
শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর থেকেই বদলে গেছে নারায়ণগঞ্জের চিত্র। দলীয় কার্যালয় ভাংচুর, কার্যালয়ের সামনে বাকর খানির দোকান, নেতা-কর্মীরা নিরুদ্দেশ।
এদিকে, বছর খানিক আগেও যাদের পোস্টার-মিছিল মুখর করত শহর, যাদের কণ্ঠে ছিল দলীয় স্লোগান—তাঁদের এখন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
০৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে জেলার পাঁচ এমপির বাড়িতে হামলা, লুটপাট আর অগ্নিসংযোগের পর থেকেই নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে গেছেন বলে জানা গেছে।
সূত্র বলছে— জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক এড. শহীদ বাদল, মহানগর সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চন্দন শীল, যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, জি এম আরমান, মাহমুদা মালা সকলেই রয়েছেন আত্মগোপনে।
শুধু কি তাই? যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদেরও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কে কোথায় গেলেন, কেউ জানে না।
কেউ কেউ দেশ ছাড়লেও অধিকাংশ নেতার বিষয়েই নেই নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্য পাওয়া যায় নি।
এদিকে, আওয়ামীলীগের পতনের পর সারাদেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জেও শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ও আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
এরপর থেকেই কার্যালয়টি পরিণয় হয় মাদকসেবীদের আখড়ায়। রাতের আধারে অনৈতিক কাজ হয় বলেও জানা গেছে।
সর্বশেষ, কার্যালয়টির বাইরে বাকরখানির দোকান বসানো হয়েছে। যেখানে বাকরখানি তৈরির মেশিন স্থাপন করা হয়েছে।
সম্প্রতি কারামুক্ত এক বিএনপির নেতার ভাগিনার বন্ধু হিসেবে পরিচিতি জনৈক সুমন এই দোকান বসিয়েছে বলে জানায় দোকানের কর্মচারীরা।
অপরদিকে, নেতারা পালিয়ে গেলেও অনেকটা দিশেহারা অবস্থায় রয়েছে আওয়ামীলীগের তৃণমূল কর্মীরা।
তাদের অভিযোগ—”যারা এতদিন গলা ফাটিয়েছেন, তারা এখন কোথায়? বের হয়ে আসুন—আমরা আপনাদের খুঁজছি!”
অন্যপ্রান্তে, বিজয়ের স্বরে কথা বলছে বিএনপি। তাদের দাবি, “এই বিজয় ছাত্রজনতার। জালিম সরকার বিদায় নিয়েছে। এখন সময় নতুন দেশের পথে হাঁটার।”