
নারায়ণগঞ্জ সমাচার:
ব্যবসায়ী সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলায় আদালতে হাজির করা হয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও মহানগর বিএনপি নেতা জাকির খানকে। সোমবার (০৬ই মার্চ) বেলা সাড়ে ১২টায় প্রিজন ভ্যানে করে আদালতে আনা হয় তাকে।
এদিন সকাল থেকেই আদালত চত্বরে জড়ো হতে থাকেন তার রাজনৈতিক সহযোদ্ধা ও কর্মী-সমর্থকরা। নগরীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা থেকে মিছিল নিয়ে প্রথমে আদালত চত্বরের বাইরে অবস্থান নেন তারা। পরে বেলা বাড়ার সাথে সাথে নেতাকর্মীরা ভেতরে প্রবেশ করেন।
এক পর্যায়ে জাকির খানকে আদালতে আনা হলে নেতাকর্মীরা জাকির খান, জাকির খান সহ দলীয় নানা শ্লোগান দিতে থাকে। প্রিজন ভ্যান থেকে নেমে আদালতে যাওয়ার পথে ডান্ডাবেড়ি ও হেলমেট পড়া অবস্থায় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে হাত নাড়েন জাকির খান। পরে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জর্জ উম্মে সরাবান তহুরার আদালতে তোলা হয় তাকে। জাকির খানের পাশাপাশি অন্য দুই আসামি নাজির হোসেন ও মোক্তার হোসেনও আদালতে হাজির হন।
মামলার বাদী, বিএনপি থেকে বহিস্কৃত নেতা এড. তৈমুর আলম খন্দকারকে জেরা করেন এবং জাকির খানের জামিনের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। তবে, আদালত জামিন না মঞ্জুর করেছেন বলে জানায় জাকির খানের আইনজীবীরা।
জাকির খানের আইনজীবী এড. রবিউল হোসেন বলেন, এই মামলায় তৈমুর আলম খন্দকার স্বাক্ষী দিয়েছেন, উনাকে আমরা জেরা করেছি। এর আগেও একদিন জেরা করেছি এবং আজ আবারও তাকে আমরা জেরা করেছি। জেরা এখনো সমাপ্ত হয়নি, পরবর্তী জেরার জন্য আগামী ৭ই মে তারিখ নির্ধারন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, সাব্বির আলম হত্যা মামলাটি একটি চাঞ্চল্যকর মামলা। এই মামলা রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। এ বিষয়টি আমরা আদালতকে অবগত করেছি এবং সেটা প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেছি জাকির খানের পক্ষে। জাকির খানের জামিনের পক্ষে আমরা যুক্তি উপস্থাপন করেছি, আদালত না মঞ্জুর করেছে। আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নিবো।
মামলার শুনানী শেষে আদালতে থেকে জাকির খানকে নিয়ে যাওয়ার সময়ও তার কর্মী-সমর্থকরা নানা শ্লোগান দিতে থাকে।