
নারায়ণগঞ্জ সমাচার:
নগরীর সিদ্ধিরগঞ্জ অঞ্চলের ৪ ও ৫নং ওয়ার্ডে ব্যাপক গণসংযোগ করে ভোট প্রার্থণা নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামীলীগের সমর্থিত মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী।

রবিবার (০২ জানুয়ারী) সকাল ১০ টায় এ অঞ্চলে নির্বাচনী প্রচারনায় নামেন তিনি। এসময় ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর সঙ্গে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৩ আসন তথা সোনারগাঁয়ের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত, সোনারগাঁ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান কালাম, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন মিয়া, বিলুপ্ত সিদ্ধিরগঞ্জ পৌরসভার সাবেক প্রশাসক আব্দুল মতিন মাস্টার, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদির, যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, শহর যুবলীগের সহ-সভাপতি কামরুল হুদা বাবু।

আর উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত ২নং (০৪, ০৫ ও ০৬ নং সাধারণ ওয়ার্ড) ওয়ার্ডের সাবেক নারী কাউন্সিলর ও বর্তমান প্রার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস নীলা ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী নজরুল ইসলাম, আরেক প্রার্থী আরিফুল হক হাসান, ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম মুহাম্মদ সাদরিল প্রমুখ। সিদ্ধিরগঞ্জ পাওয়ার হাউজ এলাকায় প্রচারণায় গেলে সেখানে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের বিদ্যুৎ বিষয়ক উপ-সম্পাদক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মকর্তারা আইভীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

এছাড়াও স্থানীয় আওয়ামীলীগের শতশত নেতাকর্মী, সাধারণ জনগন উৎসব মুখর পরিবেশে আইভীর প্রচারণায় অংশ নেন। এসময় নেতাকর্মীরা মিছিল এবং বিভিন্ন স্লোগানে স্লোগানে, তালে-তালে নৌকা মার্কায় ভোট চান জনগনের কাছে।

সকালে আটি হাউজিং থেকে শুরু করে বিকেল ৫টা পর্যন্ত আজিবপুরের উত্তর অংশ, দক্ষিণ অংশ, সিদ্ধিরগঞ্জ কলাবাগানের পূর্ব, পশ্চিম, সাইলো ও সিদ্ধিরগঞ্জ পাওয়ার হাউজসহ ৪ ও ৫নং ওয়ার্ডে বিভিন্ন এলাকায় প্রচারণা করেন আইভী।

প্রচারণাকালে স্থানীয় জনগন ফুল ছিটিয়ে আইভীকে অভ্যর্থণা জানান। এসময় আইভী তাদের কাছে ভোট প্রার্থণা করে বিগত উন্নয়ন সম্পর্কে অবগত করেন এবং ভোটারদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। এর প্রেক্ষিতে অনেকে আইভীকে জড়িয়ে ধরে, হাত ধরে দোয়া করেন, অনেকে আবার বলেন, আপনি কেন এসেছেন, আপনি আসলেও আপনাকে ভোট দিবো, না আসলেও আপনাকেই ভোট দিবো।

প্রচারণার মাঝেই গণমাধ্যমে সাথে আলাপকালে আইভী বলেন, গত দশ বছরে সিদ্ধিরগঞ্জের প্রতিটি ওয়ার্ডেই শত কোটি টাকার বেশী কাজ করা হয়েছে। কোনো কোনো ওয়ার্ডে দুইশত কোটি টাকারও কাজ হয়েছে। এসব এলাকা দিয়ে হাটতে প্রচুর কষ্ট হতো জনসাধারণের যা, আমি নিজে ভোট চাইতে এসে দেখেছিলাম। আমি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই এই এলাকার উন্নয়নে কাজ করেছি। তাই আমি মনে করি, সিদ্ধিরগঞ্জের মানুষ আমাকেই ভোট দিবে। ভোট দিয়ে তারা উন্নয়নের চলমান এ ধারাকে অব্যাহত রাখবে।