
নারায়ণগঞ্জ সমাচার:
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের এবারের নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভের পর জনপ্রতিনিধি হিসাবে তৃতীয়বার শপথ নিলেন ১৮নং ওয়ার্ডের জনপ্রিয় কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্না।
গতকাল (০৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানী ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ শপথ বাক্য পাঠ করান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি।

এসময় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কণ্যা, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা।
শপথবাক্য পাঠ শেষে সরকার প্রধান শেখ হাসিনা বলেন, আমি আজকে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে শুধু এটুকুই বলবো, যে উন্নয়নের গতি ধারা আমরা সৃষ্টি করেছি তা যেনো কখনো থেমে না যায়। কারণ নারায়ণগঞ্জ ঢাকার ঠিক পাশেই এবং নারায়ণগঞ্জ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি শহর। এককথায় ইন্ডাষ্ট্রিয়াল শহরই বলা হয়। কাজেই সে ক্ষেত্রে নারায়ণগঞ্জের গুরুত্ব অপরিসীম। সেই অঞ্চলের মানুষদের সার্বিক উন্নয়নের জন্য অনেক পরিকল্পনা আমরা নিয়েছি, অনেক প্রজেক্টও আমরা দিয়েছি, সেগুলি যেনো যথাযথভাবে পালন করা হয়।
জনকল্যাণে কাজ করতে পারলেই আত্মতৃপ্তি, ভোগ বিলাসে নয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারণ জনগনের কল্যাণে কাজ করার জন্য আপনারা যে শপথ গ্রহন করেছেন তা কখনো ভুলবেন না। আরেকটি অনুরোধ থাকবে, উন্নয়নের যে গতিধারা সৃষ্টি হয়েছে সেটাও অব্যাহত রাখতে হবে। মানুষের সাথে যে ওয়াদা দিয়ে ভোট নিয়েছেন, সে ওয়াদা কখনো ভুলবেন না। মানুষের কল্যাণে কাজ করবেন। জনগনকে কতটুকু দিতে পারলাম সে চিন্তা করবেন। যতটুকু আপনি দিতে পারবেন তাতেই আত্মতৃপ্তি, নিজের ভোগ বিলাসে না।
জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে কাজ করার আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক নেতা হতে হলে জনকল্যাণে নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করতে হয়, জাতির পিতা সেই আদর্শই আমাদের শিখিয়ে গেছেন। আমরা আশা করি, সেই আদর্শ নিয়েই আপনারা কাজ করবেন। তাহলে আপনার নেতৃত্বও থাকবে, জনগনের আস্থা-বিশ^াস অর্জন করতে পারবেন। মানুষ এখন খুব সচেতন এটা মনে রাখতে হবে। কাজেই সেটা মাথায় রেখে আপনারা আপনাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন।

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামীলীগ সভাপতি বলেন, আমাদের নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানাই। নারায়ণগঞ্জে যারা নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন তাদের ধন্যবাদ জানাই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাসহ সকলকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই যে, একটা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপভোগ করার ক্ষেত্রে আপনারা বলিষ্ঠ ভুমিকা রেখেছেন। জনগন তার ভোটের অধিকার প্রয়োগ করতে পেরেছে এবং তাদের মনমতো প্রার্থী নির্বাচিত করতে পেরেছে।
এদিকে, শপথ গ্রহনের পর ধানমন্ডির বত্রিশ নম্বরের ক্ষতবিক্ষত বাড়িতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে গিয়ে ফুলেল শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন নাসিক ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্না।