
নারায়ণগঞ্জ সমাচার:
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল।
রবিবার (০৫ ডিসেম্বর) দুপুরে নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয় থেকে তিনি এ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
মনোনয়নপত্র সংগ্রহ শেষে গণমাধ্যমের কাছে এটিএম কামাল বলেন, একজন স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসাবে আমি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছি। আমি জেলা বিএনপির আহবায়খ এড. তৈমুর আলম খন্দকার সাহেবের সাথে কথা বলেছি, মহানগর বিএনপির এড. আবুল কালাম সাহেবের সাথে কথা বলেছি, গিয়াস উদ্দিন সাহেবের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেছি, এখনো উনার সাথে কথা বলতে পারি নাই। তবে আমি তিনজনেরই সহযোগীতা চাই, অনুমতি চাই। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করতে যদি দলের কোনো বাধা না থাকে এবং তাদের যদি আমার প্রতি সমর্থন থাকে তাহলে আমি অবশ্যই নির্বাচন করবো।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ বরাবরই বিএনপির একটা ভোট ব্যাংক, বিএনপির দূর্গ হিসাবেই নারায়ণগঞ্জ পরিচিত। বিগত নির্বাচনে যেহেতু আমাদের সন্তানেরা, নাগরিকরা, ভোটাররা ভোট দিতে পারে নাই, তাদের মনে কষ্ট রয়েছে। তারা যদি নির্বাচন কেন্দ্রে গিয়ে তাদের সবার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে তাহলেই আমি মনে করবো আমার বিজয় হয়েছে। সেটাই আমার মূল উদ্দেশ্য। জয়-পরাজয় মহান রাব্বুল আলামিনের হাতে, তিনি যাকে মেয়র করবেন তিনিই হবে।
বিএনপি থেকে এড. সাখাওয়াত মনোনয়ন কিনেছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসলে যেখানে দলের কোনো বাধ্য-বাধকতা নাই, সেখানে একাধিক প্রার্থী স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে কোনো সমস্যা নাই। এখন জেলা-মহানগরের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ যারা আমাদের অভিভাবক রয়েছেন তারা কাকে সমর্থন করে সেটাই হলো দেখার বিষয়। সিনিয়র নেতৃবৃন্দ যদি আমাকে সমর্থন করে তাহলে আমি অবশ্যই শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ের মাঠে থাকবো।
নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি রেখে তিনি বলেন, বিগত নির্বাচনে রাতে ভোট হয়েছে সেটা যেন না হয়। বিগত নির্বাচনে আমাদের সন্তানেরা ভোট দিতে পারে নাই, ভোট কেন্দ্রে গিয়ে মার খেয়ে, তাদেরকে অপমান করেছে। উৎসবমুখর পরিবেশে এবার তারা যেন ভোট দিতে পারে, সুন্দর পরিবেশে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে আমার দাবি থাকবে। আর সেটা যদি না হয় তাহলে আবারও প্রমাণ হবে যে এই দেশে মানুষের ভোটাধিকার নেই।
ইভিএম এর বিষয়ে তিনি বলেন, আসলে ইভিএম নিয়ে এখনো অনেকের কাছেই একটা প্রশ্নবোধক চিহ্ন রয়েছে। এখন অন্যান্য প্রার্থী যারা রয়েছেন, আমরা সবাই এ ব্যাপারে কথা বলবো। সবারই যদি ইভিএম নিয়ে সন্দেহ থাকে তাহলে সেটা পরিবর্তনের জন্য আমরা সরকারের কাছে, নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি করবো।
এসময় তার সাথে উপস্থিথ ছিলেন মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আল ইউসুফ খান টিপু, প্রচার সম্পাদক মাকিদ মোস্তাকিম শিপুল, বিএনপি নেতা এড. ভাসানী, এড. শিপলু প্রমুখ।