
নারায়ণগঞ্জ সমাচার:
ফতুল্লাকে নিয়ে নতুন ষড়যন্ত্র হচ্ছে উল্লেখ করে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, নতুন ষড়যন্ত্র হচ্ছে আপনাদের এই ফতুল্লাকে নিয়ে, কিছুদিন আগেই তো দেখেছেন নৌকা তুলে দেয়া হয়েছে এমন ব্যক্তির হাতে যিনি কোনোদিন নৌকা বলে নাই। তারপরও তিনি যেহেতু নৌকার মাঝি হয়েছেন, তাকে স্বাগত জানাই, সে যেন মনে প্রাণে জননেত্রী শেখ হাসিনার কর্মী হতে পারে। আর যদি না পারে তাহলে আপনারাই এর বিচার করবেন।
আলীগঞ্জ ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত উইনার কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে তিনি একথা বলেন। মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে ফতুল্লার আলীগঞ্জ খেলার মাঠে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এসময় আইভী বলেন, এই মঞ্চে আমার সাথে বসে আছেন দিপু ভাই, কিন্তু উনি আমার বড় ভাইয়েরই (শামীম ওসমানের) বন্ধু। দিপু ভাই দেরীতে হলেও আমাদের পাশে এসে দাড়িয়েছেন এজন্য তাকে আবারও অভিনন্দন। আশা করি ভবিষ্যতেও উনি আমাদের ন্যায়, সত্য পথ এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে থাকবেন। আমাদের সাথে কাধ মিলিয়েই এই নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য কাজ করবেন।
তিনি বলেন, এখানে আছেন আরেকজন যার নাম জাহাঙ্গীর হোসেন। জাহাঙ্গীর ভাইও আমার বড় ভাইয়ের (শামীম ওসমানের) ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। তোলারামে যখন একসাথে পড়তেন, তখন মারধরও খেতেন। জানেন যে অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সমস্ত ষড়যন্ত্র, চড়াই উতরাই পাড় দিয়ে উনি এখনো টিকে আছেন নারায়ণগঞ্জে। ষড়যন্ত্র কিন্তু আজকের নয়, সেই ৯১ সনে আওয়ামীলীগ করার পরও ষড়যন্ত্রের কারণে জাহাঙ্গীর হোসেন, সাবেক খেলোয়ার রহমত উল্লাহ ভাই, আরাফাত, কামাল উদ্দিন মৃধাসহ ৭ জনকে জেল খাটতে হয়েছে। চাষাড়ার মধ্যে দোকান ভেঙ্গে ফেলে বড় ভাইয়েরা, সেই দোকান ভাঙ্চুরের মামলা দিয়েছে আমাদের দলের সাত জনকে এবং জাতীয় পার্টির আরও ২জন ছিলো। রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করে তখন তাদের বের হতে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তারা সবসময় দলের মানুষকে নির্যাতন করেছে সবচেয়ে বেশী, আওয়ামীলীগের লোকজনকে সবচেয়ে বেশী নির্যাতন করেছে। আপনারা নিশ্চয়ই ভুলে যান নাই, আপনাদের নেতা পলাশকে ডান্ডা-বেরী পড়িয়েছে। তখন মনে হয়েছে না, সব বুঝি শেষ হয়ে গেলো। কিন্তু শেষ কি হয়েছে, না হয় নি। কেননা যারা সত্যের পথে থাকে, যারা মানুষের জন্য কাজ করে, যারা জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রাখে, অবিচল থাকে তাদেরই বিজয় জয় হয়। আশা করি এই নেতার নেতৃত্বে আপনারা ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। যে কোনো ধরনের অন্যায়কে রুখে দিবেন। ফতুল্লার বিষয়ে মেয়র বলেন, নতুন ষড়যন্ত্র হচ্ছে আপনাদের এই ফতুল্লাকে নিয়ে, কিছুদিন আগেই তো দেখেছেন নৌকা তুলে দেয়া হয়েছে এমন ব্যক্তির হাতে যিনি কোনোদিন নৌকা বলে নাই। তারপরও তিনি যেহেতু নৌকার মাঝি হয়েছেন, তাকে স্বাগত জানাই, সে যেন মনে প্রাণে জননেত্রী শেখ হাসিনার কর্মী হতে পারে। আর যদি না পারে তাহলে আপনারাই এর বিচার করবেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এড. মাহবুবুর রহমান মাসুম, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জাতীয় পরিষদের সাবেক সদস্য এড. আনিসুর রহমান দিপু, নারায়ণগঞ্জজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ আলী রেজা উজ্জল প্রমুখ। আলোচনা শেষে বিজয়ী দল ও খেলোয়ারদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।