অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করাসহ সকল সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিলেন আসাদুজ্জামান

38

নারায়ণগঞ্জ সমাচার:

উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আসাদুজ্জামানকে আবারো জয়ী করার লক্ষ্যে এনায়েতনগর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (০৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ওয়ার্ডের চতলার মাঠের ব্যাপারী পাড়া এলাকায় ব্যাপারী বাড়ির উদ্যোগে এ উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

হাজী মো. জাকির ব্যাপারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি, ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আসাদুজ্জামান।

আরো উপস্থিত ছিলেন ইউসুফ মল্লিক, বদিউল আলম বদু, সাফায়েত নুর, ৬ নং ওয়ার্ড মেম্বার পদপ্রার্থী নেসার উদ্দিন, মোশারফ হোসেন, রফিকুল ইসলাম, রুহুল আমিন, ৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা প্রার্থী জেসমিন আক্তার রুমা প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আসাদুজ্জামান বলেন, আল্লাহর রহমতে এবং আপনাদের দোয়া, সমর্থন ও ভোটে যদি আমি আবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই, তাহলে অসমাপ্ত সকল কাজ সমাপ্ত করে দিবো। এছাড়া আমি কখনো কারো মনে কষ্ট দিয়ে কথা বা কাজ করি না। কিন্তু যদি ভুলবশত কাউকে কষ্ট দিয়ে থাকি আমি সাথে সাথে তাকে ডেকে ক্ষমা চেয়ে নেই। এটা আমার ছোট বেলারই অভ্যাস। তারপরও আমি বলছি যদি আমি কারো মনে কোনো ধরনের কষ্ট দিয়ে থাকি আমি আবারও আপনাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী, আপনারা আমাকে আল্লাহর ওয়াস্তে মাফ করে দিয়েন।

শীঘ্রই ময়লা সমস্যার সমাধান হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের ইউনিয়নের ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট কোনো জায়গা নাই, তাই আমি ডিসি সাহেবকে বিষয়টি জানিয়েছি। জায়গা দেখা হচ্ছে, চেষ্টা চলছে, একটা জায়গার বিষয়ে কথা হচ্ছে, খুব শীঘ্রই ময়লা ফেলার ডাম্পিং স্পট হবে।

মাদক নির্মূলের বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের এলাকায় সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে মাদক। মাদকের বিস্তার অনেক বেড়েছে। এই মাদক নির্মূল করতে হবে। আমার একার পক্ষে এই মাদক সমস্যার সমাধান করা সম্ভব না। এলাকার পঞ্চায়েত কমিটি, যুব সমাজের সাথে যৌথভাবে এ মাদক নির্মূলে কাজ করবো। আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে তাহলে আপনাদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে অবশ্যই মাদক নির্মূল করবো। তিনি মাদক বিক্রেতাদের হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, কোনো মাদক বিক্রেতাকে ছাড় দেয়া হবে না।

এলাকায় চোরের উপদ্রব বেড়েছে উল্লেখ করে আসাদুজ্জামান বলেন, আমাদের এলাকায় অনেক বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে, অনেকেই এখন নিরাপত্তাহীণতায় ভুগে। আগে এটা ছিলো না। কারণ চোরের উপদ্রপ অনেক বেড়ে গেছে। নির্বাচিত হবার পর প্রতিটি কোনায় কোনায় আলোর ব্যবস্থা হবে, একইসাথে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হবে।