মেট্রোরেলের পর ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে বিআরটিসি বাসে র‌্যাপিড পাস চালু

14
মেট্রোরেলের পর ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে বিআরটিসি বাসে র‌্যাপিড পাস চালু

নারায়ণগঞ্জ সমাচার:

মেট্রোরেলের পর এবার বিআরটিসি বাসে র‌্যাপিড পাস চালু করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন। বুধবার (২০ মার্চ) সকাল থেকে এই র‌্যাপিড পাসের মাধ্যমে ভাড়া দিয়ে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে বিআরটিসি বাসে চলাচল করছেন যাত্রীরা।

র‌্যাপিড পাস সম্পর্কে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা র‌্যাপিড পাস ব্যবহারের মাধ্যমে চলাচল করতে পারবেন। এই কার্ড দিয়ে মেট্রোরেলেও যাতায়াত করা যাবে বলেন জানান তিনি।

ভবিষ্যতে প্রায় সকল সেক্টরে র‌্যাপিড পাস ব্যবহার করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শুধু মেট্রোরেল নয়, বিআরটিসি বাসের পাশাপাশি বেসরকারী পরিবহন, সড়ক ও সেতুর টোল, সুপার মার্কেটের কেনাকাটা থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীদের বেতন পরিশোধ, সবকিছুই যাতে এই একটি কার্ডের মাধ্যমে করা যায়, সে লক্ষ্যে কাজ করছি আমরা। এটি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের সরকারি পরিষেবার বিলও পরিশোধ করা যাবে, গ্রাহকদের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড এবং মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস অ্যাকাউন্ট থেকে কার্ডটি রিচার্জ করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

বিআরটিসির সূত্র জানিয়েছে, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে র‌্যাপিড পাস কার্ড করা যাবে এবং যাত্রীদের প্রথমে ৪০০ টাকা দিতে হবে। পাস বাবদ ২০০ টাকা প্রতিষ্ঠানটির কাছে জমা থাকবে এবং যাত্রীরা ভাড়া বাবদ বাকী ২০০ টাকা খরচ করতে পারবেন। পরবর্তীতে আবার ব্যাংক থেকে রিচার্জ করতে হবে।

এদিকে, র‌্যাপিড পাস চালু করায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে নারায়ণগঞ্জবাসী। এই রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা বলছে, এই কার্ড সেবা চালু করায় আমরা খুবই আনন্দিত। বাস ভাড়া নিয়ে প্রায়ই পরিবহন শ্রমিকদের সাথে বাক-বিতন্ডার সৃষ্টি হতো, যা থেকে মুক্তি পাবো আমরা। একইসাথে এই পাস ব্যবহার করেই মেট্রোরেলে চলাচল করতে পারবো, এতে করে বাড়তি ঝামেলা থেকেও মুক্তি পাবো।

ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে নিয়মিত চলাচলকারী যাত্রী আরিফ মিয়া বলেন, ২১ তারিখ আমি ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে পাস সংগ্রহ করেছি। সেই পাস দিয়ে বিআরটিসি বাস দিয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকায় গিয়েছি। একইকার্ড দিয়ে আবার মতিঝিল থেকে মেট্রোরেলে করে উত্তরায় গিয়েছি। বাড়তি ঝামেলা এড়াতে সরকারের এই উদ্যোগকে সাধুবাধ জানান তিনি।