
নারায়ণগঞ্জ সমাচার:
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সবচেয়ে সফল কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবুর জয়ের ধারা রুখতে নানামুখী ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে জানায় বাবু সমর্থক ও স্থানীয়রা। তাদের মতে, কাউন্সিলরের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, কর্মদক্ষতা, মানুষের সেবার কারণে অনেকটা সেইফ জোনে থেকে, নির্ভার হয়ে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন বাবু। তবে, একটি কুচক্রীমহল কাউন্সিলর বাবুর জয়রথ থামাতে নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
তাদের মতে, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের অন্য যে কোনো ওয়ার্ডের তুলনায় বেশী কাজ করে, সুখে-দু:খে এলাকাবাসীর পাশে থেকে মানুষকে সেবা দিয়ে অনেক আগেই মানুষের মন জয় করে নিয়েছেন আব্দুল করিম বাবু। আবারো বাবুকেই কাউন্সিলর হিসাবে দেখতে চায় ১৭নং ওয়ার্ডবাসী। অনেকে মনে প্রাণে বাবুকেই ভাবছেন কাউন্সিলর হিসাবে, বাকী শুধু নির্বাচনে ভোট প্রদানের আনুষ্ঠানিকতা। ফলে অনেকটা নির্ভার হয়েই নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন তিনি। বাবুর উন্নয়ন কর্মকান্ড দেখে একটা সময় নিশ্চিত ছিলো যে, এ ওয়ার্ডে আর কেউ নির্বাচন করবে না। গত নির্বাচনে যারা প্রতিদ্বন্দী ছিলো তারাও এবার নেই মাঠে। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছিল কাউন্সিলর বাবু।
এলাকাবাসীর মতে, কেনইবা বাবু বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত হবে না। আমরা আগে এ ওয়ার্ডে অনেককেই দেখেছি, কেউ নানা কেলেঙ্কারীতে জড়িয়েছেন, কেউবা আবার জনগনের অর্থ লুটপাট করে খেয়েছেন। উন্নয়ন কি তা এ ওয়ার্ডের জনগন জানতো ই না, সেবার কথা নাই বা বললাম। তবে বাবু কাউন্সিলর হওয়ার পর থেকে ওয়ার্ডের মানুষ দেখেছে উন্নয়ন কি, মানবসেবা কি, মানুষের পাশে থাকা কাকে বলে? দিন নেই, রাত নেই ২৪ ঘন্টাই মানুষ বাবুকে পাশে পায়, কখনো আর্থিক সহযোগীতা, কখনো বিচার-শালিসের মাধ্যমে পারিবারিক, সামাজিক কলহ-বিরোধের অবসান, কখনো বা অসহায়ের মুখে খাবার, গায়ে চাঁদরের ব্যবস্থা, কখনো বা আবার কর্মহীনদের কর্মের ব্যবস্থা, এসব করেই দিন কাটে বাবুর। এসব করেই যেন আনন্দ পায় আব্দুল করিম বাবু। তাই জনগনের মুখে মুখে আব্দুল করিম বাবুর নাম। বাবু ছাড়া ১৭নং ওয়ার্ডবাসী যেন কিছুই ভাবতে পারে না। এসব কারণেই বাবুর বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত হওয়া ছিলো অনেকটা নিশ্চিত।
তবে এসব ভালো কাজ কি আর সকলের হজম হয়? অনেকেরই আছে বদহজমের সমস্যা, তাদের মধ্য থেকেই একটি কুচক্রী মহল বাবুর এই জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে নানামুখী ষড়যন্ত্র লিপ্ত হচ্ছে বলে জানায় স্থানীয়রা। সূত্র জানায়, এই ওয়ার্ডে বর্তমানে বাবু ছাড়া আরও ৩ জন কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছে। এদের দুইজনকে নির্বাচনে দাড় করিয়েছেন একজন সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী এমন খবর চাউর হয় পুরো শহরময়। কেননা ঐ সংরক্ষিত কাউন্সিলর ও তার সন্ত্রাসী স্বামীর নানা কর্মকান্ডে বাধা সৃষ্টি করে কাউন্সিলর বাবু। আর তাই বাবুকে রুখতে তার এই হীন প্রচেষ্টা জানায় স্থানীয়রা।
জানা যায়, এ দুজনের মধ্যে এদের একজন ছিলেন সিটি কর্পোরেশনের ৩য় শ্রেণীর ঠিকাদার। যিনি নির্বাচন করার লক্ষ্যে কিছুদিন পূর্বেই তার ঠিকাদারী লাইসেন্স হস্তান্তর করেছেন সিটি কর্পোরেশনের নিকট। অপরজন থাকেন দুদিন এর সাথে, দুদিন ওর সাথে। গত নির্বাচনে তাকে দেখা গেছে, আরেক কাউন্সিলর প্রার্থী মিনহাজুল কাদির মিমনকে সমর্থন দিতে। পক্ষান্তরে অনেকে বলছেন, টাকা খেয়ে বসে পড়েছিলেন তিনি। আর বসবেই না কেন? টাকাই তো তার চাই, নির্বাচনের আগে যদি টাকা পাওয়া যায় তাহলে নির্বাচন করে আর লাভ কি? তবে এবার তাকে নয়ামিশনে মাঠে নামিয়েছে একটি স্বার্থান্বেষী মহল।
অপরদিকে, ৩য় যে প্রার্থীর গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে তাকে অনেকেই সরাসরি চিনেনা বলে জানায় স্থানীয়রা। তবে মাঝে মাঝে তাকে ফেসবুক লাইভে দেখা যায় বলেও জানায় তারা। নির্বাচনে জয়ী হলে তিনি অমুক-তমুক করবেন বলে ফেসবুকে প্রচারণ করেন বলেও জানায় স্থানীয়রা।
এদিকে, ওয়ার্ডবাসীর মতে, গত ৫ বছরে কোথায় ছিলো এতো সব প্রার্থীরা। ৫ বছরের কথা বাদই দিলাম করোনাকালীণ সময়ে যখন মানবেতর জীবন-যাপন করছিলাম আমরা। তখন কাউকে তো দেখি নি, একদিন একজন অসহায়ের পাশে দাড়াতে। কাউকে তো দেখি নি কারো ঘরে একবেলা খাবার পৌছাতে। আর এখন নির্বাচন এসেছে উনারা মাঠে সরব, নির্বাচন করার খায়েশ হয়েছে উনাদের। নির্বাচন এলেই মাঠে নামে একশ্রেণীর লোক, নির্বাচনের পরে যাদের আর কোনো খবর থাকে না। এ ধরনের প্রার্থীদের ভোট দেয়া তো দুরের কথা বাড়িতে ভোটের জন্য এলে দরজাও খুলবেন না বলে জানান স্থানীয়দের অনেকে।
তারা আরও বলেন, কোনো ষড়যন্ত্রই টিকবে না। আব্দুল করিম বাবুর বিরুদ্ধে যত ষড়যন্ত্রই হোক না কেন সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে বাবুকে আবারও আমরা নির্বাচিত করে নিয়ে আসবো ইনশ্আাল্লাই।