
নারায়ণগঞ্জ সমাচার:
আতিকুজ্জামান সোহেল নামের একজন ডাক্তার ও তার সহযোগীদের হামলায় গুরুতর জখম হওয়া সহযোগী অধ্যাপক, ডা. বিধান চন্দ্র পোদ্দার বলেছেন, বর্তমানে খুলনার সাতক্ষীরায় চিকিৎসক নির্যাতনের ঘটনাসহ বিভিন্ন সময়ে সারাদেশে যখন চিকিৎসক নির্যাতন হয় তখন আমি চিকিৎসকদের সংগঠিত করে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে আন্দোলন করে থাকি। কিন্তু অত্যন্ত দু:খের সাথে বলতে হয়, আজকে আমি নিজেই আক্রান্ত হয়ে আপনাদের কাছে দেশের জনগনের কাছে বিচার রাখতে চাই।
বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) এর জেলা শাখার নির্বাচিত সহ-সভাপতি, স্বাধীণতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক, সহকারী অধ্যাপক (শিশু) ডা. বিধান চন্দ্র পোদ্দারের উপর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে এবং হামলাকারী সন্ত্রাসী, চিকিৎসক সমাজের কলংক ডা. আতিকুজ্জামান সোহেল ও তার দোসরদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচীতে তিনি একথা বলেন।
গত শনিবার (০৪ মার্চ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ ২০০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে এ কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়। এর আগে খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালেও একই কর্মসূচী পালিত হয়।

সেইদিনের ঘটনার বিবরণ তুলে ধরে ডা. বিধান বলেন, ঐদিন ছিলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট নির্বাচনের গণতান্ত্রিক ঐক্য পরিষদের প্যানেল পরিচিতি সভা। স্বাচিপের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা নারায়ণগঞ্জে এসে আমাকে ফোন করেছে, আমি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক, জেলা বিএমএ’র সহ-সভাপতি। তাছাড়া ঐ নির্বাচনে আমি একজন ভোটার। আমি যখন ঐ অনুষ্ঠানে যাই, তখন আমাকে জিজ্ঞাসা করা হয় ‘তুই এখানে কেন’ ? এর পরই আমার উপর অতর্কিতভাবে হামলা করা হয়।
তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞাসা করতে চাই, যারা আমার উপর হামলা করেছে তারা কেউ ঐ নির্বাচনের ভোটার কিনা। যারা আজকে নিজেদের স্বাচিপের সদস্য বলে দাবি করেন, তাদের কয়জনের নাম স্বাচিপের ওয়েবসাইটে সদস্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত আছে তা আমরা জানতে চাই। কবে থেকে তারা স্বাচিপের মেম্বার হয়েছেন, ২’শ টাকা দিয়ে কেউ কেউ স্বাচিপের জেনারেল মেম্বার হয়েছেন। কারণ, ২দিন আগে তারা ড্যাব’র মেম্বার ছিলেন, ক্ষমতা পরিবর্তন হলে তারা আবার ড্যাবের মেম্বার হবেন।
তিনি আরও বলেন, আমার বিশ^াস জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে সরকার চলছে, এই সরকারের আমলে একদিন অবশ্যই এর বিচার হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিচার ব্যবস্থার উপর আমার সম্পূর্ণ আস্থা আছে। একজন আসামী গ্রেফতার হয়েছে এজন্য সাধুবাদ জানাই। বিচার ব্যবস্থার কাছে আমি অনুরোধ রাখতে চাই, মূল আসামীসহ মূল পরিকল্পনাকারী যারা ছিলো তারাও যাতে অতিদ্রুত আইনের আওতায় আসে। আমি সুষ্ঠু বিচার চাই।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বাধীণতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. দেবাশীষ সাহা, জেলা বিএমএ’র সাধারণ সম্পাদক ডা. সামসুদ্দোহা সঞ্চয়, ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক অফিসার ডা. ফরহাদ হোসেন, ডা. সাখাওয়াতসহ খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতাল ও ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালের সকল চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফবৃন্দ।