৯৬’র আগে নারায়ণগঞ্জে দৃশ্যমান কোনো উন্নয়ন হয় নাই

42

নারায়ণগঞ্জ সমাচার:

জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা যুবলীগ নেতা এহসানুল হক নিপু বলেন, ১৯৯৬ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন প্রধানমন্ত্রী হলেন এবং জননেতা একেএম শামীম ওসমান যখন এমপি হলেন তখন থেকেই শুরু হয় নারায়ণগঞ্জের উন্নয়ন। ৯৬’র আগ পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জে দৃশ্যমান কোনো উন্নয়ন হয় নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন বলেই জননেতা শামীম ওসমান ৯৬’ ২০০১ পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জে প্রায় ২৬শত কোটি টাকার কাজ করতে পেরেছিলেন।

ফতুল্লা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে মেম্বার প্রার্থী কাজল চৌধুরীর সমর্থনে আয়োজিত উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তক্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বৃহস্পতিবার (০২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ওয়ার্ডের লালপুরের পৌষাপুকুর পাড় এলাকায় এ উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

নিপু বলেন, বিজয়ের মাসে আমরা সকলেই আনন্দ করি, কিন্তু এ বিজয় কি করে হলো তা অনেকেই জানেনা বা জানতে চায় না। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে এ দেশ স্বাধীণ হতো না, আমাদের দেশের কেউ উচ্চ পদে আসীন হতে পারতো না। তাঁর জন্ম হয়েছিলো বলেই আমরা স্বাধীণ বাংলাদেশে বসবাস করছি, পৃথিবীর বুকে মাথা উচু করে দাড়িয়ে রয়েছি। বঙ্গবন্ধু যদি ৭’ই মার্চের ভাষণ না দিতো তাহলে হতো বাংলার দামাল ছেলেরা মুক্তিযুদ্ধে যেতো না, তাঁর ডাকেই মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয় এবং এ দেশকে স্বাধীণ করে আনে। পরবর্তীতে ৭৫’ এর ১৫ই আগষ্ট কিছু কুচক্রীরা পাকিস্তানের সাথে আতাত করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে তারা বাংলাদেশকে নিশ্চিহ্ন করে পাকিস্তানে নিয়ে যেতে চেয়েছিলো। কিন্তু জাতির জনকের দুটি কণ্যা আমাদের মাঝে বেঁচে এবং ৮১’সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছিলো।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহুবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু মহান আল্লাহর রহমতে উনি বেঁচে আছেন এবং তিনি বেঁচে আছেন বলে ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা উন্নত বিশে^ পরিণত হবো এবং নারায়ণগঞ্জকে একটি উন্নত নগরী হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করবো। ফতুল্লা নির্বাচনে যারা চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলো, তারা সবাই যোগ্য ছিলো এবং নৌকার কান্ডারী হতে পারতো। কিন্তু যেহেতু একজনকে মনোনয় দিতে হবে তাই জননেতা শামীম ওসমান কারো মনে কষ্ট না দিয়ে স্বপন ভাইকে মনোনয়ন দিয়েছেন। খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপন ভাইয়ের উপর আপনারা আস্থা রাখবেন।

জলাবদ্ধতার বিষয়ে নিপু বলেন, এখানে যে জলাবদ্ধতা হয়েছিলো, ভবিষ্যতে আশা করি তা আর হবে না। আমাদের জননেতা শামীম ওসমান, স্বপন ভাই, মীর সোহলে, শরীফসহ ফতুল্লার নেতৃবৃন্দ সহ মুরুব্বীদের সাথে নিয়ে আগামী বর্ষার আগেই জলাবদ্ধতার একটি সুষ্ঠু সমাধান ইনশ্আাল্লাহ আমরা করবো। শুধু সবার কাছে একটি অনুরোধ, ২৬ তারিখ সকালে কষ্ট করে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে শেখ হাসিনার মার্কা, শামীম ওসমানের মার্কা নৌকায় একটি একটি করে ভোট দিয়ে বিপুল ভোটে জয় ছিনিয়ে আনবেন।

আওয়ামীলীগ নেতা হাজী লিয়াকত হোসেনের সভাপতিত্বে এতে আরও উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যান প্রার্থী খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপন, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুল হক মাসুদ, সদস্য আবু মো. শরীফুল হক, মোবারক হোসেন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মো. জুয়েল হেসেন, ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার পদপ্রার্থী কাজল চৌধুরী।