শ্রমিকদের ‘পাওনা’ বুঝিয়ে দিল সম্রাট এন্ড কোং

34

নারায়ণগঞ্জ সমাচার:

নারায়ণগঞ্জের এতিহ্যবাহী ও অত্যন্ত পুরোনো গার্মেন্টস শিল্প প্রতিষ্ঠান সম্রাট এন্ড কোং প্রাইভেট লিমিটেডের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয়েছে। বিকেএমইএ প্রেসিডেন্ট ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান মহোদয়ের নির্দেশে বিকেএমইএ প্রতিনিধি, শ্রমিক প্রতিনিধি ও মালিক প্রতিনিধির সমন্বয়ে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ বুধবার সকালে চলতি মাসের প্রথম ১৫ দিনের বেতনসহ অগ্রিম আরও ২মাসের বেতন পরিশোধ করা হয়।

নাসিক কাউন্সিলর মো. কামরুল হাসান মুন্নার কার্যালয়ে শ্রমিকদের এ পাওনা বুঝিয়ে দেয়া হয়। এসময় প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক নুরে আলম মানিক ও রাজিবুল হাসান রানা। বিগত দিনে কর্মরত ১৯৬ জন শ্রমিককে প্রায় ৬৫ লাখ টাকা বুঝিয়ে দেয় মালিকপক্ষ।

কাউন্সিলর মো. কামরুল হাসান মুন্না গণমাধ্যমকে জানান, ৩ যুগ আগে নির্মিত হওয়ায় ভবনটি বেশ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এ বিষয়ে কলকারখানা অধিদপ্তর থেকে ইতিমধ্যেই ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ইয়েলো (হলুদ) তালিকাভুক্ত করে লিখিতভাবে আমাদেরকে জানানো হয়েছে। তাই যে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে আমরা প্রতিষ্ঠানটি সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছি।

প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত কোনো শ্রমিকের পাওনা ছিলো না উল্লেখ করে তিনি জানান, চলতি সেপ্টেম্বর মাসের ১৫ দিন কাজ চলার পর আমরা প্রতিষ্ঠানটিকে বন্ধ ঘোষণা করি। তারপর বিকেএমইএ প্রেসিডেন্ট ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান মহোদয়ের নির্দেশে বিকেএমইএ প্রতিনিধি, শ্রমিক প্রতিনিধি ও মালিক প্রতিনিধির সমন্বয়ে শ্রমিকদের বিগত ১৫ দিনের কাজের বেতন এবং পরবর্তী ২ মাস (সেপ্টেম্বরের অবশিষ্ট ১৫ দিন, পুরো অক্টোবর মাস ও নভেম্বরের ১৫ দিনের) বেতন বুঝিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা আজ বুধবার সকালে ১৯৬ জন শ্রমিককে প্রায় ৬৫ লাখ টাকা বুঝিয়ে দেই।

এদিকে, অন্য গার্মেন্টস মালিকদের মতো রাতের আধারে তালা না দিয়ে সময় উপযোগী ও বিচক্ষণতার সহিত সিদ্ধান্ত নিয়ে শ্রমিকদেরকে অগ্রিম বেতন বুঝিয়ে দেয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন শ্রমিকরা। তবে, আক্ষেপের সুরে তারা বলেন, সম্রাট গার্মেন্টসে আমরা নিজেদের পরিবারের মতো থাকতাম ও কাজ করতাম। মালিকপক্ষ সর্বদা আমাদের সাথে পরিবারের সদস্যদের মতোই আচরণ করতো। হঠাৎ করে গার্মেন্টসটি বন্ধ হবে শুনে আমরা ভেঙ্গে পড়ি। মালিক পক্ষ যদি অন্য কোথাও তাদের প্রতিষ্ঠানটি পুনরায় চালু করতে চায়, তাহলে আমরা সেখানে কাজ করতে পারলে খুব খুশী হবো।