
নারায়ণগঞ্জ সমাচার:
নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৫ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মধ্যকার লড়াই শেষ হলো আজ। জয়ী ও বিজয়ী সকলে উন্নয়নের লক্ষ্যে আগামী দিনে একসাথে কাধে কাধ মিলিয়ে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার পর এ প্রতিশ্রুতি দেন তারা।
জেলার ৫টি ভোট কেন্দ্রে আজ সোমবার সকাল ৯টায় অত্যন্ত উৎসবের আমেজে ইভিএম’র মাধ্যমে শুরু হয় ভোটগ্রহন। একে একে আসতে থাকেন ভোটার তথা জনপ্রতিনিধিরা। এসময় ভোট কেন্দ্রে প্রবেশের পূর্বে নিজ নিজ প্রতীক দেখিয়ে শেষ বারের মতো ভোট প্রার্থণা করেন প্রার্থীরা।
ভোটাররাও ভোট দেয়ার অভিমত ব্যক্ত করেন এবং লাইন ধরে পছন্দের প্রার্থীদের প্রতীকে ভোটদান করেন। ভোটগ্রহন শেষ হয় দুপুর ২টায়। ইভিএম এ ভোট হওয়ায় দ্রুততম সময় তথা আধা ঘন্টা থেকে এক ঘন্টার মধ্যে ফলাফলা ঘোষণা করা হয়।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, ৩ নং ওয়ার্ড তথা সোনারগাঁ উপজেলায় তালা প্রতীকে ৮৩ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম ইকবাল। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, সাবেক সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম পেয়েছেন ৪৯ ভোট।
২ নং ওয়ার্ড তথা সদর-বন্দর উপজেলায় সিলিং ফ্যান প্রতীকে ৯৭ ভোট পেয়ে সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন ধামগড় ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান মাসুম আহমেদ। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাহাঙ্গীর হোসেন পেয়েছেন ৫৮ ভোট। আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী শিকদার রাসেল পেয়েছেন ২ ভোট।
১নং ওয়ার্ডে সমান ভোট পেয়েছেন সিলিং ফ্যান প্রতীকের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম ও ঘুড়ি প্রতীকের প্রার্থী মজিবুর রহমান। দুজনেই পেয়েছেন ১৫ ভোট। ফলে এ ওয়ার্ডে লটারী করা হতে পারে বলে জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে। টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে লড়াই করা আরেক প্রার্থী আলাউদ্দিন পান ৩ ভোট।
এদিকে, সংরক্ষিত ১নং ওয়ার্ডে বই প্রতীকে ১২৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন সাদিয়া আফরিন বাবলি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দী নাছরিন আক্তার ও আছিয়া খানম সুমি যথাক্রমে পান ৪৮ ও ১৫ ভোট।
সংরক্ষিত ২ নং ওয়ার্ডে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয় রূপগঞ্জের সীমা রানী পাল ও আড়াইহাজারের শাহিদা মোশাররফের সাথে। এতে টেবিল ঘড়ি প্রতীকে সর্বোচ্চ ২০৬ ভোট পেয়ে জয় লাভ করেন সীমা রানী পাল। শাহিদা মেশাররফ পান ১৩৩ ভোট।