
নারায়ণগঞ্জ সমাচার:
দলের প্রতি আনুগত্য ও সম্প্রীতির নজির গড়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাড়ালেন সর্বজন স্বীকৃত সজ্জ্বন ব্যক্তি, ক্লিন ইমেজের অধিকারী মোস্তফা হোসেন চৌধুরী। ২নং সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেনকে সমর্থন জানান জেলা পরিষদের সাবেক সফল এ মেম্বার।
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান এবং দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সিদ্ধান্ত মেনে নির্বাচন থেকে সড়ে দাড়ান করোনাকালীণ সময়ের অন্যতম এ যোদ্ধা।
নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানো প্রসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মোস্তফা হোসেন চৌধুরী একটি পোষ্ট করেন। পোষ্টে তিনি উল্লেখ করেন, আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ তায়ালা’র রহমতে মাননীয় সাংসদ শামীম ওসমান ও দলীয় সিদ্ধান্তে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের নির্বাচনে ২নং সাধারণ সদস্য পদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে জাহাঙ্গীর হোসেনকে সমর্থন প্রদান করলাম। আমার শুভাকাঙ্খীদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি যারা আমার পাশে ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক জাহাঙ্গীর হোসেনকে জয়ী করতে নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করবো। একইসাথে পূর্বে যেভাবে জনগনের পাশে ছিলেন একইভাবে বর্তমান ও ভবিষ্যতেও জনগনের কল্যাণে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন জনপ্রিয় এ ব্যক্তি।
এদিকে, নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোর বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন মোস্তাফা চৌধুরীর শুভানুধ্যায়ী ও শুভাকাঙ্খিদের অনেকে। তাদের মতে, নিজ ইচ্ছাতে কিংবা দলীয় সিদ্ধান্তে যাই হোক না কেন, মোস্তফা চৌধুরীর মতো একজন মানবিক মানুষ নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ানোয় হতাশ হলাম।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানায় অনেকে আবার মোস্তফা চৌধুরীর ভুয়সী প্রশংসা করেন। ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম এ মান্নানসহ অনেকেই ধন্যবাদ জানিয়েছেন মোস্তফা চৌধুরীকে।
একইবিষয়ে জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আলীনুর বলেন, ভোগে নয় ত্যাগেই প্রকৃত সুখ। মোস্তফা ভাইই প্রকৃত রাজনীতিবীদ। স্যালুট লিডারকে।
ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সদস্য মাহাদী হাছান বলেন, আপনার এই ত্যাগ দলের প্রতি আপনার আনুগত্যের বহিঃপ্রকাশ।