
নারায়ণগঞ্জ সমাচার:
নগরীর উকিলপাড়া এলাকার সহিতুন্নেছা মার্কেটের হোসিয়ারী গেঞ্জির ব্যবসায়ী বিমল সাহা ও তার বন্ধুর ভাতিজা বলাই সাহার উপর দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছে একই মার্কেটের কেয়ারটেকার লিটন। এ ঘটনায় উভয়ে বাদি হয়ে লিটন ও তার ছেলে অনিকের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় ২টি লিখিত অভিযোগ ও একটি সাধারণ ডায়েরী দায়ের করেছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, তিনি ১৩৫, বঙ্গবন্ধু সড়কের সহিতুন্নেছা মার্কেটের নিচতলায় একটি দোকান ঘরের পজিশন মালিক। এই দোকানে হোসিয়ারী গেঞ্জির ব্যবসায় পরিচালনা করেন তিনি। বিবাদী লিটন বিভিন্ন সময় নিজেকে মার্কেটের মালিক দাবি করে বিমল সাহা ও তার স্ত্রী ঝুমুর সাহার সাথে খারাপ আচরণসহ নানা অশালীণ মন্তব্য করে। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার দুপুরেও লিটন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। এতে উভয়ের মাঝে কথা কাটাকাটি হলে ধারালো কেচি দিয়ে বিমল সাহাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথারী আঘাত করার চেষ্টা করে লিটন। এসময় কেচির আঘাতে বিমল সাহার বাম হাতের বাহুতে বেশ কয়েকটি স্থানে রক্তাত্ব জখম হয়। তার স্ত্রী ঝুমুর সাহা এগিয়ে আসলে তাকেও গালিগালাজ করাসহ ধাক্কা দিয়ে ফ্লোরে ফেলে আহত করে।
বলাই সাহা জানায়, সোমবার দুপুরে দেখতে পাই, ব্যবসায়ী বিমল সাহাকে এলোপাথারী মারধর করছে অনিক ও তার বাবা লিটন। এসময় আমি মানবিক কারণে বিমল সাহাকে বাঁচানের চেষ্টা করলে অনিক আমার শার্টের কলার চেপে ধরে নাকে মুখে ও চোখে এলোপাথারী কিল ঘুষি মেরে ঠোট কেটে ফেলে। এসময় অনিক, তার বাবা লিটন ও মার্কেটের দারোয়ান মিলে কিল, ঘুষি ও কাঠ দিয়ে আমার ঠোট কেটে রক্তাত্ব জখমসহ চোখে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। আমার ৩৫ হাজার টাকা মূল্যের ৬ আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন এবং ২ হাজার দুইশত টাকা মূল্যের একটি হাত ঘড়ি ছিনিয়ে নেয়। আমাকে বাঁচাতে আমার ভাই রাজন সাহা ও চাচা পিন্টু সাহা এগিয়ে আসলে তাদেরও এলোপাথারী চর থাপ্পর দেয় বেপরোয়া লিটন।
এ ঘটনায় বিমল সাহা ও বলাই সাহা বাদি হয়ে লিটন ও তার ছেলে অনিকের বিরুদ্ধে ২টি লিখিত অভিযোগ ও ১টি জিডি দায়ের করে। জিডি নং- ১০৫। তাং- ০২-০৫-২০২৩ইং।