হেফাজত কান্ডে গ্রেফতার আতংকে জাপা নেতাকর্মীরা

135
হেফাজত কান্ডে গ্রেফতার আতংকে জাপা নেতাকর্মীরা

নারায়ণগঞ্জ সমাচার:

হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা মামুনুল হককে আটকে রাখা হয়েছে এমন খবরে হেফাজত নেতাকর্মীদের সহিংস কান্ডে উপজেলা আওয়ামীলীগের এক নেতার দায়ের করা মামলায় উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি গ্রেফতার হওয়ায় উপজেলা জাতীয় পার্টির অন্যান্য নেতাকর্মীরা গ্রেফতার আতংকে দিন পার করছে বলে জানা যায়। একইসাথে সভাপতির গ্রেফতারে নেতাকর্মীরা তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দাও জানিয়েছেন বলে জানা গেছে।

জানা যায়, সোনারগাঁয়ের রয়্যাল রিসোর্টে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা মাও: মামুনুল হকের নারী কেলেঙ্কারীর ঘটনাকে কেন্দ্র করে রয়্যাল রিসোর্ট, উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয় এবং যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতার বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এসকল ঘটনা ও সহিংসতার জেরে পুলিশ বাদী হয়ে ২টি ও ক্ষতিগ্রস্থরা বাদি হয়ে ৫ টি মামলা দায়ের করে। এর মধ্যে উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক নাসির উদ্দিনের দায়ের করা মামলায় উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও সম্ভুপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গতকাল সোমবার দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয় থেকে গ্রেফতার করে বিকেলে তার রিমান্ড চেয়ে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা খাতুনের আদালতে তোলা হলে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন এবং ২০ এপ্রিল তার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেন।

পুলিশ ও ক্ষতিগ্রস্থদের দায়ের করা ৭ মামলায় ৪৪৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামাসহ মোট ১৮০০ জনকে আসামী করা হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট ৬৫ জনকে গ্রেফতার করেছে বলেও জানায় পুলিশ।

জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ-সার্কেল) শেখ বিল্লাল হোসেন নারায়ণগঞ্জ সমাচারকে জানান, উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতিকে দুপুরে গ্রেফতারের পর বিকালে রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেছে।

তবে আওয়ামীলীগের একটি পক্ষ শুরু থেকেই বলে আসছিলো এ ঘটনার সাথে হেফাজতের পাশাপাশি স্থানীয় বিএনপি ও জাপা নেতাকর্মীরা জড়িত ছিলেন। এরই প্রেক্ষিতে জাপা নেতাকর্মীদের নাম উল্লেখ করে মামলাও দায়ের করা হয়েছিলো। এ মামলায়ই জাপা সভাপতিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে, মামুনুল হকের সমর্থনে হেফাজতের তান্ডবের ঘটনায় জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের নামে মামলা দায়েরকে ইতিমধ্যেই ষড়যন্ত্রমূলক বলে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছিলো উপজেলা জাপা কমিটির।

এদিকে, উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আব্দুর রউফকে গ্রেফতার করায় বর্তমানে উপজেলা জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা গ্রেফতার আতঙ্কে দিন পার করছে বলেও জানা যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের অনেকেই বলছেন, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে হেফাজতের তান্ডবের ঘটনায় জাতীয় পার্টির নাম জড়ানো হয়েছে। এ মামলায় উপজেলা সভাপতিকে গ্রেফতারের পর আমরা এখন গ্রেফতার আতঙ্কে রয়েছি। পুলিশের ভয়ে এলাকায় থাকা যাচ্ছে না বলেও জানায় তারা। একইসাথে পুলিশের গ্রেফতার অভিযানে জাপা নেতাকর্মীরা ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছে বলেও জানা যায়।