আপনাদের ছাড়া আমার ভালো লাগে না- এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে কাউন্সিলর বাবু

28
বারো হাজার এলাকাবাসীর মাঝে কম্বল বিতরণ করছেন বাবু

নারায়ণগঞ্জ সমাচার:

নাসিক ১৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু বলেছেন, জীবনে চলার পথে যে ভুল করিনি এমন কথা কেউ বলতে পারবে না। চলার পথে ভুল আছে। এ ভুল সংশোধনেরও সুযোগ আছে। আল্লাহ পাক পবিত্র আল কোরআনে বলেছেন যে “তুমি ভুল করেছো, আমার কাছে ক্ষমা চাও, আমি তোমাকে ক্ষমা করে দিবো।” সেই ক্ষমার উদ্দেশ্যেই মানুষের সেবা। মহান আল্লাহ বলেছেন, তুমি যদি কোনো দু:স্থ-গরীবের মাথায় হাত দাও, আমি আল্লাহ স্বয়ং তোমার মাথায় হাত দিবো”। এই মানব সেবার জন্য আপনাদের সময় দেই, আপনাদের মাঝে থাকি, একটু শুধু দোয়ার জন্য।

প্রতিবছরের ন্যায় এবারও কাউন্সিলরের নিজস্ব অর্থায়নে বারো হাজার এলাকাবাসী ও শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণপূর্বক সংক্ষিপ্ত আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

গতকাল শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) দুপুর থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে এ কম্বল বিতরণ কার্যক্রম।

এসময় কাউন্সিলর বলেন, আপনাদের সেবা করার জন্য ঈদের দিনও আমি আপনাদের অপেক্ষায় থাকি, কারণ কেন জানি আপনাদের ছাড়া আমার ভালোই লাগে না। আমি কোথাও গেলে আমার মনে হয় যে, আমার এলাকায় কি হয়েছে, কার কি বিপদ হয়েছে, কে আমাকে খুঁজছে? মানুষের সাথে না মিশলে আসলে বুঝা যায় না, মানুষের সাথে মেলার যে স্বাধ তা বুঝা যায় না।

তিনি বলেন, আমি প্রতিদিন রাত ২-৩টা পর্যন্ত, যতক্ষণ আপনাদের প্রয়োজন ততক্ষণ আপনাদের সেবা দিয়ে তারপর আমার বাড়িতে যাই। রাত ২-৩টার পরে আমরা স্বামী-স্ত্রী সুখ-দু:খের কথা বিনিময়র করি, তারপর আমাকে খাওয়া-দাওয়া করায়, তারপর তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে আমি ঘুমাই।

তিনি আরও বলেন, মানুষের সেবা করতে পারলে আল্লাহকে পাওয়া যায়। আপনারা সে সুযোগ করে দিয়েছেন আমাকে। আপনারা গত নির্বাচনে যে হাজার হাজার ভোট দিয়ে আমার ভোটবাক্স ভরে দিয়েছেন্ এবং যে সম্মানে আমাকে অধিষ্ঠিত করেছেন। আজকে আমি কাউন্সিলর হিসাবে সমগ্র বাংলাদেশে পরিচিত। আমি সহ আমার পুরো পরিবার আপনাদের কাছে চির কৃতজ্ঞ।

হঠাৎ করেই আজকের এই আয়োজন উল্লেখ করে বাবু বলেন, আজকে হঠাৎ করে এই প্রোগ্রামের কারণ আমি জানতে পারি শনিবার তফসিল ঘোষণা করা হবে। তফসিল ঘোষণার পর কাউন্সিলর প্রার্থীরা কেউ কিছু দিতে পারবে না কাউকে। এটা নির্বাচনী আচরণ-বিধির অংশ। আমার তো বছরে চারটা প্রোগ্রাম, ঈদের সময় ঈদ সামগ্রী, শীতের সময় কম্বল, ১৬ই ডিসেম্বর মাছ বিতরণ। তাই তড়িঘড়ি করে একদিনের সময় নিয়ে আজ আপনাদের মাঝে কম্বল বিতরণ করছি। যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন আপনাদের সেবা করে যাবো, জানিনা কতটুকু করতে পেরেছি।

করোনাকালীন মহামারির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রায় ২টি বছর করোনার মহামারির সময় অনেকের অবস্থা একটু শোচনীয় ছিলো, সেই শোচনীয়তার মধ্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কণ্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যতটুকু অনুদান দিয়েছে এবং বাকিগুলো আমি নিজ অর্থায়নে আপনাদের খাদ্যের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করেছি। আমি একটা কথাই বলেছি, আমার এলাকায় কেউ না খেয়ে থাকবে না। ইনশাআল্লাহ কেউ না খেয়ে ছিলেন না।