
নারায়ণগঞ্জ সমাচার:
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৪ ও ৫ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ১২ জন প্রার্থী। তবে, এদের কারোই তেমন কোনো পরিচিতি না থাকায় এবং শক্ত কোনো অবস্থান না থাকায় পুনরায় এমপি নির্বাচিত হয়েছেন আসন দুটির বর্তমান সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান ও তার বড় ভাই একেএম সেলিম ওসমান।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী শামীম ওসমান নৌকা প্রতীকে পান ১ লাখ ৯৫ হাজার ৮২৭ ভোট। এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী বাকী ৭ প্রার্থীর সকলেই তাদের জামানত হারিয়েছেন। এর হলেন- তৃণমূল বিএনপির মো. আলী হোসেন (সোনালী আঁশ, প্রাপ্ত ভোট ১৯৮৭), বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির মো. গোলাম মোর্শেদ রনি (ডাব, প্রাপ্ত ভোট ৫৫১), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জাসদের মো. ছৈয়দ হোসেন (মশাল, ১ হাজার ২৩ ভোট), জাকের পার্টির মো. মুরাদ হোসেন জামাল (গোলাপ ফুল, ৭ হাজার ২৬৯ ভোট), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) (আম, ৭২৭ ভোট), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মো. সেলিম আহমেদ (বি.এস.পি) (একতারা, ১ হাজার ৪১৮ ভোট), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মো. হাবিবুর রহমা (চেয়ার, ১ হাজার ৯৫৫ ভোট)।
আসনটিতে ২৩১টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৫৬২টি ভোট কক্ষে এই ভোট পড়েছে। ফতুল্লার ৫টি ইউনিয়ন ও সিদ্ধিরগঞ্জের ১০টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এই আসনে মোট ভোটার ছিলো ৬ লাখ ৯৬ হাজার ১৩৯ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৩ লাখ ৪৩ হাজার ৬৯২ জন ও নারী ভোটার ৩ লক্ষ ৫২ হাজার ৪৪১ জন। এখানে তৃতীয় লিঙ্গের ৬ জন ভোটার রয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী সেলিম ওসমান ১ লাখ ১৫ হাজার ৪২৫ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন। এই আসনের মোট প্রার্থী ৪ জন। এখানে তিনজনই হারিয়েছেন তাদের জামানত। জামানত হারানো প্রার্থীরা হলেন- ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের এ এম এম একরামুল হক (চেয়ার, ৬ হাজার ৬৭৬ ভোট), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বি.এস.পি) ছামছুল ইসলাম (একতারা, ১ হাজার ৭১৮ ভোট), তৃণমূল বিএনপির মো. আবদুল হামিদ ভাসানী ভূঁইয়া (সোনালী আঁশ, ১ হাজার ৮৩১ ভোট)। আসনটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৯৪ হাজার ৪০০ জন।