জামাত-বিএনপি মার্কা নেতার পরিবর্তন চায় ১৮নং ওয়ার্ড আ.লীগ

190
জামাত-বিএনপি মার্কা নেতার হাত থেকে মুক্তি চায় স্থানীয় আওয়ামীলীগ

নারায়ণগঞ্জ সমাচার:

দীর্ঘ ১৯ বছর পর আগামীকাল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ মহানগরের আওতাধীন ১৮নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সম্মেলন। সম্মেলন উপলক্ষ্যে পদ-প্রত্যাশীদের ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে পুরো ওয়ার্ড, সাজ সাজ রব বিদ্যমান ওয়ার্ডের সর্বত্র। ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাঝে। জামাত-বিএনপি ঘেষা নেতৃত্বের হাত থেকে মুক্তির পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মেনে চলা নতুন নেতৃত্ব প্রত্যাশা করে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।

জানা গেছে, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসাবে মহানগর শ্রমিকলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্নাকে দেখতে চায় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা। যদিও কামরুল হাসান মুন্না নিজে এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো কথা বলেননি। তবে, শেষতক এই কাউন্সিলর যদি সভাপতি প্রার্থী হন তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবেনা বলেও দাবি তার ঘনিষ্ঠ সুত্রের।

সুত্রের দাবি, কামরুল হাসান মুন্না ছাড়াও বর্তমানে আরো ২/৩ জনের নাম শোনা যাচ্ছে যারা ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি দাবিদার। তবে, মুন্না যদি প্রার্থী হন তাহলে অন্য প্রার্থীরা হয়তো বা স্নেহ ও সম্মান প্রদর্শন পূর্বক প্রার্থী নাও হতে পারেন। এছাড়া, কামরুল হাসান মুন্নার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলেন, তিনি এর আগে অত্যন্ত সুনামের সহিত আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিকলীগ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তার নেতৃত্বাধীন সময়ে অত্যন্ত সুশৃঙ্খল ছিলো মহানগর শ্রমিকলীগ। সেই কমিটি বিলুপ্ত হলেও নতুন কোনো যোগ্য নেতৃত্ব না পাওয়ায় এখনো নতুন কোনো কমিটি ঘোষণা করা হয়নি। ফলে তার সাংগঠনিক দক্ষতার বিষয়টি জানা সকলেরই।

পুরাতন নেতৃত্বের ব্যর্থতার বিষয়টি তুলে ধরে তৃণমূল নেতাকর্মীরা জানান, ২০০৪ সালে এখানে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের কমিটি হলেও সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ছাড়া অন্য পদগুলোতে কারা আছেন তা আজ পর্যন্ত জানেনা কেউ। ওয়ার্ডের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শরফুদ্দিন রবি প্রয়াত হয়েছে এক বছর আগে। তবে, গত ১৯ বছরে এখানে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে দলীয় কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেখা যায়নি বলে দাবি আওয়ামী নেতাকর্মীদের।

এদিকে, ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক কবির হোসাইনের বিরুদ্ধে জামাত-বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে চলাচলেরও অভিযোগ করেন তারা। তাদের মতে, সবসময় জামাত-বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে নিয়েই চলাফেরা করতো, সরকারী উপহার বিতরণ করতো কবির। আওয়ামীলীগ বা সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদেরকে কখনোই নিজের পাশে রাখতেন না কবির, এমন অভিযোগও নেতাকর্মীদের।

ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা বলেন, করোনাকালীণ সময়ে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে খাদ্য সামগ্রীর যে উপহার পাঠানো হয়েছিলো, সেই উপহার বাংলাদেশে নিষিদ্ধ জামায়াত এ ইসলামী পৃষ্ঠপোষক ইসলামী ব্যাংকের পদস্থ কর্মকর্তা আলমগীরকে সাথে নিয়ে মানুষের মাঝে বিতরণ করেছেন কবির হোসাইন। এখানেই শেষ নয়, ১৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতির ভাই তোফাজ্জল হোসেন টিয়া ও আরেক জামাত নেতা মুসলিমসহ জামাত-বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথেই ছিলো তার উঠাবসা, চলাফেরা দাবী তৃণমূল নেতাকর্মীদের। তাই আগামীকালের সম্মেলনে জামাত-বিএনপি ঘেষা নেতার হাত থেকে মুক্তির পাশাপাশি নেতৃত্বের পরিবর্তন চায় তৃণমূল নেতাকর্মীরা।