সোনারগাঁকে পুনরায় প্রাচীণ বাংলার রাজধানীর আলোকে সাজাবো

16

নারায়ণগঞ্জ সমাচার:

ইতিহাস, ঐতিহ্যের ধারক-বাহক ও প্রাচীন বাংলার রাজধানী সোনারগাঁকে পুনরায় প্রাচীন বাংলার আলোকে সাজাতে চান নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী ও সদ্য সাবেক এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা। নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে সংসদ সদস্য পদে জমাকৃত মনোনয়নপ্রত্র বৈধ ঘোষণার পর গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে একথা জানান তিনি।

লিয়াকত হোসেন খোকা বলেন, বিগত ১০ বছর যাবৎ সোনারগাবাসীর সাথে আছি। নিজের লোভ-লালসা ত্যাগ করে এলাকার মানুষের জন্য কাজ করছি, নিজের অর্থ সম্পদ বিক্রি করে করোনা মহামারিসহ বিপদে-আপদে মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। এলাকার প্রয়োজনীয় কাঠামোগত উন্নয়ন করার চেষ্টা করেছি। আর এজন্য আমি সোনারগাঁয়ের সাধারণ মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি, এটা বড় তৃপ্তি এবং আল্লাহ তায়ালার প্রতি শুকরিয়া জানাই। সোনারগাঁয়ের খেটে খাওয়া মানুষগুলো আমাকে খুব ভালোবাসে।

সোমবার (০৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রার্থীতা যাচাই-বাছাই অনুষ্ঠানে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক এ মনোনয়নপ্রত্র বৈধ ঘোষণা করেন।

খোকা বলেন, জনগনের ভালোবাসার আলোকে তাদের উন্নয়নের জন্য সর্বদা কাজ করেছি। মহান রাব্বুল আলামিন তার বান্দাদের সেবা করার যে উদ্দেশ্যে আমাকে জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব দিয়েছিলো, আমি সেই দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করেছি। আগামী দিনেও যদি নির্বাচিত হই, জনগন যদি আমাকে ভোট দেয় এবং মহান আল্লাহ পাক যদি আমাকে নির্বাচিত করেন, তাহলে প্রাচীন বাংলার রাজধানীর আলোকে সোনারগাঁকে পুনরায় সাজাবো এবং গ্রামকে শহর করবো।

তিনি আরও বলেন, সবচেয়ে বড় কথা হলো, সামাজিক অবক্ষয় তথা যুবসমাজের অবক্ষয় থাকলে দেশের উন্নয়ন হয় না। আমি এই বিষয়ে অনেক কাজ করেছি। ভবিষ্যতে যেটা করবো, সেটা হলো এলাকায় এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ নিয়ে পাঞ্চায়েত ব্যবস্থা চালু করবো এবং সামাজিক অবক্ষয় রোধে কাজ করবো। কেননা যুবসমাজ বর্তমান মাদকসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।

নির্বাচনে জয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, জয়ের ব্যাপারে আমি আশাবাদী এবং নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমার আস্থা আছে, নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। জনগনের ভোটে যে নির্বাচিত হবে, সেই আগামী দিনে সংসদ সদস্য হয়ে জনগনের জন্য কাজ করবে।

এর আগে, আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির সভাপতির নিকট লিখিত ব্যাখ্যা দেন তিনি।

এ বিষয়ে খোকা বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচনী কালচার হচ্ছে, প্রার্থীর ভালোবাসার মানুষ, নেতাকর্মী ও সমর্থকরা উল্লাস করে। আমি কিন্তু আমার প্রস্তাবকারী ও সমর্থকারীসহ ৫জনকে নিয়েই সেদিন উপজেলা পরিষদে মনোনয়ন জমা দিতে যাই। তারপরও অনাকাঙ্খিতভাবে জনগন সেদিন জড়ো হয়ে উল্লাস করে। এতে আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে, তবে সেটা অনিচ্ছাকৃতভাবে। এজন্য আমি লিখিত ব্যাখ্যা প্রদান করেছি।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাকে উজাড় করে ভালোবাসায়, আমার কর্মী সমর্থক ও নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি এবং সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেয়ার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের আচরণ বিধি মেনে চলার বিষয়ে কর্মী-সমর্থকদের সর্বাত্মক সহযোগীতা কামনা করছি। একইসাথে নির্বাচন কমিশনকে সহযোগীতা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।