নারায়ণগঞ্জ সমাচার:
যে কোনো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে সম্পর্ক থাকে দা-কুমড়ার এটা জানা সকলেরই। তবে, এবার ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় পার্টি ও আওয়ামীলীগ মনোনীত দুই প্রার্থী। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে একে অপরের কাছে ভোট চান নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকা ও আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত।
রোববার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভা শেষে কার্যালয়ের বাইরে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে পরস্পরের কাছে ভোট চান তারা। এসময় কায়সার হাসনাতকে উদ্দেশ্য করে লিয়াকত হোসেন খোকা বলেন, আপনে লাঙ্গল মার্কায় ভোট দিয়েন, আমি নৌকা মার্কায় ভোট দিবো।
এর আগে, গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেন তারা দুজনই। সম্প্রতি লাঙ্গল মার্কার এক সমর্থকের উপর হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে নৌকার এক সমর্থককে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কায়সার হাসনাত ও লিয়াকত হোসেন খোকা দুজনই বলেন, আসলে অতি উৎসাহী কিছু সমর্থক নিজেদের স্বার্থে এ ধরনের কর্মকান্ড করে থাকে। যা আমরা প্রার্থীরা কেউই জানি না। ঐ সকল ব্যক্তিরা নিজেদের স্বার্থে কখনো নৌকার প্রার্থীর সাথে, কখনো আবার লাঙ্গলের প্রার্থীর সাথে সখ্যতা রাখে। তবে, সুবিধাভোগীদের কোনো স্থান নেই বলে জানান এ দুজন।
এছাড়া, তাদের নিজেদের মধ্যে অতীতেও ভালো সম্পর্ক ছিলো, এখনো আছে এবং ভবিষ্যতেও তা থাকবে বলেও জানান তারা। একইসাথে লিয়াকত হোসেন খোকাকে চাচা উল্লেখ করে তার সাথে প্রায়ই কথা হয় বলে জানান কায়সার হাসনাত। লিয়াকত হোসেন খোকা বলেন, আমরা ঠিক করেছি যে, প্রত্যেকদিন রাত্রে একবার ফোনে সোনারগাঁয়ের সার্বিক নির্বাচনী পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলবো, যাতে তৃতীয় পক্ষ ঢুকে কোনো ষড়যন্ত্র করতে না পারে। সোনারগায়ের মানুষ আগামী ০৭ জানুয়ারী ভোট দিতে প্রস্তুত বলেও জানান খোকা।
জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে আয়োজিত ঐ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাহান ভুইয়া, তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী এড. তৈমুর আলম খন্দকারসহ ৫টি আসনের সকল প্রার্থী, জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটের কর্মকর্তারা।
