
নারায়ণগঞ্জ সমাচার:
সাবেক কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্না বলেছেন, আমি কাউন্সিলর থাকাকালীণ সময়ে রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন প্রোগ্রামে অতিথি হিসাবে মেয়রকে আমন্ত্রণ করতাম। তিনিও প্রতি বছরে ২/৩ বার আসতেন। কিন্তু গত পাঁচ বছরে মনে হয় উনি এই এলাকায় একবার আসছে কিনা আমার মনে পড়ে না। আমি মেয়রকে দোষারোপ করছি না, পরিস্কার ভাষায় শুনবেন। মেয়রেরও আক্ষেপ আছে, তিনি এই আসতে পারেন নাই।
আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন উপলক্ষ্যে শহীদনগর এলাকাবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত উঠান বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় শহীদনগর স্টেডিয়াম এলাকায় এ উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মুন্না বলেন, আমার সময়ে শহীদনগর স্টেডিয়াম নির্মাণে অনেক পরিশ্রম করেছি, শুধু এই শহীদনগরেই ২০টি ডিপ টিউবওয়েল বসিয়েছি, এই গলিতে ২৫ ফুট রাস্তা নির্মাণ করাসহ ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। উন্নয়নের কথা বলতে গেলে অনেক কিছুই বলা যায়। আমি কখনো পাঞ্চায়েত ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করি নাই। আপনারা যদি বারো আনা অনুষ্ঠান করার চেষ্টা করেছেন, আমি বলেছি আরো চার আনা যোগ দিয়ে ষোল আনা অনুষ্ঠান করেন।
তিনি বলেন, যদি আপনারা কোনো অনুষ্ঠান করেছেন আমি বলেছি আমি কেন মেহমান হবো, অতিথি হবো? এখানে মেয়র আসবে, তার চাইতে বড় কোনো অতিথি থাকলে তাকেও আনবো আমরা। আমরা বারবার এই এলাকায় এনেছি। একবার না উনি প্রতি বছরে ২/৩ বার আসতেন। আর গত পাঁচ বছরে মনে হয় উনি একবার আসছে কিনা আমার মনে পড়ে না।
তিনি আরও বলেন, আমি মেয়রকে দোষারোপ করছি না, পরিস্কার ভাষায় শুনবেন। মেয়রেরও আক্ষেপ আছে, তিনি এই এলাকায় আসতে পারেন নাই, তাকে আনার মতো পরিবেশ তৈরি করা হয় নাই, আসার মতো ক্ষেত্র তৈরি করা হয় নাই। আসার মতো তাকে সেভাবে সম্মান দেয়া হয় নাই। উনি সারা নারায়ণগঞ্জ ঘুরেন, ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৬টি ওয়ার্ডে এমন উন্নয়ন করেছেন তা আপনারা চিন্তাও করতে পারবেন না। কিন্তু কেন এ এলাকা অবহেলিত। আমি যতটুকু জানি টাকার কোনো প্রবলেম নেই, কিন্তু উনার টেবিলে কোনো কাজ বা প্রজেক্ট যায় নাই। তার টেবিলেতো কাগজ যেতে হবে, প্রজেক্ট যেতে হবে, দাবী যেতে হবে, তার কান পর্যন্ত তো আমার দাবি পৌছাতে হবে, যে আমার এলাকার মানুষ কি চায়, মা-বোন কি চায়, যুবসমাজ কি চায়, এলাকার কি কি উন্নয়ন দরকার।