
নারায়ণগঞ্জ সমাচার:
আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সাত ইউনিয়ন ও বন্দর উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের সমন্বয়ে গঠিত ২নং ওয়ার্ডে সদস্য পদে মোস্তফা চৌধুরীকে দেখতে চায় আওয়ামীলীগের তৃণমুলের নেতাকর্মীসহ ওয়ার্ডের সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ। বিগত পাঁচ বছর অত্যন্ত সুনামের সহিত জেলা পরিষদ সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
এছাড়া তিনি ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক, টিম মোস্তফা-১৯ এর টিম লিডার, করোনাকালীণ সময়ের অন্যতম করোনা যোদ্ধা হিসাবেও পরিচিত। শুধু আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীই নয় বরং গোটা নারায়ণগঞ্জবাসীর কাছে দলমত নির্বিশেষে সর্বজন স্বীকৃতি ক্লিন ইমেজের ব্যক্তি হিসাবেই পরিচিত মোস্তফা চৌধুরী।
জানা গেছে, তফসিল ঘোষণার পর জেলা পরিষদের আওতাধীন প্রতিটি ওয়ার্ডে শুরু হয়েছে নির্বাচনী আমেজ। চেয়ারম্যানসহ প্রতিটি ওয়ার্ডের সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদের প্রার্থীদের নিয়ে নির্বাচনী মাঠ বেশ সরব হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন প্রার্থীরা জানান দিচ্ছেন নিজের পরিচিতি, ইশতেহার ও কর্মপরিকল্পনা ও বিগত দিনের উন্নয়ন চিত্র। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও প্রার্থী হয়েছেন বিগত জেলা পরিষদের সদস্য মোস্তফা চৌধুরী।
রাজনৈতিক জীবনে মোস্তফা চৌধুরী ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামীলীগে বলিষ্ঠ ভুমিকা রেখে বর্তমানে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছেন। দীর্ঘ সময় সামনের সারিতে দাড়িয়ে দলীয় কর্মসূচী বাস্তবায়ন ও বিগত সময়ে পরিষদের দায়িত্ব পালনের কারনে সদর উপজেলাধীন সাত ইউনিয়ন ও বন্দর উপজেলাধীন পাঁচ ইউনিয়নের সকল জনপ্রতিনিধি, জেলার সকল নেতৃবৃন্দের কাছে বেশ পরিচিত ও জনপ্রিয় তিনি।
মোস্তফা চৌধুরী সম্পর্কে জানা গেছে, করোনাকালীণ সময়ে মৃতদেহ দাফনসহ সকল সেবা দানকারী টিম মোস্তফা-১৯’ এর লিডার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। মহামারী করোনার সময়ে বাবার লাশ যখন সন্তানরা ধরতো না, স্বামীর লাশ যখন স্ত্রী ধরতো না তখন নারায়ণগঞ্জবাসীর পাশে দাড়িয়েছে সর্বজনস্বীকৃত এ করোনা যোদ্ধা। করোনায় মৃতদের দাফন, আক্রান্তদের সেবা দেয়াসহ কঠিন ঐ পরিস্থিতে মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন তিনি। গঠন করেছিলেন টিম মোস্তফা-১৯ নামে একটি সেবাদান কারী সংগঠন। শুধু তাই নয় একশ জনেরও বেশী মৃতদেহ দাফন করে অবশেষে স্বস্ত্রীক মরণঘাতি এ ভাইরাসে আক্রান্ত হন তিনি।
এছাড়াও গোটা নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগসহ সকল দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগনের কাছে সজ্জন, সৎ চরিত্রবান, সদা হাস্যজ্জল ও সদালাপি একজন ব্যক্তি হিসাবে বিশেষ খ্যাতি রয়েছে তার। যে কারো বিপদের কথা শুনলেই সাহায্যার্থে এগিয়ে আসেন মোস্তফা চৌধুরী এমনটিই জানা যায় মোস্তফা চৌধুরী সম্পর্কে। এককথায় নারায়ণগঞ্জবাসীর কাছে গরীব দুঃখী মেহনতী মানুষের পরম বন্ধু হিসাবে পরিচিত বিশিষ্ট এ সমাজ সেবক। তাই আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে ২নং ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী হিসাবে মোস্তফা চৌধুরীকেই চায় সকলে।
আসছে অক্টোবরের নির্বাচনে জেলা পরিষদের সদস্য পদে আবার ও প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে মোস্তফা হোসেন চৌধুরী বলেন, আমি আওয়ামী লীগের একজন একনিষ্ঠ কর্মী, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। সেই আদর্শকেই ধারণ করে এ ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছি। আমি বিগত জেলা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর আমার ওয়ার্ডে প্রচুর কাজ করেছি।
তিনি আরোও বলেন, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান ও আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ তথা দল যদি মনে করে আমাকে প্রার্থী হতে হবে তাহলে আমি অবশ্যই নির্বাচন করবো। দল যদি আমার চেয়ে ভালো কোনো প্রার্থী পায় তাহলে আমি তাকে সাধুবাদ জানাবো। কেননা দলীয় সিদ্ধান্তই আমার জন্য চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত।