
নারায়ণগঞ্জ সমাচার:
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াসউদ্দিন বলেছেন, ৫ তারিখ রাত্র থেকে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল, কিছু অনৈতিক কাজে লিপ্ত মানুষ আবার লুটতরাজ, রাহাজানি, ছিনতাই, চুরি-ডাকাতি, জ¦ালাও-পোড়াও শুরু করলো। পূর্বে যারা শাসক ছিলো যারা হয় তাদের দোসররা এই কাজে লিপ্ত ছিলো, আর না হয় তারা বিপথগামী কিছু ব্যক্তি। প্রত্যেক এলাকায় আপনারা জানেন কারা এগুলো করেছে, আমরা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছি।
আমাদের নেতা তারেক রহমান দ্যর্থহীন কণ্ঠে ঘোষণা বলেছেন, কোনো সন্ত্রাসী, কেনো চাঁদাবাজ, কোনো ছিনতাইকারী, কোনো লুটপাটকারীর স্থান বিএনপিতে হবে না। ইতিমধ্যেই যারা এসকল অণৈতিক কাজে অংশগ্রহন করেছে, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আমরা অনেককে বহিস্কার করেছি, অনেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে, কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। কেউ যদি এই দল করে বিপথগামী হয়, মনে রাখবেন আপনার বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। আপনার পেছনে যত বড় শক্তিই থাকুক না কেন, আপনি যত বড় ডেজিগনেশন ধারীই হোন না কেন, যত বড় ক্ষমতাবান নেতা হোন না কেন আপনাকে বিএনপিতে রাখা হবে না।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ফতুল্লা থানাধীন এনায়েতনগর ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, যে এলাকায় জনগন যাকে ভালোবাসবে, সেই বিএনপি নেতা হবে। যারা অপকর্ম করবে, সে যে দলেরই হোক না কেন, তাদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আপনারা সোচ্চার হয়ে দাড়ান। আমাদের জানাবেন, আমরা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিবো। আইন হাতে তুলে নিবেন না, প্রশাসনের হাতে তাদের সোপর্দ করবেন। আমরা যারা বিএনপিতে ছিলাম তারাই আন্দোলন করে এই সরকারের পতন ঘটিয়েছি। বিএনপিতে নতুন কোনো লোক আমদানী করতে হবে না, আমরা যারা আছি তারাই যথেষ্ট। যারা স্বৈরশাসকের দোসর ছিলো, তাদেরকে কোনো অবস্থাতেই কোনো আত্মীয় ভেবে, এলাকাবাসী ভেবে বিএনপিতে আনার চেষ্টা করবেন না। যদি আমি তা দেখি, তবে অবশ্যই আপনাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।
তিনি আরও বলেন, আপনারা জানেন, স্বৈরশাসক হত্যা, নির্যাতন, লুটপাট, মিথ্যা মামলা-হামলা দিয়ে এদেশের অগণিত মানুষকে কারাগারে রূদ্ধ করে তার স্বৈরশাসনকে পাকাপোক্ত করে বসেছিলেন। দীর্ঘ ১৬ বছর আন্দোলন করতে গিয়ে বিএনপিসহ অনেক রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ মানুষকে জীবন দিতে হয়েছিলো। আমাদের সন্তান-ছাত্ররা যখন বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন শুরু করে তখন ১ দফা দাবি আদায়ে সকল গণতান্ত্রিক রাজণৈতিক দলের নেতাকর্মীরা রাজপথে নেমে এসেছিলো। স্বৈরাচারী শাসক শেখ হাসিনা তার বোনকে নিয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিলো। দেশ সেদিন আবার নতুনভাবে মুক্ত হয়েছে।
শামীম ওসমান সম্পর্কে তিনি বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচনে গডফাদার যখন পরাজীত হয়েছিলো, সেদিন সে পালিয়েছিলো, তার সহকর্মীদের কথা ভাবে নাই। আবার ২০২৪ সালে যখন পরাজয় হলো, তখনও সেই সন্ত্রাসীদের গডফাদার পালিয়ে গেছে। যারা তাকে শক্তি যুগিয়ে নেতা বানিয়েছিলে, সেই সহযোদ্ধাদের, সহকর্মীদের রেখে পালিয়ে গেছে। এমন নেতার পিছনে যারা কাজ করেছেন, একটু ভেবে দেখেন আপনারা কতো নির্বোধ ছিলেন, অথবা কতো বোকা ছিলেন। যত অত্যাচার, জেল-জুলুমই আসুক না কেন আমরা জনগনকে ছেড়ে কখনো যাই নাই। আগামীতেও যাবো না। বিএনপি সেই শিক্ষাই আমাদের দিয়েছেন।
জেলা বিএনপির সভাপতি বলেন, স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার আমাদের দলের নেতাকর্মীদের উপর নির্মম অত্যাচার করেছে। কিভাবে দেশের সম্পদ লুটপাট করেছে তা আপনারা সকলেই জানেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠা করে গিয়েছিলেন দেশ ও জনগনের কল্যাণে কাজ করে যাওয়ার। যে আদর্শে তিনি বীজ বপন করে গিয়েছিলেন, সেই আদর্শ নিয়েই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন। পরবর্তীতে তাদেরই সুযোগ্য সন্তান, জনাব তারেক রহমান বিদেশে থেকেও আন্দোলন সংগ্রাম করে, এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার পুন:প্রতিষ্ঠার জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। আমরাও রাজপথে আন্দোলন করেছি তার নির্দেশনায়।
