
নারায়ণগঞ্জ সমাচার:
নারায়ণগঞ্জের মাসদাইরে নিজের বাবা-মার ঘর থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়েছে কেয়া নামের এক মেয়ে, এমন অভিযোগ করেছেন খোদ তার মা শিল্পী বেগম।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে মাসদাইর তালা ফ্যাক্টরি এলাকার মহিউদ্দিন হাজীর বাড়ির ভাড়াটিয়া লিটন-শিল্পীর ঘরে ওই ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় পূর্বেও কেয়ার অদ্ভুত ও বাজে আচরণের কারণে মা শিল্পী মেয়ের বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছিলেন। এ অভিযোগের জের ধরেই বাসায় রক্ষিত ৪ ভরি স্বর্ণালংকার ও বাবার ব্যবসার ২ লাখ টাকা নিয়ে বাসা থেকে পালিয়ে যায় মেয়ে কেয়া।
পূর্বের অভিযোগ মা শিল্পী জানান, ফতুল্লা থানাধীন মাসদাইর তালা ফ্যাক্টরীর মোড় এলাকার মো. লিটন ও মোসা. শিল্পী দম্পতির বড় মেয়ে কেয়া। সে গত ০২ বছর পূর্বে জেএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট খারাপ করায় তাকে সামান্য গালিগালাজ করা হয়। এতে সে আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হইয়া বাসা থেকে চলে যায়। পরবর্তীতে আমার আত্মীয়ের মাধ্যমে সংবাদ পাই যে, আমার মেয়ে মিরপুর অজ্ঞাত স্থানে থাকিয়া আমার বোনের বাড়ীতে আসা যাওয়া করতো। ০১ বছর পূর্বে আমার মেয়ে আমাদের বাড়ীতে চলে আসে এবং আমার বাড়ীতে থাকাবস্থায় আমার সন্দেহ হয় যে, আমার এই মেয়ে কেয়া নেশা সেবন করতো। আমি বার বার তাকে বাধা নিষেধ করা স্বত্বেও সে আমার কথার কোন কর্ণপাত করে না। পরবর্তীতে আমার মেয়ের রূপালী ব্যাংকের একাউন্টে আমি ৪,৭০,০০০/- টাকা রাখি। পরে নেশার জন্য বার বার টাকা তোলার চেষ্টা করলে আমি আমার মেয়ের কথাতেই উক্ত টাকা ব্যাংক থেকে তুলে আনি। বেশ কিছুদিন যাওয়ার পর উক্ত বিবাদী কেয়া নেশা সেবন করার জন্য টাকা চাইলে আমি টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করিলে সে কৌশলে বাসা থেকে বের হয়ে ব্যাংকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। পরবর্তীতে ব্যাংক আমাকে ফোন করে উক্ত ঘটনা জানায় । পরবর্তীতে আমার মেয়েকে ফোন করে তাকে বাসায় আসার জন্য বললে সে আমাকে বিভিন্ন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়া হয়রানী করার হুমকি দেয়।
আর এসকল বিষয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার মেয়ে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে আমার বাসা থেকে নগদ দুই লক্ষ টাকা ও প্রায় ৪ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। বিষয়টি আমি থানা পুলিশকে অবহিত করেছি।