
নারায়ণগঞ্জ সমাচার:
বিএনপির বন্ধুরা অশান্তির সমাবেশ করবে বিকেলে, ঠিক ইফতারির আগ মুহুর্তে ফলে জনদুর্ভোগ বেড়ে যাবে। বিএনপির উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আপনারা নির্বাচনে আসেন। বিদেশীদের কাছে দৌড়ঝাপ করে কোনো লাভ নেই। বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের একটাই রাস্তা, সেটা হলো নির্বাচন। নির্বাচনে জয়লাভ করলে আপনারা ক্ষমতায় আসবেন, আমরা আপনাদের ফুলের মালা দিয়ে বরণ করবো।
বিএনপি-জামাত-শিবিরের রাজনীতির নামে ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের প্রতিবাদে শান্তি সমাবেশে একথা বলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা। শনিবার (০৮ এপ্রিল) বেলা ১২টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে মহানগর আওয়ামীলীগের উদ্যোগে এ শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
খোকন সাহা বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার হাইকোর্ট বাতিল করেছে। মওদুদ আহম্মেদ জীবিত থাকা অবস্থায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার বহাল রাখার দাবিতে রিট করেছিলেন হাইকোর্টে। তার জীবদ্দশায় মহামান্য হাইকোর্ট বলেছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার মানে একটি অনির্বাচিত সরকার। কোথাও অনির্বাচিত সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে হতে পারেনা। সারা পৃথিবীতে কোনো নজির নাই।
তিনি বলেন, ম্যাডাম খালেদা জিয়া একসময় বলেছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার নাকি পাগলের সৃষ্টি। আজ কেন তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার চান? হাইকোর্ট যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার না করে দিলেন তখন মওদুদ সাহেব আর সুপ্রিম কোর্টে রিট করেন নাই। কেননা মওদুদ সাহেব অত্যন্ত পন্ডিত ব্যক্তি ছিলেন, আইনের মহাসাগর ছিলেন, তিনি দেখলেন সুপ্রিম কোর্টে গেলে সেই একই রায় হবে। আসলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার সঠিক না, এটা উনি মেনে নিয়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির মির্জা ফখরুল সাহেব ইদানিং বলে বেড়াচ্ছেন তারেক সাহেব, তারেক জিয়া নাকি শিশু মুক্তিযোদ্ধা ছিলো। ক্যান্টনমেন্টে মেজর জেনারেল জানজুয়ার সাথে ছিলেন খালেদা জিয়া, তার সাথে ছিলেন তারেক রহমান। পাকিস্তানের আরেকজন মেজর জেনারেল বইয়ের মধ্যে যা লিখেছেন তার বাংলা অর্থ এমনই দাড়ায়। তাহলে তারেক জিয়া মুক্তিযোদ্ধা কোথা থেকে হলো।
মহানগর আ.লীগের এ সেক্রেটারী বলেন, আজকে আপনারা অশান্তির সমাবেশ করছে, কোথাও তো কেউ বাধা দেয় নাই। জোট সরকারের আমলে মালাসহ আমাদের বোনেরা আপনাদের হাত থেকে রক্ষা পায় নাই। শামীশ ওসমানের নির্বাচনী এজেন্ট ছিলো আমাদের ২টা বোন, তাদেরকে ধর্ষণ করা হয়েছে। আমরা ভাবতাম মহিলারা যদি সামনে থেকে তাহলে হয়তো পুলিশ হামলা করবে না, কিন্তু বিশ্বাস করেন আমাদের নারী নেত্রীদের, বোনদের মেরে রক্তাত্ব করা হয়েছে। অনেককে বিবস্ত্র করা হয়েছে। আমরা কিন্তু সেগুলো করছি না। সেই নৃশংস ঘটনা যদি আমাদের মনে পড়ে যায়, তাহলে আমাদের থামায় রাখতে পারবেন না, থামিয়ে রাখতে পারবেন না। প্রতিশোধ নেয়ার স্পিহা আমাদের অনেক, কিন্তু চেপে রেখেছি।
মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ভুইয়া সাজনু বলেন, ২০১৩-১৪ সালে আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে দেশের মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছিলো এই জামাত-বিএনপি। তারা আবারও আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে এই বাংলাদেশকে পিছিয়ে দেয়ার পায়তারা করছে। জননেতা একেএম শামীম ওসমানের নির্দেশে আমরা রাজপথে আছি। যদি বিএনপি জামাতকে নারায়ণগঞ্জের রাজপথ থেকে উৎখাতের নির্দেশ আসে, তাহলে তাদেরকে আমরা রাজপথ থেকে উৎখাত করবো। আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের নেতৃত্বে যুবলীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী মিলে এই নারায়ণগঞ্জ থেকে বিএনপিকে বিতাড়িত করবো।
মহানগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এড. হান্নান আহম্মেদ দুলালের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এড. আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল, মহানগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রবিউল হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক জি এম আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক এড. মাহমুদা মালা, দপ্তর সম্পাদক এড. বিদ্যুৎ কুমার সাহা, ১২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি নিয়াজুল ইসলাম, ১৪নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি পারভেজ, শহর যুবলীগ সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ভুইয়া সাজনু প্রমুখ।