তিনি আরও বলেন, ফতুল্লা একটা শিল্প সমৃদ্ধ এলাকা। স্বৈরশাসক গণতন্ত্রকে শুধু ধ্বংস করে নাই, আইনের শাসনকে শুধু ধ্বংস করে যায় নাই, তারা দেশের অর্থনীতিকেও সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে গেছে। হাজার হাজার কোটি টাকা তারা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করে দিয়েছে। বিদেশে বসে সেই টাকা দিয়ে আজকে তারা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এই অন্তর্বর্তীকালীণ সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন, কোনো অবস্থাতেই যেন এই সরকার ব্যর্থ না হয়, তাই আপনাদের সকলকে কাজ করতে বলেছেন।
শিল্প সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, শিল্পপতিরা অনেকেই স্বৈরাচারী সরকারকে পৃষ্ঠপোষকতা করেছে, তা আমরা জানি। তারপরও এই সম্পদগুলো আপনাদের রাষ্ট্রের, কাজেই আপনাদের মনে রাখতে হবে, এই সম্পদ গুলো যাতে কেউ ধ্বংস করতে না পারে সেজন্য বিএনপির নেতাকর্মীদের সোচ্চার থাকতে হবে। সহযোগীতা করতে হবে প্রশাসনকে এবং শিল্প মালিকদের। মালিকদের বলতে চাই, স্বৈরশাসকের পক্ষে গিয়ে যা করেছেন, এখন ভালো হয়ে যান। সেই সমস্ত আচরণ ছেড়ে দিন। ডাবল স্ট্যান্ডবাজি পলিটিক্স আমাদের সাথে করবেন না। কারণ আমরা তো সবাই আপনাদেরকে চিনি। কে কোন জায়গায় বসে, কি কি করেছেন তা আমরা ভালো করেই জানি। এখন আমরা চাই, দেশের কল্যানে আপনারা আত্মনিয়োগ করেন। অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটানোর জন্য আমরা বিএনপির পক্ষ থেকে সহযোগীতা করবো। আপনাদেরকে অনুরোধ করবো, কোনো একটি শিল্প কারখানায় যেনো কোনো অসন্তোষ না হয়, কোনো রকম হয়রানী না হয়, শ্রমিকদের যাতে উস্কানী দেয়া না হয় সে ব্যবস্থা আপনারা সুনিশ্চিত করেন। দেশের অর্থনীতিকে দ্রুত স্বাবলম্বী করার চেষ্টা করবেন।
তিনি আরও বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নষ্ট করার জন্য চেষ্টা করবেন। সেইখানেও আপনারা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সহযোগীতা করবেন। আপনারা জানেন, পুলিশ তাদের নৈতিক যে চরিত্র ছিলো তা হারিয়ে ফেলেছে। কারণ, স্বৈরাচারী সরকার পুলিশকে ব্যবহার করেছিলো ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে। পুলিশ নির্বিচারে গুলি করে সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে। শিশুকেও হত্যা করেছে। তারা পরাজীত হয়েছে, আন্দোলন সংগ্রামে। এজন্য তাদের মনোবল ভেঙ্গে গেছে। আমরা চাই, যে সকল পুলিশ কর্মকর্তা কাজে যোগদান করেছে, তাদেরকে সহযোগীতা করতে। কিন্তু তাদেরকে মনে রাখতে হবে, পুলিশ স্টেশন যেনো দালালের আখড়া না হয়। সেখানে গিয়ে যাতে কোনো সাধারণ মানুষ হয়রানীর শিকার না হয়। ঘুষ-দুর্নীতি যেন বন্ধ থাকে, সে ব্যবস্থা আপনাদেরকে করতে হবে।
জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ গিয়ে যেখানে স্বৈরাচারী সরকারের সময় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আর্থিকভাবে এবং বিভিন্ন প্রকার হয়রানীর মুখোমুখি দাড়াতে হয়েছে। সেই অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে আপনারা দুর্নীতি-ঘুষ বন্ধ করে জনগনের কল্যানে কাজ করতে হবে। আবার জনগনের কাছে আস্থা অর্জন করতে হবে। যে জনগনের ট্যাক্সের টাকায় আপনাদের বেতন ভাতা দেয়া হয়, সেই জনগনের বিরুদ্ধে যেন আপনাদের আর দাড়াতে না হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখবেন।
