ্জে না হয় তাহলে তো আপনি বলতে পারবেননা টাকাগুলো কোন মন্দিরে বেশী দরকার। আপনি আমাদের সহযোগীতা নেন, আমরা বলে দিবো আপনিই বন্টন করেন, এতে আপনার সহযোগীতা হবে। আমরা সহযোগীতা করার জন্য প্রস্তুত। তবে উনি কিভাবে বিতরণ করবে এটা উনার ব্যাপার।