“শেখ হাসিনার কিছু হলে দেশ ভয়াবহ রাষ্ট্রে পরিণত হবে”

44

নারায়ণগঞ্জ সমাচার:

প্রধানমন্ত্রীর আক্ষেপে ভরা উদ্বৃতি উল্লেখ করে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ৪৭ বছর পর এসে বললেন, এতো স্লোগান, এতো নেতা, এতো কথা, এতো অমুক-তমুক, কোথায় ছিলো ৭৫’ এর ১৫ই আগষ্ট সবাই। আরও একটি কথা বলেছেন যে, এ ধরনের কোনো মৃত্যু যদি আমার হয়, তাহলে আমিও আশা করি না যে, আমার মৃত্যুর পর বাংলাদেশে কিছু হবে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, বঙ্গবন্ধু কণ্যার এ আক্ষেপ, এ কষ্ট, এ বেদনা এবং এ সত্য বচনের প্রেক্ষিতে আমাদের জবাব কি? আমরা আসলে করছি টা কি?

নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির মিলাদ, দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মহান স্বাধীণতার স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে বুধবার দুপুরে আইনজীবী সমিতির ভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

শামীম ওসমান বলেন, বক্তৃতা তো দিচ্ছি সবাই, বক্তৃতা যেভাবে দিচ্ছি আমরা মনে হচ্ছে যে, আমরা পৃথিবীটা জয় করে ফেলবো সবাই। কিন্তু একচুয়েলি ট্রু টা কি? আল্লাহ মাফ করুক, এখন যদি শুনি জাতির পিতার কণ্যাকেও ঠিক একইভাবে হত্যা করা হয়েছে তাহলে আমরা কি করতে পারবো? হোয়াট ইস আওয়ার প্রিপারেশন? আমি প্রশ্ন রাখতে চাই।

তিনি বলেন, এখানে রাজনীতির চেয়ে অপরাজনীতি বেশী হচ্ছে। ঐক্যের চেয়ে কোন্দল বেশী হচ্ছে। কিছু লোক কোন্দল লাগিয়ে রাখার জন্য চেষ্টা করেন। বড় বড় পদ-পদবী আদায় করে নিয়েছেন, ইনজয় করছেন, করেন আপত্তি নাই। কিন্তু দলটা করেন, সবাই মিলে দলটা করি। যদি সবাই মিলে দলটা করতাম তাহলে হয়তো জাতির পিতার কণ্যার এ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারতাম। যে না আপনি মরে গেলে ৭৫’এর মতো হবে না কিছু একটা হবে।

তিনি আরও বলেন, সময় বোধহয় সামনে খুব একটা শুভ না। আমার মনে হয়, আভ্যন্তরীণ কোন্দলকে বাহবা দেয়ার খুব একটা কারণ নাই। আমার মনে হয়, আভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসন করা আমাদেরও যেমন দায়িত্ব, কেন্দ্রেরও তেমন দায়িত্ব। খুব জোরে বলতে ইচ্ছা করে যে, প্রস্তুতি নেন সবাই। প্রস্তুতি নেন, হাওয়ায় গাঁ ভাসিয়ে দিয়েন না।

নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. হাসান ফেরদৌস জুয়েলের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই, সাধারণ সম্পাদক এড. আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল, মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা।

সমিতির সাধারণ সম্পাদক এড. রবিউল আমিন রনির সঞ্চালনায় এতে আরও উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী এড. সামসুল ইসলাম ভুইয়া, এড. মাসুদুর রউফ, সাবেক পিপি এড. ওয়াজেদ আলী খোকন, বর্তমান পিপি এড. বুলবুল, মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হক নিপু, আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড. মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড. মাহবুবুর রহমান, যুবলীগ নেতা জানে আলম বিপ্লব, ছাত্রলীগ নেতা রাফেল প্রধান প্রমুখ।