নাসিক ১৬ নং ওয়ার্ড: সজলের যোগ্য উত্তরসূরী কবির হোসেন

79
নাসিক ১৬ নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর এবং ৪ কাউন্সিলর প্রার্থী
নাসিক ১৬ নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর এবং ৪ কাউন্সিলর প্রার্থী

নারায়ণগঞ্জ সমাচার:

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন সূত্র মতে, দেওভোগ এল. এন. এ রোড, দেওভোগ পাক্কা রোড, খানকা রোড, শের এ বাংলা রোড, পুরাতন জিমখানা, ১ নং বাবুরাইল ও ২নং বাবুরাইল নিয়ে গঠিত ১৬নং ওয়ার্ড। রাজনৈতিক, সামাজিক ও ভৌগলিক দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ এ ওয়ার্ডটিতে এবার কাউন্সিলর পদে লড়াই করছেন ৪ জন। তবে এদের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন সদা হাস্যজ্জ্বল, মিষ্টভাষী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কবির হোসেন এমনটাই জানান ১৬নং ওয়ার্ডবাসী।

জানা যায়, এ ওয়ার্ডের ব্যাডমিন্টন প্রতীকে লড়াই করছেন তিনি। গত নির্বাচনে একই প্রতীক নিয়ে জয়লাভ করেন তারই ঘনিষ্ঠ বন্ধু নাজমুল আলম সজল। আবারও ঘুড়ি প্রতীক পেয়েছেন গত নির্বাচনে পরাজীত প্রার্থী রিয়াদ হাসান, তবে আরেক পরাজীত প্রার্থী সাইদুল হাসান টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীক পাল্টে লড়ছেন কুমড়া প্রতীক নিয়ে। নতুন প্রার্থী মহানগর বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু আছেন ঠেলাগাড়ি প্রতীকে।

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এই ১৬নং ওয়ার্ডের ভোটার। ঐতিহাসিক বৃহত্তর দেওভোগের অধিকাংশ এলাকায়ই এ ওয়ার্ডের আওতাধীন। এ ওয়ার্ডে আছে অন্যতম শ্রেষ্ট বিদ্যাপীঠ মর্গ্যাণ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, নবনির্মিত শেখ রাসেল লেক-পার্কটিও অবস্থিত এ ওয়ার্ডেই। সবমিলিয়ে নগরীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি ওয়ার্ড এটি।

এলাকাবাসীর সাথে আলাপকালে জানা যায়, চারজন প্রার্থী মাঠে থাকলেও কারো কারো বিরুদ্ধে করোণাকালীণ সময়সহ গত ৫ বছর পাশে না থাকার অভিযোগ রয়েছে। নতুন প্রার্থীকে অনেকেই চিনেন না উল্লেখ করে স্থানীয়রা বলেন, নামই শুনলাম এই প্রথম। নির্বাচনের কিছুদিন আগে একটি রঙিন পোস্টার করে পরিচিত পাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, তবে তা কোনো কাজে আসে নি বলেও জানা যায়।

গত নির্বাচনে পরাজীত হয়ে এবারও প্রার্থী হয়েছেন এমন এক প্রার্থীর বিষয়ে স্থানীয়দের অভিযোগ, তিনি গাড়ি ছাড়া খুব একটা চলাফেরা করেন না। গরীব-দুখী মানুষের দু:খ-কষ্ট বুঝতে কিছুটা কষ্ট হবে? তাছাড়া তাদের উত্তরসূরীর মতো তার বাড়ির গেইটও নাকি সবসময় বন্ধ থাকে, যদিও নির্বাচন উপলক্ষ্যে এখন নিয়মিত খোলা থাকে বলে জানায় এলাকাবাসী। তবে নির্বাচনের পরে সেই গেইট আর খোলা থাকবে কিনা তা নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহ পোষণ করেন স্থানীয়রা।

এছাড়া, গত দুই নির্বাচনে প্রার্থী হলেও কখনোই কঠিন সময়ে ভোটারদের পাশে ছিলেন না এমন অভিযোগ রয়েছে প্রভাবশালী এক প্রার্থীর বিরুদ্ধে। ভোটাররা বলেন, করোনাকালীণ সময়ে অনেকের মতো তিনিও হাত-পা গুটিয়ে বাড়িতে বসে ছিলেন, একবারও এলাকাবাসীর খোঁজ নেন নি।

এদিকে, সময়ের সবচেয়ে উপযোগী ও ১৬নং ওয়ার্ডবাসীর কাছে সর্বাপেক্ষা গ্রহনযোগী প্রার্থী হিসাবে অতি অল্প সময়েই নিজের অবস্থান পরিস্কার করেছেন সদা হাস্যজ্জ্বল, মিষ্টভাষী ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কবির হোসেন। ইতিমধ্যেই ব্যাপক গণসংযোগ, এলাকায় এলাকায় উঠান বৈঠক, মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থণাসহ মানুষের মন জয় করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে আলোচিত প্রার্থী তিনি এমনটাই দাবী ওয়ার্ডবাসীর।

ওয়ার্ডবাসীর মতে, কবির হোসেন এমন একজন মানুষ যিনি সমাজের উচু-নীচু সকল শ্রেণীর মানুষের সাথে মিলেমিশে চলাফেরা করেন। তিনি যেমনিভাবে গরীব-দু:খী মানুষের মনের কথা বুঝেন, ঠিক তেমনিভাবে ধনীদের সচেতনতা ও পরিচ্ছন্নতার চাহিদার বিষয়টিও ভালোভাবে বুঝেন। আর তাই ১৬নং ওয়ার্ডে নাজমুল আলম সজলের যোগ্য উত্তরসূরী কবির হোসেন এমনটাই বলছে স্থানীয়রা।