বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ।
তার মতে, খালেদা জিয়াকে যে দেশ নিরাপত্তা দিয়েছে, সে দেশের মানুষ তারেক রহমানকেও নিরাপত্তা দিতে পারবে।
তিনি বিশ্বাস করেন, তারেক রহমানের দ্রুত দেশের মাটি ও মানুষের ঘ্রাণ নেওয়া প্রয়োজন, যা দেশপ্রেমেরই বহিঃপ্রকাশ।
সোমবার (০১ সেপ্টেম্বর) রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে অংশ নিয়ে আবদুল হান্নান মাসউদ এই মন্তব্য করেন।
নিরাপত্তার আশ্বাস ও দেশপ্রেমের আহ্বান
এনসিপির এই নেতা জোর দিয়ে বলেন, “বিএনপির নেতা তারেক রহমান দেশে আসেন না। আমরা চাই তিনি দেশে আসুক।
বেগম জিয়া দেশে নিরাপদেই আছেন, এ দেশের মানুষ তাকে বরণ করে নিয়েছে। যে দেশের মানুষ খালেদা জিয়াকে নিরাপত্তা দিয়েছে, তারা তারেক রহমানকেও নিরাপত্তা দিতে পারবে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “দেশের মাটি-মানুষের ঘ্রাণ তারেক রহমানের দ্রুত নেওয়া দরকার। এটা দেশপ্রেমেরও বহিঃপ্রকাশ।
কারণ দূর থেকে দেশের মানুষকে খুব সহজে অনুভব করা যায় না।”
এনসিপি ও বিএনপির সম্পর্ক: সমালোচনা, কিন্তু দূরত্ব নয়
এনসিপি কি বিএনপিকে বিরোধী মনে করে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে মাসউদ বলেন যে, তার মনে হয় না বিএনপির সঙ্গে তাদের দূরত্ব তৈরি হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমরা বিএনপির কিছু কাজের সমালোচনা করি, জামায়াতেরও সমালোচনা করি। আমরা সব রাজনৈতিক দলেরই বিভিন্ন কাজের সমালোচনা করি। তারাও আমাদের সমালোচনা করে। এখন এটাকে যদি বিরোধিতা বা আক্রমণ হিসেবে ধরেন তাহলে বিষয়টা অসুন্দর লাগে।”
বিএনপির সমালোচনা: ব্যক্তি ও কর্মের বিরুদ্ধে, দলের বিরুদ্ধে নয়
আবদুল হান্নান মাসউদ বিএনপির সমালোচনার কারণ ব্যাখ্যা করে বলেন, “বিএনপির প্রতি আমাদের এ অবস্থান একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে। ১৯৭৯ সালে বিএনপি ক্যান্টনমেন্টে জন্ম নিতে পারে বা সরকারি সুযোগ-সুবিধায় বেড়ে উঠতে পারে। কিন্তু বেগম জিয়ার নেতৃত্বে এরশাদবিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বিএনপি গণমানুষের দলে পরিণত হয়েছে।
তেমনই ২০০৮ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত বেগম জিয়ার আপোষহীনতার কারণে গণমানুষের আস্থা অর্জন করেছে।
সে হিসেবে বিএনপিকে আমরা শ্রদ্ধা করি। বিএনপির যারা নির্যাতনের শিকার হয়েছে তাদের আমরা ভাই মনে করি।”
তবে তিনি আরও বলেন, কিন্তু বিএনপির সবাই তো আর এক না। বিএনপির যারা এখন অত্যাচারী হয়ে উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা কথা বলি।
যেসব কারণে আমরা আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করেছি সেগুলো যদি আমি করি তাহলে আমার বিরুদ্ধে বলা হবে না? বিএনপির তৃণমূল থেকে হাইকমান্ড পর্যন্ত এমন অসহিষ্ণুতা পরিলক্ষিত হচ্ছে।
আমরা যখন এগুলোর সমালোচনা করি তাদের ব্যক্তি ও কর্মের সমালোচনা করি, দল হিসেবে বিএনপির না।”
