অর্ধশতাধিক স্পটে মামুন মাহমুদের মিলাদ ও দোয়া

31
অর্ধশতাধিক স্পটে মামুন মাহমুদের মিলাদ ও দোয়া

নারায়ণগঞ্জ সমাচার:

সিদ্ধিরগঞ্জ-ফতুল্লার বিভিন্ন স্থানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪২ তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে মিলাদ, দোয়া ও রান্না করা খাবার বিতরণ করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ১নং যুগ্ম আহবায়ক ও সাবেক সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদ।

মঙ্গলবার (৩০ মে) সকাল ৯টায় নাসিক ৩ নং ওয়ার্ডে দোয়া, মিলাদ ও রান্না করা খাবার বিতরণের মাধ্যমে দিনব্যাপী কর্মসূচীর সূচনা করেন মামুন মাহমুদ। পরে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও বিশাল গাড়ি বহর নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন নাসিক’র সকল ওয়ার্ড ও ফতুল্লা থানাধীন বিভিন্ন স্থানের অর্ধশতাধিক স্পটে আয়োজিত দোয়া ও মিলাদে অংশ নেন তিনি। এছাড়া প্রতিটি স্পটে  রান্না করা খাবার বিতরণ করেন জেলা বিএনপির এ নেতা।

এসময় মামুন মাহমুদ বলেন, শাহাদাত বার্ষিকীতে দাড়িয়ে শপথ নিতে চাই, তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে একটি স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেখেছিলেন, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ভোটারবিহীন, স্বৈরাচার এ আওয়ামী সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামাতে হবে। দেশে গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠা না করা পর্যন্ত, মানুষের ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার, ব্যবসার অধিকার, কথা বলার অধিকার সমভাবে প্রতিষ্ঠা না করা পর্যন্ত বিএনপির চলমান আন্দোলন ছেড়ে ঘরে ফিরে যাবো না, এটা হোক আমাদের শপথ।

বক্তব্য রাখছেন অধ্যাপক মামুন মাহমুদ

তিনি বলেন, আমাদের শপথ হোক একটি স্বনির্ভর রাষ্ট্র গড়ার লক্ষ্যে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি করবো, দেশনায়ক তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনবো।

তিনি আরও বলেন, আক্ষেপ করে বলতে হচ্ছে, স্বাধীণতার ৫২ বছরেও আমরা যেন প্রকৃত স্বাধীণতা অর্জন করতে পারি নাই। যদি প্রকৃত স্বাধীণতা অর্জন করতে পারতাম তাহলে আমাদের নেত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দী থাকতে হতো না, দেশনায়ক তারেক রহমানকে ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে বিদেশের মাটিতে পড়ে থাকতে হতো না। আমাদের (বিএনপির) ৩৫ লক্ষ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হামলা-মামলা করা হতো না, বন্দী-গ্রেফতার করা হতো না। কথা বললেই, মামলা দেয়া হয়, হয়রানী করা হয়, নেতাকর্মীদেরকে বাড়ি থেকে তুলে নেয়া হয়। এটিকে আমরা কোনো স্বাধীণতা বলে মনে করিনা। কাজেই আরেকটি স্বাধীণতা আমাদের বাকী রয়ে গেছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন থানা বিএনপির সদস্য সচিব শাহআলম হীরা, যুগ্ম আহবায়ক রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ, অকিল উদ্দিন ভুইয়া, মোশারফ হোসেন, টি এইচ তোফা, শামসুদ্দিন শেখ, সাখাওয়াত হোসেন মোল্লা, গাজী মনির হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি দেলোয়ার হোসেন খোকন, ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আফজাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মারুফ কাজী, সহ-সভাপতি সামাদ খাঁন, আক্কেল আলী, শাহ আলম মাষ্টার, হাজী রিয়াজ উদ্দিন, ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক মোক্তার হোসেন মুক্তুল, সহ-সভাপতি গোলজার হোসেন, ১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি গাজী মনির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক খান প্রমুখ।

এছাড়াও, প্রতিটি স্পটে শত শত নেতাকর্মী উপস্থিত থেকে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ জিয়াকে স্মরণ এবং তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।

এর আগে, শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে সকাল থেকেই সিদ্ধিরগঞ্জের মুক্তিনগর এলাকায় মামুন মাহমুদের বাসভবনের সামনে এসে জড়ো হতে থাকে তৃণমুল নেতাকর্মীরা।