
নারায়ণগঞ্জের আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন ওরফে ঘি জাকির এর পদত্যাগের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ডাকসুর সাবেক নেতা ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মিলন মেহেদি।
প্রধান অতিথি তার বক্তৃতায় বলেন, গত ১৭ বছর এই ফ্যাসিষ্ট সরকারের জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছি আমরা। এ নির্যাতন, জুলুম থেকে আমাদেরকে রক্ষা করেছে ছাত্র-জনতা। হাজার হাজার শিক্ষার্থীর রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন হয়েছি। স্বাধীন হওয়ার পরেও অবাক হয়ে লক্ষ্য করছি এই ফ্যাসিষ্ট সরকারের দোসররাই নাকি আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করছে। আমি অবাক হচ্ছি সেই চেয়ারম্যানকে বসিয়ে রেখে কেনো আপনারা এখানে এসেছেন। একটি সরকারের সর্বনিম্ন শক্তি হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ। আর ইউনিয়ন পরিষদের সেই সকল চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের দ্বারাই জুলুম নির্যাতন চালিয়েছে সারাদেশে। অথচ তারা সরকারের কোন প্রকল্প বাস্তবায়ন না করে সেই টাকা লুটপাট করে খেয়েছে।
আপা নাকি বর্ডারের ঐ পার আছেন, আসলে এটা একটা মিথ্যা ঘটনা। তিনি একজন স্বার্থপর নেত্রী যিনি কিনা তার নেতাকর্মীদের ফেলে বাঁচার জন্য দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন। তাই এখন আর দেশের কোন আওয়ামী লীগাররাও তার সাথে নেই। এমনকি আওয়ামী লীগ নতুন করে আর এদেশে রাজনীতিও করতে পারবে না।
বর্তমান তত্বাবধায়ক সরকারকে উৎখাতের জন্য গভীর ষড়যন্ত্র চলছে, কারন ড. ইউনুস বিভিন্ন সেক্টরগুলো সংস্কার করছেন। এগুলো যদি সংস্কার না হয় তাহলে আসন্ন নির্বাচনে জনগণের ভোটে সুক্ষভাবে নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে পারবোনা। তাই এ সরকারকে টিকিয়ে রাখতে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আপনারা আজই জেলা প্রশাসক ও ইউএনও এর সাথে কথা বলবেন। সে আওয়ামী লীগ করেও আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করছে। ওনাকে এ পদ থেকে নামাতেই হবে। এসময় নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতৃবৃন্দকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেনকে বাদ দিয়ে নতুন করে কমিটি গঠন করুন।
বিএনপি নেতা আক্তারুজ্জামান বলেন, আমাকে বিভিন্ন সময় হুমকী দেওয়া হয়েছে, মামলার ভয় দেখানো হয়েছে। কিন্তু কখনো বিএনপি থেকে সরে যাইনি। বলেছে, বিএনপি থেকে সরে আসো সব আমরা দেখবো। আপনি শেখ হাসিনার জন্মদিন পালন করেছেন, ১৫ আগষ্ট পালন করেছেন, টুঙ্গিপাড়ায় গিয়ে মাজার জিয়ারত করেছেন। আর বলেন আমাদের সাথে আসো মামলা থেকে প্রত্যাহার করা হবে, নইলে মামলা দিচ্ছেন। যতখুশি মামলা দেন কিন্তু বিএনপি থেকে কখনো সরে যাবো না। ওরা নাকি এবার বোরকাও পায়নি, ছায়া-ব্লাউজ পরছে নাকি কে জানে। প্রশাসনকে অনুরোধ করবো, তার বিশাল লাঠিয়াল বাহিনী রয়েছে। ডিক্রির চরে অভিযান পরিচালনা করুন।
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন, সোহেল আহমেদ, ইউনিয়ন বিএনপি নেতা শাহজাহান, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান, বিএনপি নেতা আল-আমিন ইকবাল, মতিউর রহমান মতি, সাবেক চেয়ারম্যান শুক্কুর আহমেদ, সাবেক চেয়ারম্যান বদরুল ইসলাম বাবু সহ প্রমুখ।