ফতুল্লা ও নারায়ণগঞ্জবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বিএনপির এখন মূল কাজই হবে এই এলাকার মানুষের কল্যাণে, এই এলাকার মানুষের উন্নয়নে কাজ করা। স্বৈরশাসক যখন ছিলো, তখন আমি বলেছিলাম যে ফতুল্লা একটি শিল্প-সমৃদ্ধ এলাকা। নারায়ণগঞ্জ জেলায় সবচেয়ে বেশী ট্যাক্স দিয়ে থাকে ফতুল্লার এই শিল্পাঞ্চল। কিন্তু এই এলাকার যে উন্নয়ন মানুষ প্রত্যাশা করে, তার চেয়ে অনেক পিছিয়ে আছে এই এলাকার উন্নয়ন। তাই আমি বলেছিলাম, ফতুল্লা থানাটাকে সিটি কর্পোরেশনের আওতায় নিতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় আন্দোলন হলো, এই ফতুল্লাকে উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যাওয়া, তার জন্য এই ফতুল্লাকে সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। অন্তর্ভূক্ত করার জন্য আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করবো। আপনাদের জনগনের কাছে সেই সমর্থন, সহযোগীতা চাই। কিছু চেয়ারম্যান আছে যারা নৌকা মার্কা নিয়ে চেয়ারম্যান হয়েছিলো, জনগনের ভোট ছাড়া, তারা স্বৈরাচারের দোসর ছিলো। তারা তাদের স্বার্থের কারণে সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্ভূক্ত করতে দেয় নাই ফতুল্লাকে। তাদেরকে বাদ দিয়ে প্রশাসক নিয়োগ করুন, অথবা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিয়োগ করুন, এদেরকে আর কোনোভাবেই সেই চেয়ারে বসতে দেয়া যাবে না। এই অব্জলকে সিটি কর্পোরেশনে নিয়ে ৫টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের জায়গায় চেয়ারম্যানের পদমর্যাদায় কমপক্ষে ১৫জন কাউন্সিলর হবে, যাতে করে নেতৃত্বের বিকাশ ঘটবে, সেই জায়গায় আমরা এই ফতুল্লাকে নিয়ে যেতে চাই। আগামী দিনে ইনশাআল্লাহ আমরা এই ফতুল্লার মানুষের কল্যানে কাজ করতে চাই। তাদের উন্নয়নে কাজ করতে চাই।
ডিএনডির জলাবদ্ধা নিরসনে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জলাবদ্ধতা হয় ডিএনডিতে, অনেক স্বপ্ন দেখিয়েছিলো স্বৈরাচারের দোসর গডফাদার শামীম ওসমান, কিন্তু আজও সেই জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পায় নি ডিএনডিবাসী। ইনশ্আাল্লাহ আমরা ডিএনডি এলাকাকেও সিটি কর্পোশেনের অন্তর্ভূক্ত করে একটি নতুন শহরে উন্নীত করবো।
বিএনপি নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, প্রত্যেকটি এলাকায় যারা পদে আছেন তাদের চেয়েও যোগ্য অনেক ব্যক্তি আছে যারা পদে নাই। তাদেরকেও যথাযথ মূল্যায়ন করে বিভিন্ন পদে আসীন করতে হবে। সবাইকে সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দলকে সুসংগঠিত করতে হবে। কারণ, ষড়যন্ত্র হচ্ছে, যে কোনো সময় আবার অতীত স্বৈরাচার দেশের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে এই অন্তর্বর্তীকালীণ সরকারের বিরুদ্ধে দোষ চাপিয়ে আবার তারা স্বৈরশাসন ফিরিয়ে আনার ষড়যন্ত্র করছে। কাজেই সেটাকে রূখতে হবে, আর সেটা রূখতে হলে আমাদের দলকে শক্তিশালী করতে হবে, দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। কোনো অবস্থায় ভাইয়ের রাজনীতি কেউ করবেন না, ভাইয়ের শ্লোগান কেউ দিবেন না। স্লোগান হবে শুধুমাত্র শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, দেশ নায়ক তারেক রহমান, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার। আমি ইতিমধ্যেই সার্কুলার দিয়েছি, আমার ছবি দিয়ে কেউ পোস্টার করতে পারবেন না, কোনো লিফলেট লাগাতে পারবেন না। আপনাদের কাছে অনুরোধ জানাই, স্বৈরশাসক তাদের দোসরদের নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ব্যানার-পোস্টার লাগিয়ে স্বৈরতান্ত্রিক এ শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিলো। মানুষ ভয় পায় এই পোস্টার-ব্যানার দেখলে। কাজেই আপনারা এই পোস্টার-ব্যানার যেগুলো আছে সেগুলো নামিয়ে ফেলবেন, আর কেউ কোনো পোস্টার-ব্যানাল লাগাবেন না। জনগনের কাছে আমাদের আস্থা অর্জন করতে হবে। আসেন জনগনের পাশে দাড়াই। মুরুব্বীদের সম্মান দিবেন, পিতা-মাতাকে সম্মান দিবেন, তাহলেই দেশ ভালো হবে, তা না হলে দেশ ভালো হবে না। মানুষ যাকে ভালো বলবে তাকেই আমার সাথে নিবো, মানুষ যাকে খারাপ বলবে সে যত বড়ই নেতা হোক আমার পাশে আর তার ঠাই হবে না।
এতে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক খন্দকার মনিরুল ইসলাম, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এড. আব্দুল বারী ভুইয়া, এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এডভোকেট জাহাঙ্গীর ইসলাম, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি প্রমুখ।