জমি দখল চেষ্টা, বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ সুরুজ বেপারীর বিরুদ্ধে

23

নারায়ণগঞ্জ সমাচার: 

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা থানাধীন ভুইগড়ে জমি দখল করার লক্ষ্যে বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ৩ লাখ টাকার মালামাল লুটের ঘটনা ঘটেছে। ০২ ডিসেম্বর রাতে ভুইগড়স্থ শান্তিনগর এলাকায় মোসলেহ উদ্দিনের বাড়িতে এ হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একই এলাকার রব বোপারীর ছেলে, দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী, ডাকাত সুরুজ বেপারীসহ তার সাঙ্গপাঙ্গ ও অজ্ঞাতনামা ৪/৫জনের বিরুদ্ধে বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী মোসলেহ উদ্দিন।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ২৬ বছর আগে ভুইগড়ে সাড়ে এগার শতাংশ জমি কিনে ঘর বাড়ী নির্মাণ করে সেখানে বসবাস করছে মোসলেহ উদ্দিনের পরিবার। এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ভুমিদস্যু সুরুজ বেপারী ও তার লোকজন মোসলেহ উদ্দিনের সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পায়তারা সহ হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিলো। বিভিন্ন সময়ে ভুয়া কাগজপত্র নিয়ে আসামীরা এ সম্পত্তি তাদের বলে দাবি করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ০২ ডিসেম্বর রাতে সুরুজ বেপারীর নেতৃত্বে, আব্দুল্লাহ তারেক খোকন, জামাই ইব্রাহীমসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫জন ধারালো চাকু, ছোরা, লোহার রড, কাঠের ডাসা ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র সন্ত্র নিয়ে মোসলেহ উদ্দিনের বাড়িতে প্রবেশ করে বাড়ীর লোকজনদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে হামলা চালায়। এসময় আসামীরা বাড়ীতে স্থাপনকৃত ৩টি টিনের ঘর, একটি রান্না ঘর, একটি গোসল খানা ভাংচুর করে প্রায় ৩ লাখ টাকার ক্ষতি সাধান করে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে এবং আরও ৩ লাখ টাকার মালামাল একটি ট্রাকে উঠিয়ে নিয়ে যায়। হামলার ঘটনা জানতে পেরে আসামীদের জিজ্ঞাসা করলে তারা মোসলেহ উদ্দিনকে জীবন নাশের হুমকি দেয়।

ভুক্তভোগী মোসলেহ উদ্দিন জানান, সুরুজ বেপারীসহ উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা এলাকায় চিহ্নিত অপরাধী, দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা আছে বলেও শুনেছি। এরা আমার বাড়ি জোরপূর্বক দখল করার লক্ষ্যে দীর্ঘ সময় ধরে চেষ্টা করছে। তারই ধারাবাহিকতায় তারা এবার আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ৩ লাখ টাকার মালামাল লুট করে। আমি এই ঘটনার বিচার চাই, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনসহ নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

অভিযোগের বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরে আযম মিয়া বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়।