নারায়ণগঞ্জের রাজনীতির গুরু নাসিম ওসমানের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

30
নাসিম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ সমাচার:

নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গনের শিক্ষাগুরু জাতিয় পার্টি থেকে বার বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত নাসিম ওসমানের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী শুক্রবার।

২০১৪ সালের ৩০ এপ্রিল ভারতের দেরাদুনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। প্রয়াত এই সাংসদের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার রূহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া প্রার্থনা করেছেন পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে পরিবারের পাশাপাশি অনুসারী নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন স্থানে দোয়া ও মিলাদের আয়োজন করেছেন।

নাসিম ওসমান ১৯৫৩ সালের ৩১ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৬, ১৯৮৮, ২০০৮ এবং ২০১৪ সালে তিনি সদর ও বন্দর নিয়ে গঠিত নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তার বাবা ভাষা সৈনিক একেএম সামসুজ্জোহা ১৯৭০ ও ৭৩ সালে তার আসনেরই সংসদ সদস্য ছিলেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে নাসিম ওসমান ভারতে চলে যান। সেখানে গেরিলা যুদ্ধ প্রশিক্ষণ শেষে দেশে ফিরে এসে যুদ্ধ করেন।

নাসিম ওসমানের ছোট দুই ভাইও সংসদ সদস্য। নাসিম ওসমানের মৃত্যুর পর তাঁরই আসনে উপ-নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তার ছোট ভাই একেএম সেলিম ওসমান। গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও একই আসনে নির্বাচিত হয়ে সংসদ সদস্যের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। আরেক ভাই একেএম শামীম ওসমান ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ নিয়ে গঠিত নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে তৃতীয় বারের মতো সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

নাসিম ওসমান ১৯৭৫ সালের ১৪ আগস্ট পারভীন ওসমানকে বিয়ে করেন। বিয়েতে শেখ মুজিবুর রহমানের বড় ছেলে শেখ কামালও উপস্থিত ছিলেন। বিয়ের পরদিন বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করা হলে, নববিবাহিতা স্ত্রীকে রেখে হত্যার প্রতিবাদ করেন নাসিম ওসমান।

যুব সমাজের আইকন হিসাবে পরিচিত ছেলে আজমেরী ওসমান ছাড়াও তার আরও দুই মেয়ে রয়েছে। তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে পৈত্রিক বাড়ি ‘হীরা মহল’সহ বিভিন্ন স্থানে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।