
নারায়ণগঞ্জ সমাচার:
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে ১৮ নং ওয়ার্ডের দুইবার নির্বাচিত সফল কাউন্সিলর ও বর্তমান কাউন্সিলর প্রার্থী কামরুল হাসান মুন্না নির্বাচনী গণসংযোগ করেছেন। কামরুল হাসান মুন্নার সমর্থনে শুক্রবার (০৩ ডিসেম্বর) বিকেলে বাপ্পী চত্বর থেকে একটি বিশাল মিছিল বের হয়। এসময় মিছিলে নেতৃত্ব দেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের বেয়াই ও এই ওয়ার্ডের মুরুব্বী ফয়েজ উদ্দিন লাভলু।
ওয়ার্ডের প্রতিটি পাড়া-মহল্লা থেকে সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও তাদের সমর্থনকারীরা এবং সাধারণ জনগন দলে দলে এ গণসংযোগে যোগদেন। সাধারণ মানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসায় এবং তাদের উপস্থিতির কারণে মুন্নার মিছিল অনেকটা জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
মিছিলটি বাপ্পী চত্বর হতে শুরু হয়ে ওয়ার্ডের নলুয়া রোড, তোলারাম সড়ক, সুলতান গিয়াস উদ্দিন রোড, কড়ইতলা, তামাকপট্টি, কদমতলী, শহীদনগর, আলামিননগর, শহীদনগর সেতু হয়ে পুনরায় বাপ্পী চত্বরে এসে শেষ হয়।
এসময় সাধারণ মানুষও কামরুল হাসান মুন্নাকে স্বাগত জানায় এবং আগামী নির্বাচনে পুরোনো সেই ভুল আর করবে না বলেও অভিমত দেন এলাকাবাসী। এসময় সাধারণ ভোটারদের অনেকে মুন্নাকে বুকে জড়িয়ে ধরে অনেকে আবার মুন্নার সাথে হাত মিলিয়ে আগামী নির্বাচনে তাকে বিপুল ভোটে জয়ী করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। অনেকে আবার দুর থেকেই হাত নেড়ে কামরুল হাসান মুন্নাকে সমর্থন জানান।
গণসংযোগ শেষে ফয়েজ উদ্দিন লাভলু বলেন, আপনারা এখানে দাড়িয়ে দক্ষিণ নলুয়া জামে মসজিদ দেখছেন সেটা মুন্না করেছে, একটা স্কন দেখছেন, তার আগে একটা মন্দির দেখছেন, স্বাধীণতা চত্বর, বাপ্পী চত্বর সবই মুন্না করেছেন। একটা মাদ্রাসা দেখছেন এটা আমরা এবং মুন্না সকলে মিলে করেছি। যেহেতু ও মানুষ, ওর ভুল-ত্রুটি থাকতে পারে, তবে আমরা কথা দিচ্ছি মুন্নার পক্ষ থেকে আর কোনো ভুল হবে না। মুন্না এখন খাঁটি সোনা হয়েছে, এই খাঁটি সোনা আপনাকে চিনতে হবে। একজন দক্ষ মানুষকে চিনতে হবে।
মানুষ এবার আর ভুল করবেনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজকে আমরা একটা বিশাল মিছিল নিয়ে ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছি। এটা শুধু একটা মিছিল নয়, এটা জনপ্রিয়তার বহি:প্রকাশ। মানুষ গতবার যে ভুল করেছে, সেটা এবার শুদ্ধ করতে চায়। আমরা মনে করি, প্রত্যেকটা প্রার্থী যোগ্য। তবে আমার প্রার্থী (কামরুল হাসান মুন্না) সবার চেয়ে যোগ্য। আমার প্রার্থী জয় বাংলার প্রার্থী, শেখ হাসিনার প্রার্থী, আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, শ্রমিকলীগ-ছাত্রলীগের প্রার্থী, এলাকার সকল মানুষের প্রার্থী।
তিনি আরও বলেন, আপনারা আগেও কমিশনার দেখেছেন, এর আগেও কমিশনার দেখেছেন, আমার বড় ভাই দুলু কমিশনারকেও দেখেছেন। যাই হোক আমরা আর ভুল করতে চাই না, আমাদের এলাকাকে নর্দমার এলাকা করতে চাই না, আমাদের এলাকা সুইপার কলোনী এলাকা করতে চাই না। আমাদের এলাকা হবে নারায়ণগঞ্জের সর্বশ্রেষ্ঠ এলাকা, তার জন্য মুন্নার যতটুকু সহযোগীতা প্রয়োজন, ইনশ্আাল্লাহ আমরা তাকে তা করবো।
কামরুল হাসান মুন্না বলেন, এ গণসংযোগে আপনারা যারা উপস্থিত হয়েছেন আপনাদের দেখেই বোঝা যাচ্ছে আপনাদের সকলের মনের অবস্থা খুবই ভালো। আপনারা যারা আজকে এই মিছিলে আমার সাথে উপস্থিত হয়েছেন, আপনাদেরকে আমার ভোটার বা কর্মী মনে হয় নি। মনে হয়ে আপনারা সবাই আমার এবং আমি আপনাদের সবার। আপনারা দেখেছেন, বিগত দিনে আমি আপনাদের জন্য কিভাবে কাজ করেছি। মাঝখানে হয়তো আমার কিছু ভুল-ত্রুটি ছিলো, আমি মানুষ হিসাবে ভুল করতেই পারি। যদি কোনো ভুল করে থাকি আপনারা আমাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এই আশা করছি।
তিনি বলেন, আমরা দুই ভাই (মুন্না-লাভলু) আছি, যতদিন বাঁচবো আমরা দুই ভাই একসাথে আপনাদের পাশে থাকতে চাই, একসাথে এলাকার যে কোনো উন্নয়নের জন্য আমরা মিলিতভাবে অবদান রাখতে চাই। কোনো অপশক্তি এখানে মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না, কোনো সমাজবিরোধী কার্যকলাপ এখানে কেউ আর করতে পারবে না ইনশ্আাল্লাহ।
তিনি আরও বলেন, যতক্ষণ আমার শরীরে এক বিন্দু রক্ত থাকবে, ততক্ষণ আমি আছি ১৮নং ওয়ার্ডবাসীর সাথে। আমি ১৪ বছর কাউন্সিলর ছিলাম আমি জানি, আমার এলাকার মানুষের আহামরি কোনো চাওয়া পাওয়া নাই। তারা সামাজিক নিরাপত্তা চায়, যুবসমাজকে অবক্ষয় থেকে রক্ষা করতে চায়। আমরা যুবসমাজকে নিয়ে আগাতে চাই। কোনো কিশোরগ্যাং এই এলাকায় থাকবে না। কিশোর গ্যাং তারাই বানায়, রাতের বেলায় যারা বের হয় তারাই হচ্ছে কিশোরগ্যাং। আমার দিনের আলোতে বেরিয়েছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মিনহাজ উদ্দিন ভিকি, আহমেদ কাউসার, জামিল, দুলু, সাজিদ, বিটু, বাপ্পী প্রধান, তাইফুল হাসান তান্না, রিয়ন প্রমুখ।