রাজাকারের নাতি-পুতিরা আ.লীগের কলকাঠি নাড়ে : কালাম

35
রাজাকারের নাতি-পুতিরা আ.লীগের কলকাঠি নাড়ে : কালাম

নারায়ণগঞ্জ সমাচার:

সোনারগাঁ আওয়ামীলীগ সোনারগাঁ থেকে নিয়ন্ত্রিত হয়না, এটা বাইরের থেকে নিয়ন্ত্রিত হয়। সোনারগাঁ আওয়ামীলীগের রাজনীতি একটা কালো মেঘের ছায়ায় অবস্থান করছে। এ ছায়া যেখানে পড়ে, সেখানেই সব থাকে। তা নাহলে কিছু থাকেনা। সোনারগাঁ আওয়ামীলীগের স্বতন্ত্র কোনো বৈশিষ্ট্য নাই। সোনারগাঁয়ে যারা আওয়ামীলীগ করে তারাই রাত্রে বেলা জাতীয় পার্টির এমপিরে সমস্ত কিছুর সহযোগীতা করে। দীর্ঘ ১৪ বছর আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকলেও সোনারগাঁয়ের নেতাকর্মীরা কিছুই পায় নাই। এর কারণ, রাজাকারের নাতি-পুতিরা আজকে আওয়ামীলীগের কলকাঠি নাড়ে।

সোনারগাঁ উপজেলাধীন সাদিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কর্মী সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সোনারগাঁ আওয়ামীলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম। গতকাল বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে ইউনিয়নের নয়াপুর বাজারে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত।

কর্মী সম্মেলনে উপস্থিত সকল নেতৃবৃন্দরা

মাহফুজুর রহমান কালাম বলেন, আর মাত্র এক বছর পর জাতীয় নির্বাচন। আমরা যে যাই করি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে হবে। কেননা তার কোনো বিকল্প বাংলাদেশে নাই। জননেত্রী শেখ হাসিনার যত উন্নয়ন তা দেশের মানুষকে আপনাদের জানাতে হবে। আজ সকালেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেছেন।

তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা কিভাবে উৎখাত করা যায়, সেই ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে, মার্কিনী সাম্রাজ্যবাদ থেকে শুরু করে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত শুরু হয়েছে। এই বাংলায় উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে কিভাবে রূখে দেয়া যায়, সেই চক্রান্ত শুরু হয়েছে। কাজেই জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বাচিয়ে রাখতে হবে। তিনি বেঁেচ থাকলে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। জননেত্রী শেখ হাসিনা মানেই এই দেশের উন্নয়ন, জননেত্রী শেখ হাসিনা মানেই পদ্মা সেতু, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, বঙ্গবন্ধু টানেল, মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, মেট্রোরেল উদ্বোধন, গভীর সমুদ্রে পায়রা বন্দর, বছরের প্রথম দিনেই প্রায় ৪ কোটি শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই, এই হচ্ছে জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন।

বক্তব্য রাখছেন মাহফুজুর রহমান কালাম

তিনি আরও বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশকে উন্নয়নের শিখড়ে নিয়ে যাবেন। এই বাংলার মেহনতি মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার পরিশ্রমের কারণে আজকে আমরা মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছি। তার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবো, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবো।

এর পূর্বে ব্যানারে অন্যান্য অতিথিদের নাম থাকলেও তার নাম থাকায় অনেকটা হতাশা ব্যক্ত করেন তিনি। এসময় কালাম বলেন, আজ থেকে ১৩ মাস পূর্বে যখন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হয়েছিলো তখন এই সাদিপুর ইউনিয়নে কালাম ছিলো অপরিহার্য। কালাম ছাড়া হবেনা, কালাম ছাড়া নির্বাচন হবে না, এমন কতো কথা। সেই কালামই কিন্তু এই কালাম। তবে এখন আর কালামের দরকার নাই, তাই এখন আর কালামের নাম ব্যানারে আসে না। যাই হোক, ব্যানার ফেস্টুনে আমার নাম আর ছবির দরকার নাই। আমি চাই, যতোদিন বেঁচে থাকি ততদিন আপনাদের অন্তরে এই কালামের নাম আর ছবি জাগ্রত থাকুক।

ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের ৫ বারের চেয়ারম্যান আব্দুর রশীদ মোল্লাহর সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. সামছুল ইসলাম ভুইয়া, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও পিরোজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইঞ্জি: মাসুদুর রহমান মাসুম।

এতে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটির সাবেক সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম, জামপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হামিম শিকদার শিপলু, বর্তমান চেয়ারম্যান হুমায়ন কবির, মোগরাপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবু, বারদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লায়ন বাবুল, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু, সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার প্রমুখ।