মাকসুদ হোসেনকে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায় বন্দর উপজেলাবাসী

16

নারায়ণগঞ্জ সমাচার:

সবেমাত্র উৎসবমুখর পরিবেশে শেষ হলো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। উৎসবের আমেজ শেষ হতে না হতেই এবার আসছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। সংসদ নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় উপজেলা নির্বাচনেও প্রার্থী দেবে না বিএনপি। এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনেই তারা অংশ নেবে না। যারা প্রার্থী হবেন তাদের বিরুদ্ধে দলীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও গ্রহন কা হবে বলে জানিয়েছেন দলটির নেতারা।

তবে, নির্বাচনে প্রার্থী হতে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের অভ্যন্তরে ব্যাপক তোড়জোর লক্ষ করা যাচ্ছে। বন্দর উপজেলায় অন্তত ৮ জন প্রার্থী মাঠে নামছেন বলে জানা গেছে। প্রাথমিকভাবে দলীয় মনোয়নের জন্য তাদের লড়াই শুরু হচ্ছে। দল থেকে মনোনয়ন না পেলে অনেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সুত্র মতে, এই উপজেলায় প্রার্থী তালিকায় যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ রশিদ, মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাকসুদ হোসেন, মদনপুর ইউপি চেয়ারম্যান এম এ সালাম, কলাগাছিয়া ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার প্রধান, বন্দর ইউপি চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন, ধামগড় ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন, সাবেক চেয়ারম্যান মাসুম হোসেন ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজিম উদ্দিন।

প্রার্থীদের সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্ভাব্য এই আট প্রার্থীর মধ্যে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছেন মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাকসুদ হোসেন। কেননা, দীর্ঘদিন ধরে মুছাপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি যে কোনো বিপদে আপদে বন্দর উপজেলাবাসীর পাশে ছিলেন। করোনাকালে সরকারের ত্রাণ সহায়তার পাশাপাশি নিজের ব্যক্তিগত অর্থায়নেও অসহায়দের মাঝে খাদ্য সামগ্রীর উপহার পৌছে দিয়েছেন।

এছাড়া, বন্দর উপজেলাটি নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের আওতাভুক্ত হওয়ায়, বর্তমান এমপি একেএম সেলিম ওসমানের পছন্দের প্রার্থী অন্যদের চেয়ে স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা এগিয়ে থাকবে। সেক্ষেত্রে এই আট প্রার্থীর মধ্যে সেলিম ওসমানের পছন্দের তালিকায় মাকসুদ চেয়ারম্যানের নাম বরাবরই থাকে প্রথম সারিতে। সবদিক বিবেচনায়, উপজেলাটিতে চেয়ারম্যান হিসেবে স্থানীয় এমপি ও স্থানীয় জনগনের কাছে মাকসুদ হোসেনই প্রথম পছন্দ বলে দাবি এলাকাবাসির।

যদিও নির্বাচনে প্রার্থীতার বিষয়ে এখনই মুখ খুলতে রাজী নন মাকসুদ হোসেন। তবে, তার ঘনিষ্ঠ সুত্রের দাবি, বন্দরের সাধারণ মানুষ ও রাজনীতিবীদদের প্রায় সকলেই বন্দর উপজেলার পরবর্তী চেয়ারম্যান হিসেবে মাকসুদ হোসেন দেখতে চায়। এ লক্ষ্যে সাধারণ মানুষ ও রাজনীতিবীদরা ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছেন বলেও জানা গেছে।

উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রেষ কাটতে না কাটতেই শুরু হয়েছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ডামাঢোল। আগামী মার্চে এ উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক। সম্প্রতি জেলা অপরাধ প্রতিরোধ বিষয়ক এক সভায় এ তথ্য দেন তিনি। সেই হিসেবে ফেব্রুয়ারিতেই সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসীল ঘোষণা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনও প্রথম ধাপের নির্বাচন রোজার ঈদের আগেই করতে চায় বলে ইতিমধ্যে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।