
নারায়ণগঞ্জ সমাচার:
জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এড. আবু হাসনাত শহিদ মো. বাদল বলেছেন, অনেকদিন পর এখানে, এই জায়গায় এসে মিটিং করছি। যখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে জেলা আওয়ামীলীগের দায়িত্ব দিলেন তখন আমি খুব চেষ্টা করেছি আলীরটেকে মিটিং করার জন্য। বারবারই মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত হয়, আবার মিটিং হয়না। এর কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছিলাম না। দেখলাম যে এখানে ভিলেজ পলিটিক্সের ব্যাপার আছে। কারণ চেয়ারম্যান সাহেবরা চায় হয়তো খুশী রাখতে হবে এমপি মহোদয়কে। উনারা এজন্য বারবার আমার মিটিংটা বন্ধ করে দিয়ে খুশী রাখতেছিলো। খুঁজতে খুঁজতে আমি জাহান উল্লাহ ভাইদের বাড়িতে এসে কারণটা পেয়ে গেলাম। এখানে শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদের একটা অনুষ্ঠান হলো খুব গর্জিয়াস করে।
আলীরটেক ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ আয়োজিত আলোচনা সভা ও কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে গতকাল শনিবার (১৪ জানুয়ারী) বিকেলে ইউনিয়নের আমান মার্কেট এলাকায় এ আয়োজন করা হয়। আলোচনা শেষে প্রায় ২’শ পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র তথা কম্বল বিতরণ করা হয়।
ভিপি বাদল বলেন, এই এলাকাটা আওয়ামীলীগের এলাকা, আওয়ামীলীগের ঘাটি। তবে, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা কমিটি গঠনের পর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচন যখন আসলো তখন এখানে কিছু ভুলভ্রান্তি ছিলো আমাদের দলীয় লোকদের মধ্যে। কেন্দ্র থেকে আমাকে বললো দলের মনোনীত প্রার্থীকে বাদ দিয়ে কেউ যদি স্বতন্ত্র প্রার্থীর সাপোর্ট করে, তাহলে তাকে বহিস্কার করতে হবে। অনেক কাছের মানুষ হলেও তাদেরকে বহিস্কার করলাম দল থেকে। তারা দলে ঢুকতে পারবেনা।
তিনি আরও বলেন, এখন তারা দলে ঢুকতে পারবেনা, এজন্য নারায়ণগঞ্জ সদর থানা আওয়ামীলীগের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে এটা হতে পারেনা। আমি এই মঞ্চে দাড়িয়ে এদের কার্যক্রমকে ঘোষণা করলাম। নাজির ভাই আমাদের সদর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং সওদাগর ও ইব্রাহীম দুজন প্রস্তাবিত কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন এটা ঘোষণা করলাম।
জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমি অনেকে বড় দায়ভার নিয়ে আমি আপনাদের এটা ঘোষণা করলাম। দলের অনেক কিছু আছে, দলের কর্মীদের কথায় যদি নেতাদের উঠবস করতে হয়, তাহলে দল চলবেনা, সামাজিকতা চলবেনা। এলাকায় মুরুব্বীদের মানতে হবে, ছোটরা বড়দের সালাম দিবে, বড়দের দেখলে চেয়ার ছেড়ে দিবেন। এটাই হওয়া উচিত, এটা যদি কোনো এলাকায় না থাকে, সেই এলাকায় আদব কায়দায় থাকবেনা। আদবে আল্লাহ, বেয়াদবে বদনসিব।
তিনি বলেন, তৃণমূল নেতাকর্মীরা আমাকে রিকোয়েস্ট করে বলেছে, এই এলাকায় ২৪ ঘন্টা যারা দল চালাতে পারবে, তাদেরকে যাতে দায়িত্ব দেয়া হয়। সেই দায়িত্ব নাজির ভাই এবং সওদাগর ও ইব্রাহীমকে দিয়েছি। আজকে কম্বল দিয়ে এই এলাকার নেতাকর্মীরা প্রমাণ করলো যে, তারা ঘরে বসে থাকবেনা। প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে নৌকার পক্ষে ভোট চাইবে, প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের কথা তুলে ধরবে।
ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কমিটির বিষয়ে ভিপি বাদল বলেন, যে ছেলেকে দলে নিলে নৌকা মার্কার ভোট কমবে তাকে নেয়া দরকার নাই। মসজিদের মুসল্লীরা যাকে দেখে ভালো বলবে এধরনের লোক দলে নিবেন। খারাপ মানুষ নৌকায় থাকবেনা, ভালো মানুষদের নৌকার কমিটিতে রাখবেন। তারপর জনগনের কাছে ভোট চাইবেন।
ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আহবায়ক আলীনুর মোল্লার সভাপতিত্বে এতে প্রধান আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সদর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজির উদ্দিন। আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগ নেতা সালেহ আহম্মেদ খোকন, এস টি আলমগীর, যুবলীগ নেতা ইব্রাহীম মোল্লা, সওদাগর, শাহীন রাজু মেম্বার প্রমুখ।