ডিগবাজি দিয়ে নৌকা থেকে ধানের শীষে উঠার চেষ্টা সেন্টুর

91

নারায়ণগঞ্জ সমাচার:

কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টুর রাজনৈতিক যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৮ সালের জুলাই মাসে বকাউন্সিলের মাধ্যমে,হয়েছিলেন ফতুল্লা থানা যুব দলের সভাপতি, ফতুল্লা থানা বি.এন.পির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করে করেছেন। বার বার নির্বাচিত হয়ে রাজনৈতিক দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি কি ভাবে পল্টি দিয়ে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে হয় সেই বিষয়টিও খুব ভালো ভাবে রপ্ত করে নিয়েছিলেন। ২০২১ সালের ১১ নভেম্বর শামিম ওসমানের হাত ধরে বাংলাদেশে আওয়ামীলীগের সদস্যপদ লাভ করে,সেই সাথে বাগিয়ে নেয় কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন, ফলে এবার তিনি বনে যান কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের নৌকার মাঝি। আওয়ামিলীগ নেতা কর্মি ও পুলিশের অত্যাচারে বি.এন.পি নেতারা পরিবার পরিজন রেখে যখন ফেরারি জীবন জাপন করতো, তখন মনিরুল আলম সেন্টু শামীম ওসমানের গুনগান আর আওয়ামিলীগের উন্নয়নের ঢোল পিটিয়ে বেড়াতো। ক্ষমতার লোভ মানুষকে কতটা নিচে নামাতে পারে তার জ্বলন্ত উদাহরণ হলো কুতুপুর ইউনিয়নের আওয়ামিলীগের নৌকার মাঝি মনিরুল আলম সেন্টু।
সম্প্রতি ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে যে,গন অভ্যুত্থানের সৃষ্টি হয় সেই গন অভ্যুত্থানে সৈরাচার হাসিনার পতনের সাথে সাথেই, মনিরুল আলম সেন্টুর বোল পাল্টেতে থাকে। গতকাল কুতুবপুর ইউনিয়ন ৯ নং ওয়ার্ড বি.এন.পি ও অঙ্গসংগঠন কর্তিক আয়জিত সৈরাচার ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে সকল মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী ও শহীদদের স্মরনে আয়োজিত একটি দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখতে দেখা যায় এবং রাস্তায় ট্রাফিকের কাজে নিয়োজিত ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে পানি ও খাবার বিতরন করতেও দেখা যায়। অথচ এই ছাত্র-ছাত্রীরা যেন রাস্তায় দ্বাড়াতে না পারে আন্দোলন করতে না পারে তার জন্য এমন কোন চেস্টা বাকি রাখেন নাই এই সেন্টুদের মতো নৌকার মাঝিরা, কোন কারনে যদি এই বৈষ্যম্য বিরুধী ছাত্র আন্দোলন বিফল হতো তাহলে, এই সেন্টুরাই রাজাকারের ভূমিকা পালন করে কোমলমতি শিক্ষার্থী ও বি.এন.পি নেতাদের লম্বা একটা লিস্ট করে,ধরিতে দিতো পুলিশ দিয়ে। বি.এন.পির অনুষ্ঠানে সেন্টুর উপস্থিতিতে বি.এন.পি নেতা কর্মিরা খোবে ফুসে উঠে এবং ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে কুতুবপুর আওয়ামিলীগ নৌকার মাঝি, নির্লজ্জ সেন্টু চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবী করেন। মনিরুল আলম সেন্টু একজন নীতি-আদর্শ ও বিবেকহীন, নির্লজ্জ দালাল সেই বিষয়ে এখন আর কোন সন্দেহ নাই, দিনের আলোর মতো পরিস্কার। যারা সৈরাচারের দোষর হয়ে সৈরাচারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সমর্থন দিয়ে সহযোগীতা করেছে তারাও সৈরাচার। আওয়ামিলীগের নৌকার মাঝি কে ধানের শীষে তোলার চেস্টায় যারা ব্যাস্ত হয়ে পরেছে তারা আসলে কারা? মনিরুল আলম সেন্টু নৌকা থেকে ধানের শীষে উঠে এলে তাদের কি লাভ? এই বিষয়গুলো বি.এন.পির নেতাদের এখনই ভেবে দেখার সময়।সেন্টুর মতো পল্টি বাজরা যদি বার বার গিরগিটির মতো রং পরিবর্তন করে ধানের শীষ- নৌকা, নৌকা- ধানের শীষ করতে থাকে তাহলে প্রকৃত নির্যাতন, নিপিড়ীত নেতাদের মূল্যায়ন কখনোই হবেনা, তারা আসবে চেয়ারের জন্য তারা আসবে ক্ষমতার জন্য । রাজনীতি বোদ্ধাদের মতে সেন্টুর মতো পল্টিবাজ দালালদের কারনে যদি বি.এন.পির দুর্দিনে পরিক্ষিত নেতাদের মূল্যায়ন করা না যায়, তবে এটি হবে বি.এন.পির জন্য চরম লজ্জার একটি ব্যাপার সেই সাথে আর কখনোই ফতুল্লা বি.এন.পিতে ত্যাগী নেতাদের জাম্মাবার সুযোগ হবেনা। বি.এন.পি যদি মনে করে থাকে তারা ইতিমধ্যে ক্ষমতায় চলে এসেছে তাহলে এটি হবে আরো একটি বোকামি, দলটির এখন দল গুছানোর মোক্ষম সময় ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতাদের মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রস্তুতি গ্রহন সময়, সামনে আরো অনেক পরিক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে ক্ষমতায় যেতে হবে। ঠিক এই সময়টায়ে সেন্টু চেয়ারম্যানের মতো ডিসকোয়ালিফাই, নীতি আদর্শহীন পচে যাওয়া নেতাদের দলে ভিড়িয়ে দলকে দুর্ভল করার মতো বোকামি করার সময় নয়।