
নারায়ণগঞ্জ সমাচার:
আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে কাউন্সিলর প্রার্থী ও সাবেক কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্নার পক্ষে নির্বাচনী উঠান বৈঠকে মুন্নার আমলের ব্যাপক উন্নয়নের কথা তুলে ধরে বক্তব্য রেখেছেন ১৮ নং ওয়ার্ডের সাধারণ এলাকাবাসী। অনেকে আবার বর্তমান কাউন্সিলরের বিভিন্ন অযোক্তিক কর্মকান্ডের বিরোধীতা করেও বক্তব্য রাখেন।
পশ্চিম মুসলিম নগরের হাজী মোসাদুল্লাহ বলেন, ভুলে গেলে চলবে না। মুন্না ভাইয়ের আমলে যে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে, তার ছিটেফোটাও গত পাঁচ বছরে হয়নি। মুন্না ভাইয়ের সময়ে বাপ্পী স্মরণী, শহীদ নগরের ২ টা ব্রীজ, আলামিন নগরের ব্রীজ, শহীদনগরের রাস্তাসহ অধিকাংশ এলাকার রাস্তায়ই তৈরী করা হয়েছে।
তিনি বলেন, অনেক ডিপ টিউবওয়েল, অনেক পাকা ও স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেটের ব্যবস্থা মুন্না ভাই করেছেন। গত পাঁচ বছরে আমাদের এলাকায় কয়টি ডিপ টিউবওয়েল স্থাপন করা হয়েছে এ প্রশ্ন রইলো আপনাদের কাছেই। সামনে নির্বাচন, যদি উনি কোনো ভুল করে থাকে তাহলে আল্লাহর ওয়াস্তে আপনারা তাকে ক্ষমা করে দিবেন। উনার পক্ষ থেকে আমি ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
বাচ্চু মিয়া নামে আরেকজন বলেন, এই এলাকাকে মুসলিমনগর নামে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন কামরুল হাসান মুন্না। এই এলাকার নাম আগে ছিলো বাটা কোম্পানির মাঠ এলাকা হিসাবে পরিচিত ছিলো। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মুন্না বলেছে, মুসলিমনগর এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে এখন বক্তব্য রাখবেন অমুকে অমুকে।
তিনি আরও বলেন, আগে এই অঞ্চলে ঝুলন্ত টয়লেট ছিলো, মুন্নার আমলে একশ’র বেশী স্বাস্থ্যসম্মত ও পাকা পায়খানার ব্যবস্থা করেছেন এবং ২০টিরও বেশী ডিপ টিউবওয়েল বসানো হয়েছিলো। কিন্তু গত ৫ বছরে কয়টা ডিপ টিউবওয়েল বসানো হয়েছে?
বর্তমান কাউন্সিলরের বিরোধীতা করে এক যুবক বলেন, যদি মাথা ব্যাথা হয় তাহলে আমাদের বর্তমান কাউন্সিলর মাথা কাইট্টা ফালাইবো। তার কাছে এর কোনো চিকিৎসা নেই। সমাজ একটার পর একটা ভাগ করে দিতাছে। এখন শুধু বাকী ঘরগুলোকে আলাদা করা। আমরা এ ধরনের সমাজ চাই না, আমরা চাই সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে থাকতে চাই। তাই ঐক্যবদ্ধ থাকতে হলে আমাদেরকে সামনের নির্বাচনে মুন্না ভাইকে বিপুল ভোটে জয়ী করে আনতে হবে।
সিটি কর্পোরেশনের প্রকল্প সিডিসি’র ১৮ নং ওয়ার্ডের সাবেক নেত্রী সাহানা নামে একজন বলেন, ভাত খাইলে ভাত পড়ে এটাই স্বাভাবিক। অনেকেই বলে কাউন্সিলর থাকাকালীণ সময়ে মুন্না নাকি সই দেয় না। সইটা যে দেয় না, কেন দেয় না, কারে দেয় না এটা কখনো ভেবে দেখেছেন আপনারা। আপনাদের উদ্দেশ্যে বলছি, এই ওয়ার্ডে প্রায় ২৫-৩০ হাজার মানুষ আমরা বাস করি। কাউকেই কি সই দেয় না, নাকি যারা সইয়ের উপযুক্ত না, একটা যা তা কাগজ নিয়া গেলো তাকে কি সই দেয়া উচিৎ, এটা আপনারাই বলেন। মুন্না তো মূর্খ না, ও বুঝে কোন কাগজটার মধ্যে সই দিলে ভালো হবে এবং কোন কাগজটায় সই দিলে খারাপ হবে, বুঝে-শুনেই মুন্না সই দিচ্ছে। যে মুর্খ সে যে কোনো কাগজেই সই দিচ্ছে।
উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, আমাদের ঘনিষ্ঠ এক লোক ডিসি সাহেবের সই নকল করে সে আদম ব্যবসা করতো। তারপর তার নামে মামলা হইছে, পুলিশ-দারোগারা আসছে, তাকে ধরে নিয়ে যাবে। তখন মুন্নার কাছে এসেছে, মুন্না এই কথা শুনে তাকে ধমক দিয়েছে। ধমক দেয়ার কারণে মুন্না এখন ভালো না। শুধু ১৮নং ওয়ার্ড নয়, পুরো নারায়ণগঞ্জে এমন একটা কাউন্সিলর হয় না।
তিনি আরও বলেন, গত পাঁচ বছরে আমরা সিডিসির আওতায় ৬ মাস পর পর কাজ পেয়েছি। বিদেশী বায়াররা যখন আসতো মুন্না তাদের সাথে ইংরেজিতে অনবরত কথা বলতো। তাদের সাথে ইংরেজীতে কথা বলে লক্ষ লক্ষ টাকা কাজ এনেছে। কিন্তু বর্তমান কাউন্সিলর কবির হোসাইন ও ইংরেজিতে কথা বলতে গেলে ওর দাতগুলো সব খুলে পড়বে। ও ইংরেজীতে কথা বলবে কি? ও তো বাংলায়ই ঠিকমতো কথা বলতে পারে না।