একটা গাম্ভীর্য রেখে চললেও সেলিম ভাইয়ের মনটা অনেক নরম

7

নারায়ণগঞ্জ সমাচার:

ওসমান পরিবারের বড় মেয়ে নিগার ওসমান বলেছেন, ও নিজেকে অনেক বয়স্ক ভাবে কিন্তু ও আমার ইমিডিয়েট বড়ো। ও একটু গাম্ভীর্য বজায় রেখে চলে, কিন্তু মনটা ওর অনেক নরম। যেটা অনেকে বুঝতে পারে না। একটা জিনিস ওর মধ্যে আছে যে, ও মেয়েদেরকে খুব সম্মান করে এবং এজন্যই সে এরকম নারী উদ্যোক্তা। এই জিনিসটা ওর মধ্যে ছোটবেলা থেকেই ছিলো। প্রতিটা ক্ষেত্রে আমরা এটা দেখেছি। একজন পুরুষের উন্নতির পিছনে দুইটা নারীর অবদান থাকে, একটা হলো মা এবং অপরটা হলো স্ত্রী।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সেলিম ওসমানের সমর্থনে নারী উদ্যোক্তা, নারী সংস্থাসহ নারী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন। সাবেক সংসদ সদস্য এড. হোসনে আরা বেগম বাবলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় উপস্থিত ছিলেন সেলিম ওসমান ও তার পত্নী নাসরিন ওসমান। সোমবার (০১ জানুয়ারী) বিকেলে নগরীর ১নং রেল গেইট এলাকাস্থ এস এম মালেহ রোডে সেলিম ওসমানের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এটা জাহির করার বা অহংকারের ব্যাপার না তবুও বলতে চাই, বাংলাদেশের ইতিহাসে আমাদের পরিবার তথা ওসমান পরিবার ক্রমাগতভাবে রাজনীতিতে জড়িত। আমার দাদা ছিলেন বৃটিশ আমলের এম এল এ, আব্বা ছিলেন পাকিস্তানের এম এল এ, তারপর আসলো বাংলাদেশ এবং আমরা আব্বার সাথে প্রত্যক্ষদর্শী। সেলিম ভাই (সেলিম ওসমান) ছোট্ট বয়সে মুক্তিযোদ্ধা ছিলো এবং ওর মধ্যে ছোটবেলা থেকেই একটা দায়িত্ববোধ ছিলো।

ও (সেলিম ওসমান) একটা খুব সুন্দর কথা বলে, তোমরা ইবাদত করো, অনেক নামাজ পড়ো কিন্ত আমি মনে করি, কাজটাই ইবাদত। এই কথাটা সত্যি, আমার মনকে অনেক নাড়া দিয়েছে। নামাজ তো আমরা পড়বোই, আমরা মুসলমান। কিন্তু ও যে মানুষের জন্য কাজটা করছে, এটা কিন্তু বড় একটা ইবাদত। ৭৫’পরবর্তী সময়ে আমরা যখন খুব কষ্টে ছিলাম, তখন সেলিম ভাই থাকার জন্যই আমি ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে পড়তে পেরেছি, এটা ভাবতেই সত্যি আমার খুব ভালো লাগে।

নাসরিন (নাসরিন ওসমান) আমার বান্ধবী, আমরা পাশাপাশি বাড়িতে থাকতাম। আমার বান্ধবী হওয়ার সূত্রেই ও আমার সেলিম ভাইয়ের বউ। আমার মা যখন শুনলো ওর সাথে সেলিম ভাইয়ের পরিচয় আছে, মা তখন অনেক খুশী হলো। আম্মা যেভাবে বাইতুল আমানে ওসমান পরিবারকে ধরে রেখেছিলেন, নাসরিন এখন এই পরিবারকে সেই একইভাবে আগলে রেখেছে। আমার মাকে আমি বাংলাদেশে কোনো নারীর সাথে মেলাতেই পারি না। উনি একজন অসাধারণ এবং মহিয়সী নারী ছিলেন। তার যে অবদান এই বাংলাদেশের রাজনীতিতে, ৫২’ সালে তা অকল্পনীয়। একজন মহিলা যে এরকম করতে পারে, সেটা আম্মাকে না শুনলে বুঝা যায় না।

আরও উপস্থিত ছিলেন আঞ্জুমান আরা আকসীর, আলেয়া বেগম, রোকসানা খবির, এড. মাহমুদা মালা, ইসরাত জাহান স্মৃতি, এড. নুর জাহান, মরিয়ম শান্তা, নারগিস প্রমুখ।