লিয়াকত হোসেন খোকা’র হাতেই নিরাপদ নারায়ণগঞ্জ-৩ আসন

9

নারায়ণগঞ্জ সমাচার:

নির্বাচনে সঠিত সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনে আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে সন্ত্রাসীরা, এমনটাই মনে করে সোনারগাঁবাসী। ফলে উপজেলার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্ট হবে বলে দাবি তাদের। তাদের মতে, ২০১৪ সালের পূর্ব পর্যন্ত ব্যাপক সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালানো হয়েছিলো এই উপজেলায়, পরবর্তীতে লিয়াকত হোসেন খোকার হাত ধরে শান্তির জনপদে পরিণত হয় সোনারগাঁ। এই শান্তির জনপদ যাতে পুনরায় সন্ত্রাসের জনপদে পরিণত না হয়, তাই ০৭ জানুয়ারির নির্বাচনে লিয়াকত হোসেন খোকার জয়ের কোন বিকল্প নেই বলে দাবি তাদের।

সোনারগাঁ উপজেলা নিয়ে গঠিত নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে ২০১৪ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন লিয়াকত হোসেন খোকা। এরপর থেকেই বদলে যেতে শুরু করে এই উপজেলার দৃশ্যপট। এমপি খোকার জাদুকরী ছোঁয়ায় আসনটিতে বইছে উন্নয়নের জোয়ার। খোকা’র অক্লান্ত পরিশ্রমে গত ৫০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশী উন্নয়ন-অগ্রগতি হয়েছে গত দশ বছরে। এই উপজেলার সাধারণ জনগনের দৃষ্টিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপরেখা বাস্তবায়নে এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা এক আপোষহীন সৈনিক।

উপজেলার সাধারণ মানুষের মতে, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ও ২০০৮ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ-৩ আসন ছিল অবহেলিত। সন্ত্রাসে অভয়ারণ্য ছিল এ জনপদ। সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা অবহেলিত জনপদকে উন্নয়নের জনপদে পরিণত করেছেন। সন্ত্রাস দূর করে নারাযণগঞ্জ-৩ আসনকে শান্তির নীড়ে পরিণত করেছেন তিনি।

বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার হাতে বর্তমানে নিরাপদ নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাধারণ জনগন। অপরাধী ও সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় না দিয়ে এবং কোণঠাসা করার মধ্য দিয়ে তিনিই শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রেখেছেন সোনারগাঁয়ের সর্বত্র। ফলে, স্বস্তিতে আছে উপজেলার সাধারণ মানুষ। তাদের মনে নেই কোন সন্ত্রাস আতংক। আগামী দিনে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে খোকার বিকল্প নেই বলে দাবি তাদের।

২০১৪ সালের আগ পর্যন্ত সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও চাঁদাবাজির শিকার ভুক্তভোগীদের অনেকে বলেন, ২০০৮ সালের পর সোনারগাঁ উপজেলায় সন্ত্রাসীদের রাম রাজত্ব কায়েম কারী এক ব্যক্তি নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রুখে দিতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আর তার সঙ্গী হয়েছেন; মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, জমি দখল, গরু চুরি, স্কুল-কলেজের ছাত্রীদের ইভটিজিংকারী ও জুয়াসহ অসামাজিক কার্যকলাপের জড়িত অপরাধী ও চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। যাদের কারোই এলাকায় অস্তিত নেই। তারা এতোদিন এলাকার বাহিরে অবস্থান নিলেও নৌকার প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। একইসাথে লাঙ্গল প্রতীকের ভোটার ও সমর্থকদেরকে নানাভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে স্থানীয়রা।

তারা আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সোনারগাঁয়ে যে উন্নয়ন করেছেন বর্তমান সংসদ সদস্য খোকা, সেই উন্নয়ন ম্লান করতে টাকার ঝনঝনানি করছেন লুটেরা ঐ ব্যক্তি। এমপি খোকার হাতে বর্তমানের সুসংগঠিত সোনারগাঁয়ে যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে সাধারণ জনগন ঐক্যবদ্ধ হয়েছে এবং ঐক্যবদ্ধ হয়ে ০৭ জানুয়ারীর নির্বাচনে লাঙ্গল প্রতীকে ভোট দিয়ে লিয়াকত হোসেন খোকার পক্ষে ভোট বিপ্লব ঘটাবে বলেও দাবি তাদের।

জানা গেছে, সোনারগাঁবাসীর কাছে লিয়াকত হোসেন খোকা পরিচিত রয়েছে ক্লিন ইমেজের ব্যক্তি হিসেবে। নিজের দক্ষতায়, যোগ্যতায় এবং ভক্ত, অনুসারী ও সাধারন মানুষের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা থাকায় বিগত দুটি নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে আসছেন তিনি। আগামী নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হবেন বলে ধারণা সোনারগাঁবাসীর। তারা বলছে, নৌকা-লাঙ্গল বুঝি না, খোকাই আমাদের এমপি ছিলো, খোকাই আবার এমপি হবে। খোকা যেই মার্কায় নির্বাচন করছে, সেই মার্কায়ই ভোট দিবো।

তারা আরও বলছে, এমপি হিসেবে অত্যন্ত সফল লিয়াকত হোসেন খোকার রাজনীতির জীবনেও নেই কোনো কলঙ্ক। তিনি একজন স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ। তার নেতৃত্বে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে উপজেলায়। আগামী নির্বাচনেও তিনি বিজয়ী হবেন। দীর্ঘ এ সময় তিনি উপজেলায় ব্যাপক উন্নয়ন কাজ করেছেন। বলা হয়- সোনারগাঁয়ে যা উন্নয়ন হয়েছে সবই লিয়াকত হোসেন খোকার হাত ধরে। এখনকার প্রতিটি বাড়ি, রাস্তাঘাট তার চেনা। তার হাতেই এই সোনারগায়ের সকল উন্নয়ন হয়েছে। এখনো অসংখ্য উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। আগামী দিনে তিনি আবারও এমপি নির্বাচিত হবেন। এবং জনগণের কল্যাণে কাজ করবেন।