
প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
দীর্ঘ সময় আইনি লড়াই চালিয়ে নারায়ণগঞ্জের পঞ্চবটিতে ৪২ শতাংশ জমি ফিরে পেয়েছে জমির প্রকৃত মালিক পক্ষ তথা আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড, প্রিন্সিপাল শাখা। অর্থঋণ ডিং মোকাদ্দমা নং ২৮/২০১৯ (সন ২০১ মূল ১৫৯ নং অর্থঋণ মোকাদ্দমা) সূত্রে বিজ্ঞ অর্থঋণ আদালত, নারায়ণগঞ্জের রায়ে বুধবার (০৮ ডিসেম্বর) বেলা ১২টা থেকে পুলিশের সহযোগীতায় অবৈধ দখলদার আল জয়নাল ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের উচ্ছেদে ঐ জমিতে অভিযান চালানো হয়।
এসময় জেলা নাজির কামরুল হুদার নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ উপস্থিত ছিলো। আদালতে রায়ে জমির প্রকৃত মালিক আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড, প্রিন্সিপাল শাখা। শহরে ভুমিদস্যু হিসাবে পরিচিত আল জয়নাল ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা দীর্ঘ সময় ধরে জমিটি অবৈধভাবে তাদের দখলে রেখেছিলো।
জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা থানাধীন, হরিহরপাড়া মৌজার জে এল নং সি. এস ১৬৬, এস. এ ৪২, খতিয়ান নং সি. এস. ৫১০, এস. এ ৪৭০, আর. এস ৫২৭, মিউটেশন খতিয়ান নং ৮৯১ ও ৪৭০, জোত নং ৮৯০ ও ১০২৬, দাগ নং- সি.এস ও এস.এ ১৮৪, আর এস ১৬০, দাগে ৪২ শতাংশ জমির মালিক আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড, প্রিন্সিপাল শাখা।
জমিটির মূল মালিক মোশারফ গং ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয় এবং এক পর্যায়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর পর তার সন্তানরাও ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে চুক্তি মোতাবেক জমির স্বত্ব বুঝে নেয় ব্যাংক। পরবর্তীতে ব্যাংক জমিটির নিলামের ডাক দিলেন আল জয়নাল সেই নিলামে বাধা প্রদান করে এবং নিজেকে খরিদসুত্রে জমির মালিক দাবী করে। পরবর্তীতে এ বিষয়ে মামলা চলমান থাকে। সর্বশেষ অর্থঋণ ডিং মোকাদ্দমা নং ২৮/২০১৯ (সন ২০১২ মূল ১৫৯ নং অর্থঋণ মোকাদ্দমা) সূত্রে বিজ্ঞ অর্থঋণ আদালত, নারায়ণগঞ্জ এর রায়ে জমির মালিকানা ফেরৎ পান আইএফআইসি ব্যাংক, প্রিন্সিপাল শাখা।
এ রায়ের প্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার (০৮ ডিসেম্বর) বেলা ১২টা থেকে জেলা নাজির কামরুল হুদার উপস্থিতিতে ও পুলিশের সহযোগীতায় অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে ঐ জমিতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে বেশ কয়েকটি অবৈধ টিনশেড স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়া হয় এবং বিজ্ঞ আদালতের রায়ে এই জমি আইএফআইসি ব্যাংককে বুঝিয়ে দেয়া হলো সরেজমিনে এ এলানও করা হয়।
এসময় জমির মালিক দাবিদার আল জয়নালের পক্ষে গোলাম কাদির নামে শ্রমিক নেতা দাবিদার একজন এসে উচ্ছেদ অভিযানে বাধা প্রদানের চেষ্টা করে। কিন্তু উপস্থিথ জেলা নাজির ও পুলিশ কর্মকর্তারা আদালতের রায়ের বিষয়ে জানালে সে পিছু হটে এবং সুষ্ঠুভাবে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়।
এ বিষয়ে জেলা নাজির কামরুল হুদা সাংবাদিকদের জানান, বিজ্ঞ আদালতের রায়ে এ জমিটির মালিকানা ফিরে পান আইএফআইসি ব্যাংক। তাই বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ব্যাংকটিকে জমিটির মালিকানা বুঝিয়ে দেয়া হলো এবং এলান করা হলো।